টুকরো খবর
মাধবনদের বক্তব্য শুনতে চাইল কেন্দ্র
এস ব্যান্ড অনুমোদন নিয়ে ডেভাস মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, সে সম্পর্কে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন প্রধান মাধবন নায়ার-সহ চার বিজ্ঞানীর বক্তব্য শুনতে রাজি হল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী বলেন, “আমরা ওঁদের বক্তব্য শুনতে প্রস্তুত। ওঁদের ব্যাখ্যা জানা দরকার।” মাধবনদের ব্যাখ্যা যুক্তিসঙ্গত হলে শাস্তি ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হবে কী না জানতে চাওয়া হলে নারায়ণস্বামী বলেন, “সেটা এখনই কেমন করে বলব? আগে ওঁদের কথা শুনি।” প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে মাধবন-সহ ওই চার বিজ্ঞানীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে সরকার। শাস্তি অনুযায়ী, তাঁরা কোনও সরকারি পদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এর পরই মাধবন আইআইটি পটনার চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন। ওই চার বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের তত্ত্বাবধানে ডেভাসের সঙ্গে ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা অ্যান্ট্রিক্সের যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়।

দুর্নীতিগ্রস্তরাই আদর্শ, ক্ষোভ নারায়ণমূর্তির
দুর্নীতিগ্রস্ত, অসৎ চরিত্রের মানুষই এখন ভারতের তরুণ প্রজন্মের কাছে আদর্শ হিসেবে উপস্থিত হচ্ছে বলে মনে করছেন ইনফোসিসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ মূর্তি। আজ এক অনুষ্ঠানে দেশের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন মূর্তি। তিনি জানান, দেশে সৎ, আদর্শবান মানুষের মানুষের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। তার বদলে অসৎ উপায় অবলম্বন করে মানুষ সহজেই প্রচুর অর্থ উপার্জন করে ফেলছে। সমাজের প্রভাব ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠছে তারা। এর ফলে সমাজের তরুণ প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। এর আগে দেশে উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইনফোসিস-এর চেয়ারম্যান এমেরিটাস নারায়ণমূর্তি। এ দিন তিনি বিদেশে চাকরি করার ক্ষেত্রে ভারতীয়দের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । নারায়ণমূর্তি বলেন, “ভারতীয়রা খুব সহজেই অপমানিত হন। সব সময়ই মনে করেন যে দেশের বাইরে সবাই ভারত এবং ভারতীয়দের নিচু করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এটা ঠিক নয়।” তাঁর মত, অন্য দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে ঠিক ভাবে পরিচিত না হওয়ার ফলেই এ রকম ঘটনা ঘটছে। এ কারণে ছোট বয়স থেকেই বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে আর মাতৃভাষা ছাড়াও অন্তত আরও দু’টি ভাষা শেখা উচিত। তাঁর কথায়, “নিজের রাজ্য ছাড়া অন্য রাজ্য বা দেশে গেলে, সেই অঞ্চলের ভাষা জানা থাকলে সেখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে সুবিধা হয়। এর ফলে কাজেও উন্নতি করা যায়।” তাঁর পরামর্শ, ভারতীয়দের সমাজের আগে পরিবারকে রাখার প্রবণতা বন্ধ করা উচিত। না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন দেখে ধরা দিল মাত্র ৫ জঙ্গি
সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার জন্য মাওবাদীদের প্রতি ঝাড়খণ্ড সরকারের আবেদনে তেমন সাড়া মিলল না। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঝাড়খণ্ড সরকারের ওই আবেদন প্রকাশিত হওয়ার এক মাসের মধ্যে গত কালই প্রথম খুঁটি জেলার তিন মাওবাদী এবং দুই পিএলএফআই কর্মী অস্ত্রশস্ত্র-সহ আত্মসমপর্ণ করেছে বলে পুলিশের দাবি। গত ৩০ ডিসেম্বর ‘নববর্ষের নয়া দিশা’ শীর্ষক বিজ্ঞাপন দিয়ে এক মাসের সময়সীমায় সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার জন্য মাওবাদীদের উদ্দেশ্যে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল, মাওবাদীদের ‘এক মাসের জন্য সুবর্ণ সুযোগ’ দেওয়া হচ্ছে। আত্মসমপর্ণকারী মাওবাদী এবং তাদের পরিবারের পুনর্বাসনে আর্থিক প্যাকেজ-সহ রাজ্য সরকার কী সাহায্য দেবে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও ছিল ওই বিজ্ঞাপনে। কিন্তু তাতেও জঙ্গিদের তরফে তেমন সাড়া মেলেনি। ঝাড়খণ্ড পুলিশেরই একাংশের ধারণা, সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার সরকারি ওই আবেদন কিংবা পুনর্বাসনের আর্থিক প্যাকেজ এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মাওবাদীদের মনে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। পুলিশ জানায়, কাল খুঁটি জেলার বন্ধগাও, নাগরি ও খুঁটি এলাকা থেকে অস্ত্র-সহ পাঁচ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। এসডিপিও অশ্বিনীকুমার সিংহ জানান, ওই পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন মাওবাদী ক্যাডার। তাঁরা পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন চারটি একনলা বন্দুক, একটি ৯এমএম পিস্তল এবং পাঁচটি ল্যান্ডমাইন (১৫-২০ কেজি ওজন)। রাজ্য পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আত্মসমর্পণকারী পাঁচ জনকেই পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হবে।

নিয়ে আপত্তি তুললেন শরদ
খাদ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে ফের আপত্তি তুললেন শরদ পওয়ার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়ার পরে বিলটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। তার পরেও একটি টিভি চ্যানেলকে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, কৃষি উৎপাদন বাড়ানো না গেলে এই বিল রূপায়ণ করা মুশকিল। আর উৎপাদন বাড়াতে হলে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তাঁর কথায়, “আমার ক্ষোভ একটি জায়গায়। আমার গোটা মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ ২০ হাজার কোটি টাকা। আর খাদ্যে ভর্তুকিরই পরিমাণ, এই মুহূর্তে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরে তা ১ লক্ষ কোটিতে পৌঁছতে পারে।” দেশের ৬৫ শতাংশেরও বেশি মানুষের কাছে কম মূল্যে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে এই বিলে এবং বিলটি আনার পিছনে মূল উদ্যোগ ইউপিএ সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর। সাক্ষাৎকারে বিষয়টির উল্লেখ করা হলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “এটা কোনও ব্যক্তিবিশেষের বিষয় নয়। এটা কৃষিতে বিনিয়োগের বিষয়।” কৃষিমন্ত্রী হিসেবে শরদ অবশ্য ধারাবাহিক ভাবেই এই বিলের রূপায়ণ নিয়ে আপত্তি তুলছিলেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকেও বলেছিলেন, পর্যাপ্ত অর্থ না পেলে এই বিল রূপায়ণ করা মুশকিল হবে। এ ছাড়া দেশে খরা হলে কী হবে বা গণবণ্টন ব্যবস্থা ঢেলে না সাজলে কী ভাবে খাদ্য পৌঁছনো যাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, খাদ্যমন্ত্রক হারানোর পরে ক্ষুব্ধ পওয়ার নানা ভাবে ধারাবাহিক ভাবেই তাঁর ক্ষোভ জানিয়ে থাকেন। এটা নতুন নয়। আর খাদ্য সুরক্ষা বিল ধাপে ধাপে রূপায়ণ করা হবে। ফলে তা নিয়ে এখনই সংশয়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে না কংগ্রেস।

জন্মসাল ঠিক করতে নির্দেশ দিলেন অ্যান্টনি
সেনাপ্রধান ভিকে সিংহের জন্মসাল ঠিক করার জন্য সেনাবাহিনীর অ্যাজুট্যান্ট জেনারেল (এজি) শাখায় চিঠি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনি। অ্যাজুট্যান্ট জেনারেল সেনাবাহিনীর প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ। তাঁর অফিসের তথ্যে সেনাপ্রধানের জন্মসাল রয়েছে ১৯৫১। সূত্রের খবর, চিঠিতে সেটি ১৯৫০ করতে বলা হয়েছে। গত সপ্তাহেই এজি শাখার কাছে এই চিঠি পাঠান অ্যান্টনি। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ভিকে সিংহের বয়স বিতর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। তার আগেই অ্যান্টনির এই চিঠি সেনাপ্রধানের বয়স বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এজি শাখার তথ্য অনুযায়ী সেনাপ্রধান ভিকে সিংহের জন্মসাল ১৯৫১ সালের ১০ মে। কিন্তু সরকারি নথিতে তাঁর জন্মসাল ১৯৫০ সালের ১০ মে। ভিকে সিংহও জানিয়েছেন তাঁর জন্মসাল ১৯৫১। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ভিকে সিংহের মতবিরোধ হয়। কারণ ১৯৫০ সালকে জন্মসাল ধরলে চলতি বছরের মার্চে তাঁকে অবসর নিতে হবে। আর ১৯৫১ সালকে জন্মসাল ধরলে আরও ১০ মাস সেনাপ্রধানের দায়িত্ব সামলাতে পারবেন ভিকে সিংহ। তাই তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের একটি সংগঠনের জনস্বার্থ মামলা শীর্ষ আদালত খারিজ করে দেয়।

১৩/৭ চক্রী গাওলির জিমে
এক সময়ের দাপুটে মাফিয়া ডন অরুণ গাওলির জিমন্যাসিয়ামের সদস্য ছিল ১৩/৭ বিস্ফোরণ কাণ্ডের এক অভিযুক্ত। এ কথা জানিয়েছে মুম্বই পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী শাখা (এটিএস)। এটিএস প্রধান রাকেশ মারিয়ার দাবি, এই ব্যক্তিই একটি বিস্ফোরক রাখার কাজ করেছিল। সম্প্রতি এই ঘটনায় নাকি আহমেদ ও নাদিম আখতার নামে দুই অভিযুক্তের গ্রেফতারির কথা জানিয়েছিল এটিএস। যে দু’জন বিস্ফোরক রাখার কাজ করেছিল তাদের পরিচয় সে দিন প্রকাশ করেননি মারিয়া। তাদের ‘অভিযুক্ত এ’ ও ‘অভিযুক্ত বি’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল পুলিশ। মারিয়া জানান, মুম্বইয়ের বাইকুল্লা এলাকায় গাওলি পরিবারের একটি জিমন্যাসিয়াম রয়েছে। তাতে যোগ দিয়েছিল এই দুই অভিযুক্তের এক জন।

নালিশ কেন, হাত-পা কাটল অভিযুক্তরা
ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এক দলিত যুবকের হাত-পা কেটে ফেলল তিন জন। মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার এক গ্রামের ঘটনা। দলিত যুবক জগদীশের খেত থেকে কিছু দিন আগে বিদ্যুতের মিটার চুরি গিয়েছিল। এ নিয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় নালিশ ঠোকেন বছর সাতাশের জগদীশ। সেই রাগেই ওই তিন জন কাল সকালে কুড়াল ও ধারালো অন্য অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপরে। কুপিয়ে হাত-পা কেটে ফেলে তাঁর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জগদীশকে ভোপালের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও কেউ ধরা পড়েনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কান্তিলাল ভুরিয়া এই ঘটনার তীব্র আক্রমণ করে বলেছেন, গোটা রাজ্যেই প্রশাসন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। জগদীশকে আজীবন ৫ হাজার টাকা করে সরকারি-সহায়তা দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।

আজ ভোট পঞ্জাবে
আগামীকাল পঞ্জাবে বিধানসভা ভোট। ১১৭ টি আসনে ১ হাজার ৭৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। এর মধ্যে রয়েছেন দুই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীক্ষমতাসীন এসএডি-বিজেপি জোটের প্রকাশ সিংহ বাদল এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের অমরেন্দ্র সিংহ। ভোটকে শান্তিপূর্ণ করতে পঞ্জাব পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীর ২০০ কোম্পানি জওয়ান নিয়োগ করা হয়েছে। ১৯ হাজার ৮৪১টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে ৩২টিকে ‘সংবেদনশীল’ এবং পাঁচটিকে ‘অতি সংবেদনশীল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান এক নির্বাচন আধিকারিক। এসএডি-বিজেপি জোট, কংগ্রেস এবং বসপা ১১৭টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.