সরস্বতী পুজো। অথচ খিচুড়ি নেই। তা আবার হয় নাকি!
খিচুড়ি-প্রসাদ বিলি না হওয়ায় শনিবার সকাল থেকে প্রায় ঘণ্টা ছয়েক রাস্তা অবরোধ করল ছাত্রছাত্রীরা। কোচবিহারের দিনহাটার ভেটাগুড়ি লালবাহাদুর শাস্ত্রী হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অবরোধে সামিল হয়েছিলেন অভিভাবকেরাও। ফলে ওই রাস্তায় যান চলাচল থমকে যায় এ দিন সকাল থেকেই। দুপুর তিনটে নাগাদ প্রশাসনের কর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। তাঁদের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
দিনহাটার মহকুমাশাসক অগাস্টিন লেপচা বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। খিচুড়ি বিলি না হওয়াটা উপলক্ষ মাত্র। আলোচনার পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। অবরোধ উঠে যায়।”
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর সরস্বতী পুজোয় পড়ুয়াদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। এ বার চাঁদা তোলার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু, এ দিন অঞ্জলি দেওয়ার পর ছেলেমেয়েরা জানতে পারে খিচুড়ি খাওয়ানো হবে না। এরপরেই ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। আশপাশের গ্রাম থেকে চলে আসেন অভিভাবকেরাও। বেলা ৯টা নাগাদ স্কুলের সামনেই রাস্তার উপরে বসে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা।
কিন্তু চাঁদা নিয়েও কেন খিচুড়ি হল না এ দিন? স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলে নির্মাণ কাজ চলছে। তাই সরস্বতী পুজোর দিন নয়, আগামী বুধবার পড়ুয়াদের খিচুড়ি খাওয়ানো হবে বলে জানানো হয়। এ ব্যাপারে স্কুলে নোটিশও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তাঁরা। স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক শিবানন্দ বর্মন বলেছেন, “এ বার ঠিক হয়েছিল পুজোর পরে, বুধবার খিচুড়ি খাওয়ানো হবে। গোলমালের খবর পেয়ে এসে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে আলোচনা করে অবশেষে সমস্যা মেটে।”
তবে ্বরোধের ফলে আটকে পড়েন যাত্রীরা। তাঁদেরই এক জন প্রদীপ সাহা বলেন, “স্কুলের খিচুড়ি না হওয়াতেও পথ অবরোধ, ভাবতে পারেন!” অবরোধের ফলে ভেটাগুড়ি থেকে প্রান্তিক বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা হেঁটেই পানি দিতে হয় যাত্রীদের। |