|
|
|
|
চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে রায় আজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হবে কি না, সে ব্যাপারে আগামিকাল রায় দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী পদে এ রাজার জমানায় যে ১২২টি টু জি
স্পেকট্রাম লাইসেন্স বণ্টন করা হয়েছিল, তা খারিজ করার আবেদন নিয়েও চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে। এ ব্যাপারে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন জনতা পার্টির সভাপতি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এবং আইনজীবী প্রশান্তভূষণ।
উত্তরপ্রদেশের প্রথম দফার ভোট গ্রহণের আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। তার ঠিক আগে এমন স্পর্শকাতর মামলার রায় নিয়ে আজ থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে। প্রধান প্রশ্ন হল, শেষ পর্যন্ত স্পেকট্রাম দুর্নীতি মামলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সি বি আই তদন্তের দাবি নিয়ে কী রায় দেবে আদালত?
রাজনৈতিক সূত্রে বলা হচ্ছে, চিদম্বরমের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ তো বটেই, সর্বোচ্চ আদালতের রায় মনমোহন সরকারের ভবিষ্যতের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। এমনিতেই স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির ঘটনায় চিদম্বরমের ইস্তফার দাবি জানিয়ে চলেছেন বিরোধীরা। সংসদে চিদম্বরমকে বয়কটও করছে বিজেপি। সর্বোচ্চ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলে বিজেপি যে চাপ আরও বাড়াবে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। বিজেপি-র এক নেতার কথায়, স্পেকট্রাম মামলায় তদন্ত শুরু হওয়ার পর ডিএমকে-র একের পর এক মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে চিদম্বরমের বিরুদ্ধে আদালত তদন্তের নির্দেশ দিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে চিদম্বরমকে সরানো ছাড়া মনমোহনের উপায়ান্তর থাকবে না। নইলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠবে। আর আদালত তদন্তের দাবি খারিজ করে দিলে স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তি পাবেন চিদম্বরম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।
চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মূল অভিযোগই হল, টু জি স্পেকট্রাম নিলাম না করা এবং স্পেকট্রামের মূল্য নির্ধারণ করার ব্যাপারে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা একা সিদ্ধান্ত নেননি। সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে চিদম্বরমেরও ভূমিকা ছিল। তা ছাড়া তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব স্পেকট্রাম নিলাম করার যে পরামশর্র্ দিয়েছিলেন, তা-ও মানা হয়নি। এ রাজা এবং চিদম্বরমের মধ্যে স্পেকট্রাম প্রশ্নে যে সব চিঠি বিনিময় হয়েছিল তাও আদালতে পেশ করেছেন স্বামী। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের বিতর্কিত নোটটিও আদালতে পেশ করেছেন তিনি। যে নোটে বলা হয়েছিল, চিদম্বরম চাইলে স্পেকট্রাম বণ্টনের ক্ষেত্রে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি এড়ানো যেত। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারেরা গোড়ায় আদালতে সওয়াল করেছিলেন যে, কার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে, সেটা তারাই স্থির করবে। আর কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চিদম্বরম সরাসরি স্পেকট্রামের মূল্য নির্ধারণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
বিচারপতি জি এস সিঙ্ঘভি এবং বিচারপতি অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ অক্টোবর মাসে রায় স্থগিত রাখে। আগামি কাল বিচারপতি সিঙ্ঘভিই রায় ঘোষণা করবেন। কারণ, কালই বিচারপতি অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায় অবসর নেবেন। |
|
|
|
|
|