সীমান্ত এলাকার উন্নয়নে কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দের পুরোটা গত কয়েক বছর ধরেই খরচ করতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ। এই খাতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যেক বছরই পশ্চিমবঙ্গকে কোটি কোটি টাকা দেয়। কিন্তু তা খরচ করায় রাজ্যের গাফিলতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব (সীমান্ত ব্যবস্থাপনা) এ ই আহমেদ।
সীমান্তবর্তী এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজকর্ম পর্যালোচনা করতে আজ রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় সচিব। মন্ত্রক সূত্রের খবর, বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। অসন্তোষের কারণ, উন্নয়ন প্রকল্পের ১০০ শতাংশ অর্থ কেন্দ্র দিলেও তা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে উঠতে পারেনি রাজ্য সরকার। বরাদ্দ অর্থের ৫ শতাংশ স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশিক্ষণ বা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার জন্য ব্যয় হওয়ার কথা। তা-ও হয়নি। উন্নয়ন প্রকল্পগুলির পর্যবেক্ষক হিসেবে কোনও তৃতীয় নিরপেক্ষ সংস্থাকে নিয়োগ করার কথা। তা-ও করা হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রের কাছে ২০১০-’১১ অর্থবর্ষ পর্যন্ত হিসেব রয়েছে। নতুন সরকার আসায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেই আশা করছে কেন্দ্র। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্র দফতরটি নিজের হাতেই রেখেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্ম সচিব অমল কুমার দাস আজ কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, নতুন প্রকল্প গ্রহণে রাজ্য প্রশাসন উদ্যোগী হবে। |
পড়ে থাকা অর্থ |
২০০৭-’০৮ |
১১.৫৫ |
|
২০০৮-’০৯ |
৫.৯৯ |
২০০৯-’১০ |
৪.৮৭ |
২০১০-’১১ |
৩০.৯৮ |
কোটি টাকা
|
|
সীমান্তবর্তী এলাকার পরিকাঠামো ও সাধারণ মানুষের আর্থিক ক্ষমতায়নের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। উদ্দেশ্য, সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ, জাল নোট, মাদক বা অস্ত্র চোরাচালান ও অন্যান্য অপরাধমূলক কাজকর্ম রোখা। এক দিকে যেমন রাস্তাঘাট তৈরি করার ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সুবিধা হবে, তেমনই সাধারণ মানুষের জন্য কর্মসংস্থান বা আয়ের সুযোগ তৈরি করে দিলে তাঁরাও অপরাধমূলক কাজে কম জড়িয়ে পড়বেন বলে মন্ত্রকের মত। দেশের ১৭টি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গকেও এই প্রকল্পে ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়। যার বাৎসরিক পরিমাণ এখন বাড়তে বাড়তে ৮০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সীমান্ত দিয়ে জাল নোট পাচারে যখন পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে, তখন এই ধরনের প্রকল্পের অর্থ ঠিকমতো ব্যয় বেশি হওয়া আরও বেশি জরুরি বলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের মত।
|
ভুলের ফাঁদে রাজ্য কর্মীদের নয়া পরিচয়পত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মীদের জন্য লাল, সবুজ, হলুদ রঙের ল্যামিনেশন করা নতুন পরিচয়পত্র দিচ্ছে রাজ্য। কিন্তু অফিসারদের লাল রঙের পরিচয়পত্রে অশোক স্তম্ভের নীচের আবশ্যিক ‘সত্যমেব জয়তে’ কথাটি দেখা যাচ্ছে না বলে অর্থসচিবের কাছে অভিযোগ করেছে ওয়েস্টবেঙ্গল পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টস অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ, নতুন পরিচয়পত্রে কে কোন ‘সার্ভিস’-এ কাজ করেন এবং তাঁর শরীরে দৃশ্যমান কোনও বিশেষ পরিচয়জ্ঞাপক চিহ্ন আছে কি না, তারও উল্লেখ নেই। অথচ কাগজে ছাপা পুরনো পরিচয়পত্রে সবই ছিল। নতুন পরিচয়পত্র দেওয়ার দায়িত্বে আছে স্বরাষ্ট্র দফতর। ওই দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, সবই তাদের নজরে এসেছে। যে-সব পরিচয়পত্র তৈরি বাকি আছে, সেগুলিতে ত্রুটি এড়াতে উচ্চতর আধিকারিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিলি হয়ে যাওয়া ‘ত্রুটিযুক্ত’ লাল পরিচয়পত্রগুলিও বদলে দেওয়া হবে। |