মহাকরণে নিজেরই গুলিতে মৃত্যু রক্ষীর |
|
গুলি চলেছে
এই রাইফেল থেকে।
—নিজস্ব চিত্র |
খাস মহাকরণেই গুলিতে মৃত্যু হল এক কনস্টেবলের। পুলিশ জানায়, বুধবার ওই নিরাপত্তারক্ষী নিজেই সার্ভিস রাইফেল থেকে মাথায় গুলি করেন। গুলিতে তাঁর খুলি কার্যত উড়ে গিয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। রাতে সেখানেই মারা যান তিনি। ঘটনার পরেই মহাকরণে যান পুলিশ কমিশনার, ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স)। কেন ওই রক্ষী নিজেকে গুলি করলেন, সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তা জানার চেষ্টা চলছে। ডিসি (সেন্ট্রাল) শ্রী ত্রিপুরারি জানান, ওই কনস্টেবলের নাম সহদেব মণ্ডল (৩০)। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ার ছাতনা থানার বড়া বাখনা গ্রামে। কলকাতা পুলিশের দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের ‘জি’ কোম্পানির জওয়ান ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মহাকরণে ডিউটিতে যান সহদেব। দু’ঘণ্টা পরে চলে যান মহাকরণের ভিতরে তাঁদের অফিসে। রাত ৮টা নাগাদ ফের জি ব্লকে সান্ত্রির ডিউটি দিতে যান ওই রক্ষী। রাত সাড়ে ৮টায় ডিউটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার কিছু আগেই তিনি থ্রি-নট-থ্রি সার্ভিস রাইফেল থেকে নিজের মাথায় গুলি চালান বলে পুলিশ জানায়। তাঁর সহকর্মীরা পুলিশকর্তাদের জানান, গুলির শব্দে তাঁরা ‘সেন্ট্রি বক্স’-এর কাছে ছুটে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় সহদেব পড়ে আছেন। মেঝে ভেসে যাচ্ছে রক্তে।
পুলিশকর্তাদের ধারণা, চিবুকের নীচের দিকে রাইফেল ঠেকিয়ে এক বারই ট্রিগার চেপেছিলেন সহদেব। তাতেই মাথার ডান দিকটা কার্যত উড়ে যায়। সহদেবের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে কল লিস্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে।
|
পুর-সম্পত্তিকর আদায়ে ওয়েভার স্কিম চালু হল বুধবার। চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রথম দিনেই ১৮২ জন প্রায় ১৩ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, কাউন্টার খুলতেই লাইন পড়ে সব কেন্দ্রে। সুদ ও জরিমানার বড় অংশ মকুব হওয়ায় খুশি অনেকে। আগামী ক’দিন এ নিয়ে আরও সচেতনতার প্রচার চলবে। মেয়র পারিষদ (কর মূল্যায়ন) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “১৬৩টি কাউন্টার আছে। ইন্টারনেটেও কর দেওয়া যাবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে জমা পড়েছে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। বাকি কাউন্টারে।” তিনি জানান, মূলত এক লক্ষের নীচে যাঁদের কর বাকি ছিল, প্রথম দিনে তাঁরা দেন।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মোটরবাইক চালকের। মৃতের নাম শুভঙ্কর ঘোষ (৪৩)। গুরুতর জখম আরোহী সুইটি দে হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার নলবনের কাছে একটি গাড়ির সঙ্গে বাইকটির ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলে যান বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। বুধবার মারা যান শুভঙ্কর। মঙ্গলবারই ঠাকুরপুকুরে ডায়মন্ড হারবার রোডে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় পিঙ্কু দাস (২৪) নামে এক অটোচালকের। পুলিশ জানায়, অটো গ্যারাজে রেখে ফিরছিলেন তিনি।
|
বাড়ির পাশের পুকুরে এক গৃহবধূর দেহ মিলল বুধবার, দক্ষিণ শহরতলির রামকৃষ্ণপুরে। মৃতা মানসী দাস (৩৫) শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর স্বামী নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। পুলিশ জানায়, বুধবার পায়ে ও কোমরে ইট বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ ভেসে ওঠে। মৃতার বাবা বলেন, “মেয়ে খুন হয়েছে।”
|
অবসাদেই মেট্রোয় ঝাঁপ ছাত্রের |
যতীন দাস পার্ক স্টেশনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে মৃত যুবকের পরিচয় বুধবার জানা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, আদিত্য গোয়েনকা (১৯) নামে ওই তরুণ বর্ধমানের সীতারামপুরের বাসিন্দা। তিনি কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের বিকম প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ছাত্রাবাসে থাকতেন। মঙ্গলবার দমদমগামী একটি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। পড়াশোনা নিয়ে ওই তরুণ মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে প্রাথমিক জদন্তে জানা গিয়েছে।
|
রেলিং ভেঙে মাঠে লরি, আহত দুই |
একটি মাল বোঝাই লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যাসাগর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের রেলিং ভেঙে নীচে পড়ে যাওয়ায় চালক ও খালাসি আহত হয়েছেন। পুলিশি সূত্রের খবর, লরিটি খিদিরপুর থেকে লিলুয়া যাচ্ছিল। গভীর রাতে হাওড়ার দিকে ওই সেতুর কাজিপাড়া অ্যাপ্রোচ রোডের কাছে মোড় ঘোরার সময় স্টিয়ারিং আটকে যায়। লরিটি রেলিং ভেঙে ১২ ফুট নীচে মাঠে গিয়ে পড়ে। এলাকার লোকজনই চালক ও খালাসিকে হাসপাতালে পাঠান। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানায়, দিনের বেলা দুর্ঘটনা ঘটলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। কারণ লরিটি যে-মাঠে পড়েছে, অধিকাংশ সময়েই সেখানে খেলাধুলো চলে। |