|
|
|
|
ডাকঘর |
নন্দকুমার স্মৃতিফলক |
বহরমপুর শহরের উত্তর দিকের শেষ প্রান্ত সৈয়দাবাদ-কুঞ্জঘাটা অঞ্চলে মহারাজা নন্দকুমার রোড থেকে পূর্ব দিকে প্রসারিত হয়েছে দুর্গানাথ লেন। ওই দুর্গানাথ লেনে অষ্টাদশ শতকের প্রথম দিকে (প্রাক-পলাশি যুগ) মহরাজা নন্দকুমারের বাসভবন নির্মীত হয়। তার অবশ্য কোনও অস্তিত্ব বর্তমানে নেই। যদিও বহু পর্যটক ইতিহাস চেতনার টানে আজও সেখানে আসেন। কিন্তু তাঁরা খুঁজে পান কেবল পুরাতন ইটের তৈরি একটি একটি ভঙ্গপ্রায় তোরণ। ওই তোরণের উপর দিকে রয়েছে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটি স্মৃতি ফলক। ওই ফলকে লেখা রয়েছে ‘Here Resided Maharaja Nandakumar in 1775 A.D’ ফলে পর্যটকরা হতাশ হয়ে ফিরে যান। উল্লেখ্য, ইংরেজদের বিরোধিতা করার জন্য সাজানো ও মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে পরিকল্পিত ভাবে কলকাতায় অবস্থিত তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইলিয়াজা ইম্পের নির্দেশে মহারাজা নন্দকুমারকে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। একদা ভারতে ইংরেজ বিরোধী ভারতীয় জাতীয় চেতনার বিকাশে নন্দকুমারের ফাঁসি গভীর রেখাপাত করেছিল। ‘মুর্শিদাবাদ যুগে যুগে’ নামে বহরমপুর থেকে সাম্প্রতিক কালে প্রকাশিত একটি গ্রন্থে বলা হয়েছে, কুঞ্জঘাটায় মহারাজা নন্দকুমারের বাসভবন নামে খ্যাত প্রাসাদটি সম্ভবত অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে কুঞ্জঘাটা রাজপরিবারের রাজা সত্রাজিৎ রায়ের পুত্র জগচ্চন্দ্র নির্মিত। তিনি মহারাজা নন্দকুমারের জ্যেষ্ঠ জামাতা। নন্দকুমার কিছু দিন সেখানে বসবাস করেছিলেন। |
|
পরবর্তীকালে ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি কুমার দুর্গানাথের আমলে (১৮৪৩-১৮৯৩) রাজবাড়ির সম্মুখের দর্শনীয় অংশটি নির্মীত হয়। তবে একদা মহারাজা নন্দকুমার কুঞ্জঘাটা রাজবাড়ির যে অংশে বসবাস করতেন, সেই অংশটি ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে প্রশ্ন উঠতে পারে, মহারাজা নন্দকুমারের বাসভবন কোনটি? ১৯৫৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সাংসদ প্রয়াত অরুণচন্দ্র গুহের প্রশ্নের উত্তরে তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কলাম আজাদ ও উপশিক্ষা মন্ত্রী কে ডি মালব্য লোকসভায় (Document No. 6. Loksabha) এক বিবৃতিতে জানান, ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদাবাদ জেলার কুঞ্জঘাটায় অবস্থিত মহারাজা নন্দকুমারের বাসভবন সম্পর্কে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষিত হলে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগকে সরজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। রিপোর্ট অনুসারে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী সংসদে বলেন, “কুঞ্জঘাটায় মহারাজা নন্দকুমারের বাসগৃহ বলে কথিত প্রাসাদের যে অংশটি এখনও অক্ষত আছে তা আদৌ মহারাজার বাসগৃহ নয়। বাসগৃহ বলে যা ছিল তা ১৮৯৭ ক্রিস্টাব্দের ভূমিকম্পে ধবংস হয়ে গিয়েছে। বাসগৃহের এমন কোনও অংশ অবশিষ্ট নেই যা স্মৃতিসৌধ হিসাবে সংরক্ষিত হতে পারে, অথবা মেরামত করা যেতে পারে। তবে সেখানে একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করা যেতে পারে, যেখানে মহারাজার নাম ও সংক্ষিপ্ত জীবনী লেখা থাকবে। তা করা হয়েছে এবং রাজ্য সরকার তাতে সন্তুষ্ট।” বিষয়টির সঙ্গে জাতীয় আবেগ জড়িত। তাই মহারাজা নন্দকুমারের বহরমপুরের বাড়ি নিয়ে ইতিহাসপ্রেমী মানুষ ও পর্যটকদের বিভ্রান্তি দূর করতে বিষয়টি উত্থাপন করা হল। প্রস্তাব, ‘পলাশি মনুমেন্ট’-এর আদলে কুঞ্জঘাটার ওই স্থানে ‘মহারাজা নন্দকুমার স্মারকস্তম্ভ’ নির্মাণে কেন্দ্র, রাজ্য, পুরাতত্ত্ব ও পর্যটন বিভাগের উদ্যোগী হওয়া জরুরি। নতুবা ‘নন্দকুমার স্মৃতিফলকটি’ও অচিরেই হারিয়ে যাবে। |
বিষাণকুমার গুপ্ত, বহরমপুর
|
ঝাঁকসুকে নিয়ে মেলা হোক |
এখন শীতকালে চার দিকে মেলা ও উৎসব চলছে। বইমেলা, শিল্পমেলা গ্রামীণ মেলা---আরও কত মেলা। মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম লোকশিল্প ‘আলকাপ’। সেই আলকাপের সম্রাট চাঁই সম্প্রদায়ের সন্তান প্রয়াত ঝাঁকসুর জন্মভিটে জঙ্গিপুর শহরের অনতিদূরে ধনপত নগরে। সরকারি উদ্যোগে সেখানে আজও ঝাঁকসুর স্মরণে কোনও মেলা বা উৎসব হয় না। স্থাপিত হয়নি ঝাঁকসুর কোনও মূর্তিও। আলকাপ শিল্পীরাও দারিদ্রের কারণে অন্য পেশায় ঝুঁকেছেন। সরকার এ ব্যপারে নজর না দিলে অচিরে আলকাপ নামের লোকসংস্কৃতি অবলুপ্ত হয়ে যাবে। |
শান্তনু সিংহ রায়, জঙ্গিপুর
|
বয়স্কদের কথা ভাবুন |
কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় চলাচল করে এমন সরকারি বাসে বয়স্ক যাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষিত রয়েছে। অথচ কলকাতা-উত্তরবঙ্গ রুটের দীর্ঘ যাত্রা পথে সরকারি বাসে বয়স্ক যাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষিত নেই। বেসরকারি বাসে কিন্তু বয়স্কদের জন্য আসন সংরক্ষিত রয়েছে। পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে আবেদন, কলকাতা-উত্তরবঙ্গ রুটে সরকারি বাসে বয়স্ক যাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষিত করা হোক। |
কাশীনাথ ভকত, জঙ্গিপুর |
|
|
|
|
|