|
|
|
|
|
|
খেয়াল রাখুন
|
|
দ্বাদশ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাঁরা ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে আগ্রহী, তাঁদের প্রথমে সর্বভারতীয় স্তরে আয়োজিত আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসতে হয়। একই সঙ্গে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে
হয় ওই ইউনিভার্সিটি থেকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের অধীন।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি-র অধীনে যে সব কলেজ রয়েছে, সেগুলি হল নবি মুম্বইয়ের টি এস চাণক্য, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (মুম্বই এবং কলকাতা), ন্যাশনাল মেরিটাইম অ্যাকাডেমি (চেন্নাই) এবং ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি-র মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা এবং বিশাখাপত্তনম ক্যাম্পাস। এই বিষয়টিতে আরও বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য দেখে নিতে পারেন প্রতিষ্ঠানের www.imu.tn.nic.in ওয়েবসাইটটি।
|
পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হচ্ছে। পাঠ্যক্রমগুলি হল, তিন বছরের পি জি ডিপ্লোমা ইন ডিরেকশন, তিন বছরের পি জি ডিপ্লোমা ইন সিনেমাটোগ্রাফি, তিন বছরের পি জি ডিপ্লোমা ইন এডিটিং, দু’বছরের পি জি ডিপ্লোমা ইন অ্যাক্টিং ইত্যাদি। আবেদনপত্র-সহ তথ্যপুস্তিকা দেওয়া চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। জমার শেষ দিন ২৯ ফেব্রুয়ারি। অন লাইনেও আবেদন করা যাবে। দেখে নিন www.ftiindia.com ওয়েবসাইটটি।
|
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর |
|
|
প্রশ্ন: ‘নাটা’ পড়তে আগ্রহী। বিষয়টি কোথায় পড়ানো হয় জানাবেন? চাকরির সুযোগই বা কতটা?
গার্গী দত্ত, ঝাড়গ্রাম
উত্তর: প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, ‘নাটা’ কিন্তু কোনও পাঠ্য বিষয় নয়। ‘নাটা’ কথাটির অর্থ হল ‘ন্যাশনাল অ্যপ্টিটিউড টেস্ট ইন আর্কিটেকচার’।
যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী দ্বাদশের পর রাজ্য স্তরে অথবা কেন্দ্র স্তরের কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে আর্কিটেকচার বা স্থাপত্যবিদ্যার প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে আগ্রহী, তাঁদের আলাদা ভাবে ‘নাটা’ পরীক্ষায় বসতে হয়। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আর্কিটেকচার নিয়ে পড়ার জন্য ভর্তি হতে হলে ‘নাটা’ পরীক্ষায় বসা বাধ্যতামূলক। বি আর্ক অর্থাৎ ব্যাচেলর ইন আর্কিটেকচার পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য ‘নাটা’ বা ন্যাশনাল অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ফর আর্কিটেকচারস পরীক্ষাটি নেওয়ার কারণ হল, এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অর্থাৎ স্থাপত্যবিদ্যা পড়ার অ্যাপ্টিটিউড কতটা রয়েছে, তা কিছুটা যাচাই করে নেওয়া।‘নাটা’-র দুটি ভাগ রয়েছে। দু’ ঘণ্টার একটি ড্রয়িং টেস্ট এবং এক ঘণ্টার অনলাইন অ্যাসথেটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট। ন্যাশনাল অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ফর আর্কিটেকচার সম্পর্কে আরও তথ্য মিলবে www.nata.in ওয়েবসাইটে। |
|
প্রশ্ন: দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী (বিজ্ঞান বিভাগে)। এ বার ইচ্ছে, এয়ারক্রাফট মেন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং বা এ এম ই পড়ার। রাজ্যে এবং রাজ্যের বাইরে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে বিষয়টি পড়ানো হয়, সেগুলির নাম জানালে খুব উপকৃত হব।
অরুণিমা পল্যে, সাত্রাগাছি
উত্তর: প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, এ এম ই বা এয়ারক্রাফট মেন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রমটি পড়ানো হয় ডি জি সি এ স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে। সময়ে সময়ে ডি জি সি এ অর্থাৎ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির মেয়াদ বাড়ায় বা স্বীকৃতিদানে বিরত থাকে। খুঁটিয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো, শিক্ষকমণ্ডলী ইত্যাদি বিষয় পর্যবেক্ষণ করার পরই স্বীকৃতি বা স্বীকৃতির মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় তারা। নীচে দেশের কয়েকটি এয়ারক্রাফট মেন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা জানানো হল। ২০১১-র মার্চ পর্যন্ত ডি জি সি এ-র স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতেই এই নামগুলি উল্লেখ করা হচ্ছে। তবে ভর্তির সময় ফের একবার প্রতিষ্ঠানগুলির খুঁটিনাটি দেখে নেওয়া প্রয়োজন। তাদের স্বীকৃতি আছে কি না সেটাও ডি জি সি এ-র ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে হবে। এখানে কোন প্রতিষ্ঠানে এএমই-র কোন শাখা চালু, তাও জানানো হল।
• এরোনটিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, লক্ষ্নৌ। (মেকানিক্যাল শাখা)
• অ্যালপাইন ইনস্টিটিউট অফ এরোনটিক্স, দেরাদুন। (মেকানিক্যাল ও অ্যাভিওনিক্স)
• ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ এরোনটিক্স, নয়াদিল্লি। (মেকানিক্যাল ও অ্যাভিওনিক্স)
• ভারত ইনস্টিটিউট অফ এরোনটিক্স, পটনা। (মেকানিক্যাল ও অ্যাভিওনিক্স)
• ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ এরোনটিক্যাল সায়েন্স, জামশেদপুর। (মেকানিক্যাল ও অ্যাভিওনিক্স)
• ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ এরোনটিক্যাল সায়েন্স, কলকাতা। (মেকানিক্যাল ও অ্যাভিওনিক্স)
• এয়ারক্রাফট মেন্টেনেন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, বারাসত। (মেকানিক্যাল)
• ফ্লাইটেক অ্যাভিয়েশন অ্যাকাডেমি, সেকেন্দ্রাবাদ। (মেকানিক্যাল, অ্যাভিওনিক্স)
• হিন্দুস্তান অ্যাভিয়েশন অ্যাকাডেমি, বেঙ্গালুরু। (মেকানিক্যাল ও অ্যাভিওনিক্স)
এ ছাড়াও দেশ জুড়ে আরও অনেকগুলি এ এম ই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। তবে এমন কয়েকটি এ এম ই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও কিন্তু রয়েছে, যেগুলিকে ডি জি সি এ পুনরায় স্বীকৃতি দানে বিরত থেকেছে। তাই ভর্তির সময় dgca.nic.in ওয়েবসাইট দেখবেন অবশ্যই। এমনকী সরেজমিনে ট্রেনিং ইনস্টিটিউটটিও দেখে নেবেন। |
|
|
|
|
|