সলমন রুশদির আসার খবর আগেভাগে জানানোটাই চূড়ান্ত ভুল হয়েছিল বলে মন্তব্য করলেন জয়পুর সাহিত্য উৎসবের অন্যতম আয়োজক সঞ্জয় রায়। তাঁর মতে, সাহিত্য উৎসব উপলক্ষে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’-এর লেখক যে জয়পুরে আসছেন, সেটা না জানালেই ভাল হত। ২০০৭ সালেও এই উৎসবে রুশদি ঘুরে গিয়েছিলেন। তবে সে বার তাঁর উপস্থিতি নিয়ে আগাম প্রচার না থাকায় কোনও সমস্যাই হয়নি। তবে সঞ্জয়বাবু এও জানান, বিতর্কিত লেখককে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও রাজস্থান সরকারের থেকে তাঁরা কোনওরকম অসহযোগিতা পাননি। যদিও শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার অভাবে উৎসবে আসেননি রুশদি। সরকারি অনুমতি থাকা সত্ত্বেও হুমকির জেরে বাতিল করতে হয় তাঁর ভিডিও কনফারেন্সও।
রবিবার একটি সাক্ষাৎকারে সঞ্জয়বাবু বলেন, “পরিস্থিতি বিচার করলে, রুশদির আসার খবরটা আগে জানিয়ে দেওয়া আমাদের মস্ত ভুল।” তাঁর মতে, রাজস্থানের গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরের উপর ভিত্তি করেই রুশদি জয়পুর সফর শেষ পর্যন্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে আশঙ্কা করা হয়েছিল, লেখকের উপর আক্রমণ চালাতে পারে মৌলবাদীরা। সঞ্জয়বাবুর কথায়, “রাজস্থান সরকার আমাদের একবারও বলেনি, রুশদিকে আসতে বারণ করো। পুলিশও যথেষ্ট নিরাপত্তার আয়োজন করেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বিচার করে এবং গোয়েন্দা তথ্য শুনে ওই সময়ে রুশদির সফর বাতিলের সিদ্ধান্তটাই একেবারে ঠিক ছিল।” রুশদির যদিও অভিযোগ, রাজস্থানের গোয়েন্দারা নিরাপত্তার সমস্যা নিয়ে তাঁকে বানানো গল্প শুনিয়েছেন।
ডিগ্গি প্রাসাদে রুশদির ভিডিও কনফারেন্স বাতিলের ঘটনা নিয়েও এ দিন মুখ খোলেন সঞ্জয়বাবু। তাঁর কথায়, “প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল, ভিডিও কনফারেন্স হচ্ছেই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যখন দেখি প্রায় পাঁচ হাজার দর্শক উপস্থিত রয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হাতে চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে, তখনই অনুষ্ঠানটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোনও একজনও যদি ওই স্ত্রিনের দিকে চেয়ার ছুড়তেন, তা হলেই ঝামেলা শুরু হয়ে যেত। পদপৃষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা ছিল। তা ছাড়া বিভিন্ন গোষ্ঠীর থেকে আমরা যে ভাষায় হুমকি পেয়েছি, সেটাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের খানিকটা বাধ্য করেছিল।” |