আমাদের স্কুল |
জুজারসা প্রাণনাথ মান্না ইনস্টিটিউশন |
প্রতিষ্ঠা ১৯১৫।
ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১৭৪০।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ৩৫ জন।
পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকা ৪ জন।
গ্রন্থাগারিক ১ জন।
করণিক ২ জন।
২০১১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২৫ জন।
উত্তীর্ণ-১২৩ জন।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ২৬৩ জন।
উত্তীর্ণ-২৫০ জন। |
|
|
প্রবীরকুমার কোলে
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিক |
|
শতাব্দীপ্রাচীন এই বিদ্যালয়ে পরিকাঠামোর কিছু সমস্যা আছে |
১৯১৫ সালের উল্টোরথের দিন জুজারসাহা গ্রামের জমিদার পরিবারের দুই সহোদর পুণ্যশ্লোক স্বর্গীয় গগনচন্দ্র মান্না ও স্বর্গীয় আশুতোষ মান্না মহাশয়দ্বয়ের মহতী প্রচেষ্টায় তাঁদের পিতৃদেব স্বর্গীয় প্রাণনাথ মান্না মহাশয়ের স্মৃতির উদ্দেশে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে এই বিদ্যালয় নির্মাণ করেন। ১৯১৫ সালেই এই বিদ্যালয় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন লাভ করে ম্যাট্রিকুলেশন পর্যন্ত। এই বিদ্যালয় থেকে প্রথম বছরেই দু’জন ছাত্র ম্যাট্রিকুলেশনে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তাঁরা হলেন
১) ফকির চন্দ্র সরকার ও
২) মন্মথনাথ পাত্র।
এখন বিদ্যালয় শতবর্ষের দোরগোড়ায়। শতাব্দীপ্রাচীন এই বিদ্যালয় থেকে বহু ছাত্রছাত্রী কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করে ভারতবর্ষ তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত। ১৯৫৭ সালে একাদশ শ্রেণির অনুমোদন লাভ করে। এর পর ১৯৭৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির অনুমোদন পায়। এখন উচ্চমাধ্যমিক কাউন্সিলের এ গ্রেড তালিকাভুক্ত। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য তিনটি বিভাগই বর্তমান। বিদ্যালয়ের চারটি ল্যাবরেটরি যথেষ্ট উচ্চমানের। |
|
একজন ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্টের অভাব অনুভব করি। লাইব্রেরি আছে, তবে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যার তুলনায় বই অপ্রতুল। ক্রীড়া বিভাগে ছাত্রছাত্রীরা যথেষ্ট ভাল। কয়েক বার রাজ্যস্তরে অ্যাথলেটিক্সে ও ভলিবলে পুরস্কার এনেছে। বিদ্যালয়ের খেলার স্থানটি বিদ্যালয় থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে হওয়ায় ঠিক ঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। বিদ্যালয় সংলগ্ন একটা মাঠ খুব প্রয়োজন। বিদ্যালয়ে কম্পিউটার আছে, কিন্তু স্থায়ী শিক্ষকের অভাবে কম্পিউটারকে আবশ্যিক করা যাচ্ছে না। বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটির চার দিকে যে ফাটল ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে তা এখনই মেরামতের প্রয়োজন। এর জন্য চাই অনুদান। ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল রাখার খুব অসুবিধা। একটা সাইকেল শেড খুব দরকার। মাতৃসম এই প্রতিষ্ঠানটি এলাকাবাসীর গর্ব। এর উন্নতির জন্য তারা যথেষ্ট সচেতন। বিদ্যালয়ের সমস্ত স্টাফের পূর্ণ সহযোগিতা পাই। বিদ্যালয়ের আশ্রমিক পরিবেশটি বড় মনোরম। আমি এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে গর্ব অনুভব করি।
|
আমার চোখে |
সর্বশীষ হাজরা
ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট বয় |
|
পঞ্চম শ্রেণি থেকে এই বিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে উপলব্ধি করেছি এই বিদ্যালয় আমাদের মায়ের মতো। বিদ্যালয়ের পড়াশোনার অনুকূল ও মনোরম পরিবেশ, শৃঙ্খলা আমাকে মুগ্ধ করে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক-সহ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকার আন্তরিকতা আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায় ও ভাল ফল করতে সাহায্য করেছে। পড়াশোনা ছাড়াও বিদ্যালয়ের খেলাধুলার মান খুবই উন্নতবিশেষত ভলিবল ও অ্যাথলেটিক্স। বিদ্যালয়ের কম্পিউটার রুম, গ্রন্থাগার ও ল্যাবরেটরির সুব্যবস্থা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে শ্রেণিকক্ষে প্রজেক্টরের ব্যবহার ও সম্প্রতি পড়াশোনায় একাগ্রতা বৃদ্ধির জন্য নির্মিত মেডিটেশন কক্ষ পড়াশোনার প্রতি অনুপ্রেরণা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আমার চোখে এই বিদ্যালয় একাধারে মা ও মনুষ্যত্বের মাতৃশালা। |
|