দলমার জঙ্গলে পূর্ণবয়স্ক এক দাঁতাল হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। দু’টি দাঁত কাটা অবস্থায় গত কাল হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যদিও ঘটনার পিছনে চোরাশিকারিদের হাত থাকার সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছে বন দফতর। আজ রাজ্য বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, মৃত হাতির দু’টি দাঁতই দলমা পাহাড় লাগোয়া কুডমুর গ্রামে পাওয়া গিয়েছে। কয়েক জন গ্রামবাসী হাতির দাঁত দু’টি স্থানীয় বন দফতরে এসে দিয়ে গিয়েছেন। দুটি দাঁতের ওজন হবে আনুমানিক ২০ কিলোগ্রাম। প্রশ্ন ওঠে হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে কু-মতলব না-থাকলে হাতির দাঁত দুটি কেটে নেওয়া হয়েছিল কেন? কারাই বা হাতির দাঁত দুটি কেটে নিয়েছিল। সরাসরি এ প্রশ্নের জবাব স্থানীয় বন বিভাগ থেকে মেলেনি। রাজ্য বন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অশোককুমার সরকার জানিয়েছেন, যে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে তার বয়স আনুমানিক ৭০-৭৫। আঘাতজনিত কারণে কয়েক দিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় হাতিটি একটি জলাশয়ের মধ্যে ছিল। রবিবার জলাশয় থেকে উঠতে গিয়ে হাতিটি মারা যায়। মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে দলমা পাহাড় লাগোয়া কুডমুর গ্রামের কিছু মানুষ গিয়ে দাঁত দুটি কেটে নিয়ে যায়। খবর চাউর হতেই বনকর্মীরা তল্লাশি শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ভয়েই হয়তো গ্রামের কিছু মানুষ হাতির দাঁত দুটি বন দফতরে ফেরত দিয়ে গিয়েছে।
|
ডুয়ার্সের নাগরাকাটায় চিতাবাঘের আক্রমণে ৩জন চা শ্রমিক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকাল ৩টার সময় নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চা বাগানের ডায়না ডিভিশনে ঘটনাটি ঘটেছে। বাগানের শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, বাগানের শ্রমিক অরুণ ওঁরাও , গঙ্গারাম মারান্ডি মুন্ডা এবং রকি মারান্ডি মুন্ডা বাগানে ওই এলাকায় ছাগল খুঁজতে যান। সেই সময় চিতাবাঘটি তাঁদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তিনজনকে জখম করে অবশ্য চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের চালসা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। গঙ্গারাম এবং রকিকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। দুই জনের বুকে, পিঠে এবং কোমরে আঘাত রয়েছে। অরুণ চালসা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণ (২) বিভাগের ডিএফও কল্যাণ দাস জানান, শীতের সময় চা বাগানে চিতাবাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ওই এলাকায় বনকর্মীদের নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। আহতদের চিকিংসার খরচ বন দফতর বহন করবে বলে কল্যাণবাবু জানান।
|
ফের গন্ডারের আক্রমণে জখম হলেন বনরক্ষী। ঘটনাটি ঘটেছে কাজিরাঙায়। রেঞ্জার দেবেন কলিতা জানান, গত কাল বাগোরি রেঞ্জার ডিফলুমুখ শিবিরের কাছে টহলদার বনরক্ষীরা শাবক-সহ এক গন্ডারের সামনে পড়ে যান। গন্ডারটি তাঁদের তাড়া করলে পূর্ণ বর্মণ নামে এক রক্ষী পড়ে যান। গন্ডার পূর্ণবাবুকে গুঁতোতে থাকে। সঙ্গী অন্য বনরক্ষীরা পূর্ণবাবুকে বাঁচাতে কয়েক রাউন্ড গুলি চালালে গন্ডারটি শাবক নিয়ে চলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় পূর্ণবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে চলতি মাসে এই নিয়ে তিনবার কাজিরাঙার বনরক্ষীরা গন্ডারের আক্রমণের মুখ্য পড়েছেন। একটি ক্ষেত্রে, আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোয় একটি গন্ডারের মৃত্যু হয়।
|
চুরি করা গরু হাটে বিক্রির চেষ্টা করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার দুপুরে বিনপুরের হাট থেকে দু’টি গরু-সহ পুলিশ হৃষিকেশ মাহাতোকে গ্রেফতার করে। খাতড়ার ডুমুরিয়া গ্রামে তার বাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে খাতড়া থানার কাঁকড়াদাঁড়া গ্রামের এক বাসিন্দার গোয়াল থেকে দু’টি গরু চুরি হয়। সেই অভিযোগে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
|
ডুয়ার্সের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়ায় উদ্ধার হল একটি গর্ভবতী বুনো হাতির মৃতদেহ। মঙ্গলবার সকালে বনকর্মীরা টহল দেওয়ার সময়ে বছর দশেকের ওই বুনো হাতিটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মৃত হস্তিনীর দেহের পিছনে গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। ঘটনাস্থলে হাতির মল ছাড়াও গাছের প্রচুর ভাঙা ডালপালা পড়ে ছিল। মিলেছে প্রচুর রক্তের দাগ। প্রাথমিক তদন্তের পরে বনকর্তাদের সন্দেহ, ওই গর্ভবতী হাতিটির সঙ্গে কোনও বুনো দাঁতাল জোর করে সহবাস করার চেষ্টা করায় মৃত্যু হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা রবীন্দ্র পাল সাইনি বলে, “হস্তিনীর দেহে যে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে সেগুলি কোনও দাঁতালের বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে।” রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “হাতির মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বনকর্তাদের কাছে মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।”
|