টুকরো খবর
ছাত্রীদের অবৈতনিক উচ্চশিক্ষার সিদ্ধান্ত
নারী শিক্ষা প্রসারে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ঝাড়খণ্ড সরকার। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছাত্রীদের বেতন, রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষার ফিজ্ মেটানোর দায়িত্বও নিচ্ছে রাজ্য। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাজ্যের মেয়েদের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল শিক্ষা চালানোর আর্থিক প্যাকেজ হিসেবে গত ১৫ নভেম্বর ঝাড়খণ্ড সরকার ঘোষণা করেছিল ‘লাডলি-লক্ষ্মী যোজনা’। ওই প্রকল্পের পাশাপাশি মেয়েদের উচ্চশিক্ষার অঙ্গণে টেনে আনতে এ বার স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম পর্যন্তও মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। গত কাল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্নাতকোত্তর শিক্ষা পাঠ্যক্রম পর্যন্ত সরকারি অনুমোদিত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের জন্য ছাত্রীদের যাবতীয় আর্থিক ব্যয়ভার সরকার বহন করবে। টিউশন ফিজ্ ছাড়াও দিতে হবে না রেজিস্ট্রেশন ফিজ্ এবং পরীক্ষার ফিজ্। ছাত্রীদের শিক্ষার ওই খরচ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মিটিয়ে দেবে রাজ্য সরকারএ। মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার উপদেষ্টা মণ্ডলীর সূত্রে খবর, জনগণনার রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যের ৬৭.৬৩ শতাংশ মানুষ সাক্ষর। এর মধ্যে সাক্ষর পুরুষ ৭৮.৪৫ শতাংশ। ৫৬.২১ শতাংশ মহিলা সাক্ষর। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে সাক্ষরতা অভিযানে রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটতে শুরু করেছে। বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষায়। বিশেষ করে গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের স্কুল-ছুট আটকাতে শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করে তোলার নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রাজ্য। আর্থিক অনটনের কারণে মাঝপথে যাতে মেয়েদের স্কুলশিক্ষা বন্ধ না হয়, তার জন্যই গত ১৫ নভেম্বর অর্জুন মুন্ডা সরকার হাতে নিয়েছে ‘লাডলি-লক্ষ্মী’ যোজনা। এখন সমাজের প্রতিটি স্তরে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করাই মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই উচ্চশিক্ষায় ছাত্রীদের বিশেষ সুযোগ দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ পরিবহণে জোর ঝাড়খণ্ডের
বিদ্যুৎ পরিবহণ-এর জটিল সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড’ (পিজিসিআইএল)-এর দ্বারস্থ হচ্ছে ঝাড়খণ্ড সরকার। এই ব্যাপারে কাল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার পর পিজিসিআইএলের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক বা বিদ্যুৎ পরিবহণ ব্যবস্থার নানা সমস্যার কারণেই রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। পরিবহণের-এর জটিল সমস্যায় মাঝেমধ্যেই বসে যাচ্ছে হাইটেনশন লাইন। ফলে প্রায় রোজই, রাজ্যের সর্বত্র চলছে বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা-যাওয়া। মার খাচ্ছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। সরকারি সূত্রের খবর, এই অবস্থা থেকে বেরোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত করাই একমাত্র পথ। আর সেই কাজটা করতে পিজিসিআইএল-কে পরামশর্দাতা হিসেবে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে শুরু হতে চলেছে বিদ্যুৎ দফতরের ১,৪১৬ কোটিরও বেশি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ।

শিক্ষক নিয়োগে কোর্ট বেঁধে দিল সংখ্যা
প্রথম শিক্ষক নির্বাচনের পরীক্ষার ফল হাতে পেতে না পেতেই দুঃসংবাদ পেলেন অসমের পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঘোষণা করেছিলেন, টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) উত্তীর্ণ ১৮ হাজার পরীক্ষার্থীকে শিক্ষক পদে স্থায়ী নিয়োগ দেবে সরকার। ৫০ হাজারকে নেওয়া হবে চুক্তির ভিত্তিতে। কিন্তু বুধবার ‘টেট’-এর ফল ঘোষণা করে হিমন্ত জানান, গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশানুযায়ী এখন স্থায়ী ও চুক্তির ভিত্তিতে মাত্র ১২ হাজার শিক্ষককেই নিয়োগ করা যাবে। মন্ত্রী বলেন, “মোট ৯০ হাজার পদ খালি রয়েছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশানুযায়ী সব মিলিয়ে মাত্র ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে পারব। অবশ্য বাকি আসন পূরণের জন্য হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছি।” এই বছর ৩,২৪,৭৯৩ জন পরীক্ষায় বসেছিলেন। পাশ করেছেন মাত্র ৫২,৭২২ জন। অর্থাৎ পাশের হার ১৬.২৩ শতাংশ। গড়ে জেলাগুলিতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ বার ‘টেট’-এ বসার ক্ষেত্রে বি-এড বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু হিমন্ত জানান, ২০১৪ সাল থেকে তা বাধ্যতামূলক হবে।

মানবোন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি
সাম্প্রতিক মানব উন্নয়ন সূচক অনুযায়ী দেশের প্রথম তিনটি রাজ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে অসম। রাজ্য সরকারের তরফে এই বিবৃতি পেশ করে জানানো হয়, পরিকল্পনা কমিশনের জন্য ‘অ্যাপ্লায়েড ম্যান পাওয়ার রিসার্চ’ যে সমীক্ষা চালিয়েছে তাতে ৩২.১ শতাংশ নম্বর পেয়েছে অসম। এই সমীক্ষায় ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দশ বছরের উন্নয়নের হার ধরে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষার মূল তিনটি ক্ষেত্র ছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মাথাপিছু আয়। সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, অসম আরও এক দশক এই বিকাশের ধারা বজায় রাখতে পারলে দেশের বাকি রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে দিতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে অসম পয়লা নম্বরে রয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নতির ক্ষেত্রে তাদের স্থান তৃতীয়। শিক্ষাক্ষেত্রে অন্য কিছু রাজ্যের পিছনে থাকলেও বিকাশের ধারা উল্লেখযোগ্য। অনাহার নিরাময়ের ক্ষেত্রে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, এমনকী গুজরাতের মতো উন্নত রাজ্যগুলির থেকেও অসমের পরিস্থিতি তুলনামূলক বিচারে ভাল। এই ক্ষেত্রে ১৯.৮৩ শতাংশ নম্বরসহ তার স্থান চতুর্থ।

বিবাদ মিটিয়ে ফের ‘বন্ধু’ শাহরুখ-ফারহা
অবশেষে ঝগড়া ‘মিটল’। কিন্তু কীসের ঝগড়া? “কিছুই তো হয়নি’’, দাবি শাহরুখ খানের। এমনকী ফারহা যখন তাঁর স্বামীর সঙ্গে কিং খানের বিরোধটা একরকম মিটিয়েই ফেলতে চাইছেন, তখন শাহরুখের বক্তব্য, “আমি কি বলেছি যে, আমাদের মধ্যে কোনও ঝামেলা হয়েছে? না। তা হলে মিটমাট করার প্রশ্ন উঠছে কোথা থেকে?” রবিবার ভোররাতে এক পার্টিতে ফারহার স্বামী শিরীষ কুন্দেরকে শাহরুখ চড় মারেন বলে খবর রটে যায়। বিষয়টি নিয়ে প্রথম দিকে শিরীষ-ফারহা উত্তপ্ত প্রতিক্রিয়া দিলেও চুপ ছিলেন শাহরুখ। গত কাল তিনি টুইটারে লেখেন, “গোটা ব্যাপারটা একটা শেক্সপিয়রের প্রহসনের মতো লাগছে!” এর পরই সমস্যা মেটাতে এগিয়ে আসেন ফারহার ভাই সাজিদ খান ও পরিচালক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। শাহরুখের সঙ্গে দেখা করতে ফারহা-শিরীষকে নিয়ে তাঁরা মন্নতে যান। জানা যায়, ‘সন্ধি’ হয়ে গিয়েছে দুই পরিবারের। শিরীষের কথায়, “শাহরুখের থেকে আমি বয়সে ছোট। তাই উনি আমার কাছে ক্ষমা চাইবেন, এটা আশা করি না। তা ছাড়া ও দিনের ঘটনায় আমারও ও রকম প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত হয়নি। এখন সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। আমাদের বন্ধুত্ব এখন আগের থেকেও মজবুত।”

বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলন আজ দিল্লিতে
প্রায় ২৬ বছর পরে দিল্লির বুকে ফের আয়োজিত হতে চলেছে বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন-এর যৌথ উদ্যোগে আগামিকাল থেকে দিল্লির কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে ওই সম্মেলন। উদ্বোধন করবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। সম্মেলন চলবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত কয়েক বছর ধরেই দিল্লিতে বড় মাপের বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা করছিলেন উদ্যোক্তারা। আর্থিক সহায়তার অভাবে তা সম্ভব হয়নি। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, দিল্লির বাঙালিরা যাতে বঙ্গ সংস্কৃতির স্বাদ পায়, তাই এ বার উদ্যোগী হয় রাজ্য। এগিয়ে আসে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকও। সম্মেলনের চার দিনই সংস্কৃতি-জগতের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বদের সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়োজকরা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন সেনগুপ্ত বলেন, “আরতি মুখোপাধ্যায়, সুমিত্রা সেন, মমতাশঙ্কর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে ঠিক রয়েছে। থাকবে বাংলার নামী শিল্পীদের অনুষ্ঠান।” থাকছে বাংলা ব্যান্ডও। মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে উত্তমকুমারের আটটি সিনেমা দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের কর্মকর্তা উৎপল ঘোষ বলেন, “প্রবাসে বড় হওয়া নতুন প্রজন্ম সে ভাবে উত্তমকুমারকে জানে না। তাই এই উদ্যোগ।” আগামী ১৪ -১৯ ফেব্রুয়ারি কালীবাড়ি প্রাঙ্গণেই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। মোট ৪০টি দোকান থাকবে বইমেলায়। তার ৩০টি আসবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। সংগঠনের সভাপতি তপন রায় জানান, বইমেলা প্রাঙ্গণে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে যে প্রতিযোগিতা হবে, তার পুরস্কার হিসাবে বই কেনার কুপন দেওয়া হবে।

মায়া-ঘনিষ্ঠ মদ ব্যবসায়ীর ডেরায় তল্লাশি
মায়াবতী-ঘনিষ্ঠ এক মদ ব্যবসায়ীর একাধিক আস্তানায় তল্লাশি চালাল আয়কর বিভাগ। ওই ব্যবসায়ীর নাম গুরপ্রীত ওরফে পন্টি চাড্ডা। আজ দিনভর দিল্লিতে ১৩টি এবং উত্তরপ্রদেশের নয়ডা, মোরাদাবাদ, লখনউয়ে ছ’টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। পন্টির বিরুদ্ধে, শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ছাড়াও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। যেমন, ধার্য মূল্যের চেয়ে বেশি দামে মদ বিক্রি করেন পন্টি। রাজনীতিকদের সঙ্গে নিজের সুসম্পর্ক ভাঙিয়ে কম দামে জমি-সহ পাঁচটি চিনি কল কিনেছেন তিনি। এ ছাড়া সিনেমা প্রযোজনা, মাল্টিপ্লেক্স-সহ একাধিক ক্ষেত্রে টাকা লগ্নি করেছেন পন্টি। মায়াবতীর জমানাতেই পন্টির উত্থান হয়েছে। আয়কর বিভাগের এক সূত্রের দাবি, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আজকের তল্লাশি চালানো হয়েছে। পন্টি দুবাইয়ে এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছেন। এ ছাড়া দিল্লিতে পন্টির দুই সহযোগী ললিত কপূর ও গুরজিত কোচ্চরের বাড়িও তল্লাশি করে পুলিশ।

রেলস্টেশনের উন্নয়নে মন্ত্রকের নতুন সংস্থা
আর্থিক দুর্দশার মধ্যেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশনগুলির পরিকাঠামো সামগ্রিক ভাবে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হল মন্ত্রক। ভারতের স্টেশনগুলিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে আজ গঠন করা হল রেলওয়ে স্টেশনস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই সংস্থায় থাকবেন রেল মন্ত্রকেরই অধীনস্থ ইরকন ও ‘রেল ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (আরএলডিএ)-এর প্রতিনিধিরা। সেই লক্ষ্যে দুই সংস্থার মধ্যে আজ মউ সাক্ষর হয়। স্টেশনের সামগ্রিক আধুনিকীকরণ ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকবে ওই সংস্থা। আজ রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, “মূলত যাত্রী পরিষেবা বৃদ্ধি ও স্টেশনগুলিকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করে আয় বাড়ানোর লক্ষ্যেই ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে।” মন্ত্রক চাইছে স্টেশনের পরিকাঠামোকে ব্যবহার করে সেখানে হোটেল, শপিং কমপ্লেক্স খুলতে। সদ্য গঠিত সংস্থাকে প্রতীক্ষালয়গুলির পরিকাঠামো ঢেলে সাজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বয়স্ক যাত্রীরা যাতে সহজে স্টেশনের মুখ থেকে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে পারেন, তার ব্যবস্থাও দেখতে বলা হয়েছে। কিন্তু উন্নয়নে অর্থ কোথা থেকে আসবে, সে নিয়ে মুখ খোলেননি কর্তারা।

সেনা ও পুলিশে সংঘর্ষ পুণেতে
ট্র্যাফিক পুলিশ-সেনা সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পুণে। ভোর রাতে সেনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মোটরবাইক নিয়ে বেরোন দুই সেনা অফিসার। পথে একটি সেতুতে ওঠেন তারা। ঘটনাচক্রে, সেতুটি সাইকেল বা মোটর বাইকের ব্যবহারের জন্য নয়। ফলে সেতু থেকে নামার সময় দুই ট্র্যাফিক কনস্টেবল তাদের ধরেন। হঠাৎ সেখানে আসেন অপর এক কনস্টেবল। তিনি জানান, সেনা এলাকায় হেলমেট না পরার জন্য এক বার তাঁকে হয়রানি পোহাতে হয়েছিল। শুধু জরিমানা দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হবে না ওদের। দুই অফিসারকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দুই সেনা অফিসার ফোন করে প্রায় ৩০-৪০ জন বন্ধুদের নিয়ে ফিরে আসে ওই ট্র্যাফিক পুলিশ চৌকিতে। শুরু হয় ভাঙচুর। কর্মরত কনস্টেবলদের সঙ্গেও অভব্য আচরণ করতে থাকে তারা। এর পরেই শুরু হয় হাতাহাতি। খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন কিছু সাংবাদিক। অভিযোগ, তাঁদের ক্যামেরাও ভেঙে দেয় হামলাকারীরা।

বস্তারে মাওবাদী পার্টি কংগ্রেস, বলছে রিপোর্ট
দশম পার্টি কংগ্রেসের প্রস্তুতি শুরু করেছে মাওবাদীরা। এ বার তাদের এই সম্মেলন হবে ছত্তীসগঢ়ের বস্তার জেলার অবুঝমাড় এলাকার ঘন জঙ্গলে। রাজ্য পুলিশের কাছে গোয়েন্দা বিভাগ এই রিপোর্ট পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্তার জেলার আইজি টি জে লঙ্গকুমার। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পার্টি কংগ্রেস সম্মেলন করে মাওবাদীরা। এর আগে ২০০৭ সালে বিহারের জুমাই এবং মুঙ্গের জেলার সীমানায় ভীমগাঁও জঙ্গলে হয়েছিল তাদের পার্টি কংগ্রেস। এ বারের মাওবাদীদের পার্টি কংগ্রেসের খবর পাওয়ার পরেই অবুঝমাড় এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশকে বিপথে চালিত করতে মাওবাদীরাই পার্টি কংগ্রেসের খবর ছড়িয়েছে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

মাওবাদী পার্টি কংগ্রেস বস্তারে, বলছে রিপোর্ট
দশম পার্টি কংগ্রেসের প্রস্তুতি শুরু করেছে মাওবাদীরা। এ বার তাদের এই সম্মেলন হবে ছত্তীসগঢ়ের বস্তার জেলার অবুঝমাড় এলাকার ঘন জঙ্গলে। রাজ্য পুলিশের কাছে গোয়েন্দা বিভাগ এই রিপোর্ট পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্তার জেলার আইজি টি জে লঙ্গকুমার। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পার্টি কংগ্রেস সম্মেলন করে মাওবাদীরা। এর আগে ২০০৭ সালে বিহারের জুমাই এবং মুঙ্গের জেলার সীমানায় ভীমগাঁও জঙ্গলে হয়েছিল তাদের পার্টি কংগ্রেস। এ বারের মাওবাদীদের পার্টি কংগ্রেসের খবর পাওয়ার পরেই অবুঝমাড় এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশকে বিপথে চালিত করতে মাওবাদীরাই পার্টি কংগ্রেসের খবর ছড়িয়েছে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

ফলক-কাণ্ডে ধৃত ৩
ফলক-কাণ্ডে তিন জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। দু’বছরের পরিত্যক্ত শিশুকন্যা ফলককে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল যে কিশোরী, তার বয়ানের ভিত্তিতেই এই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কিশোরীর বাবা এবং এক মহিলাও। ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই কিশোরীকে জোর করে দেহব্যবসায় ঠেলে দেন তাঁরা। অন্য দিকে, ফলকের প্রকৃত বাবা-মায়ের খোঁজ মেলেনি। এইমস সূত্রের খবর, শিশুকন্যাটির অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁর সংক্রমণ ক্রমে আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আত্মহত্যা-বিরোধী ছাত্রী আত্মঘাতী
আত্মহত্যা-বিরোধী প্রচারে অংশ নেওয়া এক স্কুলছাত্রী আজ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম শেফালি ছায়া (১৬)। ঘটনাটি জামশেদপুরের কদমা অঞ্চলের। স্কুল সূত্রে খবর, পরীক্ষায় তিনটি বিষয়ে ফেল করেছে শেফালি। পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদেই আত্মহত্যা করেছে শেফালির। দিন কয়েক আগে আত্মহত্যা-বিরোধী এক তথ্যচিত্রে অভিনয় করেছিল সে।

বিশিষ্ট সেবা পদক
প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশিষ্ট সেবা পদকে সম্মানিত হলেন অসমের সেনা অফিসার, মেজর জেনারেল প্রণবকুমার ভরালি। ২০০৯ সাল থেকে তিনি,আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরের প্রধান। প্রণবকুমার গোয়ালপাড়ার সৈনিক স্কুল থেকে পাশ করে ন্যাশনাল ডিফেন্স আকাদেমিতে যোগ দেন। ১৯৮২ সালে অ্যাভিয়েশন কোরে হেলিকপ্টার পাইলট হন তিনি। ভরালি, সিয়াচেন-তাওয়াং থেকে কচ্ছের রান অবধি ভারতের সব ধরণের ভূপ্রকৃতিতে ৫০০০ ঘণ্টার বেশি কপ্টার উড়িয়েছেন।

মাজুলির জন্য ১১৬ কোটি
যোজনা কমিশন অসমের মাজুলি দ্বীপকে বন্যা ও ভূমিক্ষয় থেকে বাঁচাতে ১১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মাজুলি সংরক্ষণ প্রকল্পটি দু’টি পর্যায়ে সম্পন্ন হবে। মাজুলিতে থাকা ২২টি সত্রের সংরক্ষণ, অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি রক্ষা, বন্যায় ভাঙা রাস্তা ও সেতুর নির্মাণ এবং দ্বীপবাসীর সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য এই অর্থ খরচ করা হবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.