শিলিগুড়ি নরক গুলজার
সাত দিন পরে শুরু সাফাই অভিযান
মা জঞ্জালে শিলিগুড়ির নাভিশ্বাস অবস্থা কাটতে চলেছে। শেষ পর্যন্ত শনিবার সরস্বতী পুজোর সকালে সাফাই অভিযান শুরু করল পুরসভা।
তবে গত সাত দিনের জমা জঞ্জালের দায় নিয়ে পুরসভায় ইতিমধ্যেই চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। এ দিন সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ তৃণমূলের দুলাল দত্ত দাবি করেন, মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত কয়েক দিন শহরে না-থাকায় এই অসুবিধে হয়েছে। তিনি বলেন, “ডাম্পিং গ্রাউন্ডে লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা জঞ্জাল ফেলতে দিচ্ছেন না। মেয়রও শিলিগুড়িতে নেই। এই অবস্থায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।” তিনি জানান, ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল থেকে বিদ্যুৎ তৈরির একটা পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার। এ দিন মেয়র ফিরে আসার পরে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই ফের সাফাই অভিযান শুরু হয়েছে শহরে।
শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড়ে জমে আছে জঞ্জাল। বিশ্বরূপ বসাক।
তবে মেয়র পারিষদের ভূমিকায় কংগ্রেস কাউন্সিলরদের একাংশ ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ দুলালবাবু ‘দায়’ এড়াতেই মেয়রের না-থাকা’কে ‘অজুহাত’ হিসেবে খাড়া করছেন। এ ব্যাপারে তিনি নিজেই ওই এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বুঝিয়ে জঞ্জাল ফেলার ব্যবস্থা করতে পারতেন। মেয়র গঙ্গোত্রীদেবী বলেন, “আমি শহরের বাইরে থাকলেও পুরসভায় যোগাযোগ রেখেছিলাম। ফলে আমাকে জিজ্ঞেস করেই ওই কাজ করা যেত।” তিনি জানান, এ ব্যাপারে সকলেরই ‘সম্মিলিত দায়িত্ব’ রয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরেই ডাম্পিং গ্রাউন্ড লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা দূষণের অভিযোগে জঞ্জাল ফেলতে বাধা দিচ্ছেন। ফলে জঞ্জাল ফেলা যাচ্ছে না বলে দায় এড়িয়ে গিয়েছিল পুর কর্তৃপক্ষ। শহরের সর্বত্র জঞ্জাল জমতে থাকে। সরস্বতী পুজোর মুখে সাফাই বিভাগ জঞ্জাল সরাতে উদ্যোগী না-হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মেয়র পারিষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
ইতিমধ্যেই বিধান মার্কেট, হিলকার্ট রোড, সেবক রোড-সহ বহু জায়গায় স্তুপাকৃত জঞ্জাল জমে রয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়ি, কলেজপাড়াতেও একই অবস্থা। উদ্বিগ্ন শহরের নার্সিংহোমগুলিও। কারণ, সাত দিন ধরে সেখানকার আবর্জনা না-সরানোয় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। তবে পুরসভার দাবি, রবিবারের মধ্যে শহরের সব জায়গা থেকেই জমা জঞ্জাল সরিয়ে ফেলা হবে। তবে মেয়র ও মেয়র পারিষদের কাজিয়ায় পুরসভার বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলামের কটাক্ষ, “গোটা শহর নোংরায় ভরে গিয়েছে। পুরসভায় সমন্বয় বলে কিছু আছে বলে তো মনে হচ্ছে না!”

গন্ডার ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক চা-বাগানে
গন্ডারের আতঙ্কে ঢেকিয়াজুলি চা বাগানের কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার ওরাং রাজীব গাঁধী জাতীয় উদ্যান থেকে একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী গন্ডার মিলনের জন্য বের হয়ে যায়। পরে, পুরুষটি ফিরে এলেও স্ত্রী গন্ডারটি জাতীয় উদ্যানের উল্টোদিকে হাঁটা লাগায়। আজ সকালে,২০ কিলোমিটার দূরে ঢেকিয়াজুলি চা বাগানে ঢুকে পড়ে সে। সকালে চা বাগানে কাজ করতে আসা কর্মীরা গন্ডার দেখে ভয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। বনরক্ষীরা গন্ডারটির পিছনে ধাওয়া করে ঢেকিয়াজুলি আসেন। এ দিকে, গন্ডার দেখতে আশপাশে বেশ কিছু লোক জমে যাওয়ায় গন্ডারটিকে জঙ্গলের পথে ফেরত নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। অত্যুৎসাহী গ্রামবাসীদের সরিয়ে নিয়ে যেতে পুলিশের সাহায্য চান তাঁরা। রাতের খবর, গন্ডারটিকে শহরে ঢুকে পড়া থেকে বিরত করার চেষ্টা চলছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.