কপি খেতে হাতির দাপাদাপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
হাতির হানায় বিনষ্ট হল খেতে ফলানো তাজা বাঁধাকপি। গন্ডারের হানায় ভাঙল বেশ কয়েকটি সাইকেল। চিতাবাঘের আঁচড়ে জখম হল শিশু। প্রথমটি যোরহাট, দ্বিতীয়টি কামরূপ এবং তৃতীয়টি গুয়াহাটির চিড়িয়াখানার ঘটনা।
বনবিভাগ সূত্রে খবর, মাস দুয়েক ধরেই যোরহাটের ব্রহ্মপুত্র চরে হাতির পাল ঘুরে বেড়াচ্ছে। বনরক্ষীদের বহু চেষ্টাতেও তাদের জঙ্গলমুখী করা যায়নি। কাল রাতে নিমাতিঘাট এলাকায় চলে আসে হাতিরা। কম করেও ৭০টি হাতির পায়ের চাপে প্রায় দশ বিঘা বাঁধাকপি খেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে চাষিরা ওই ফসল ফলিয়েছিলেন তাঁদের এখন মাথায় হাত।এ দিকে, পবিতরা অভয়ারণ্য থেকে বের হয়ে আসা একটি গন্ডার প্রায় ১৫ কিলোমিটার হেঁটে আজ সকালে কামরূপ জেলায় ক্ষেত্রীতে চলে যায়। মালোইবাড়ি এলাকায় ওই গন্ডারের গুেঁতায় বেশ কিছু সাইকেলের ক্ষতি হয়েছে। বনরক্ষীরা গন্ডারটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি, আজ বেলা ১২টা নাগাদ গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায় খাঁচার সামনে ছবি তুলতে গিয়ে, চার বছরের একটি শিশু চিতাবাঘের থাবার আঁচড়ে জখম হয়। তবে, তার আঘাত গুরুতর নয়। চিড়িয়াখানার কর্মীরা জানান, বছর তিনেকের চিতাবাঘটি চিড়িয়াখানার চিকিৎসক বিজয়কৃষ্ণ গগৈয়ের স্ত্রীর কাছে লালিত। ওই চিকিৎসকের স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে তাকে খাঁচায় রাখা হয়। চিতাবাঘটি হিংস্র নয়। খাঁচার একেবারে সামনে যাওয়াতেই এই কাণ্ড। রেঞ্জার পরেশ দাস বলেন, “শিশুটির রক্ত বের হয়নি। তবে, সাবধানতার জন্য চিড়িয়াখানার কর্মীরা তাকে ওষুধের দোকানে নিয়ে যান।” |
পরিবেশ রক্ষায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শুধুমাত্র ব্যবসা করেই মুনাফা নয়। এ বার পরিবেশ সচেতন হয়ে লাভের অঙ্ক বাড়াতে চায় এ রাজ্যের নির্মাণ সংস্থাগুলি। এই লক্ষ্যে নির্মাণ শিল্পের সংগঠন ক্রেডাই-এর রাজ্য শাখা গাঁটছড়া বেঁধেছে নোবেলজয়ী পরিবেশবিদ রাজেন্দ্র পাচৌরির সংস্থা ‘দি এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট’ (টেরি)-এর সঙ্গে। পরিবেশ বান্ধব বাড়ি গড়তে টেরি একটি মূল্যায়ন ব্যবস্থা ‘গৃহ’ এনেছে। এর সুবিধা পেতে চায় ক্রেডাই। |
দাপাল বাইসন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
রবিবার সকাল থেকে দলছুট একটি বাইসন দাপিয়ে বেড়াল ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের খয়েরকাটা গ্রামে। পরে বাইসনটি ঢুকে পড়ে কলাবাড়ি চা বাগানে। এ দিন গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ে বাইসনটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মালবাজার বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের কর্মীরা। বনকর্মীদের সাহায্যে সেটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে অজ্ঞান করে তোতাপাড়ার জঙ্গলে ছাড়া হয়। |
হস্তিশাবকের দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
সদ্যোজাত হস্তিশাবকের দেহ উদ্ধার হল বন্যপ্রাণ ৩ বন বিভাগের কোদালবস্তির জঙ্গলে। শনিবার বিকেলে কোদালবস্তি রেঞ্জের বড়ডাবরিতে দেহটি দেখতে পান বনকর্মীরা। ডিএফও রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “মৃত শাবকের বয়স হবে আনুমানিক২-৩ দিন। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, প্রসবের সময় কোনও অসুবিধে হওয়ায় শাবকটির মৃত্যু হয়। মৃতদেহটির ময়না তদন্ত করে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।” |