স্থায়ী কাজ চেয়ে ব্রাত্যর ঘরের সামনে বিক্ষোভ |
পূর্ণ সময়ের কাজ এবং উপযুক্ত বেতন-কাঠামোর দাবিতে কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের একটি সংগঠন মঙ্গলবার দুপুরে বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। ওই শিক্ষকদের স্থায়ী করার জন্য রাজ্য সরকার যে-সব ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভেবেছে, বিক্ষোভকারীরা তারও বিরোধিতা করছেন। বিক্ষোভের সময় শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য ঘরে ছিলেন না। বিক্ষোভকারীদের তরফে মমতা সরকার জানান, গত এপ্রিল থেকে তাঁদের বেতন বাবদ কোনও অর্থই দিচ্ছে না রাজ্য। বিভিন্ন কলেজ যে যেমন পারছে, সেই ভাবেই বেতন দিচ্ছে। মমতাদেবী বলেন, “বেতন নিয়ে এই অনিশ্চয়তার মধ্যে এখন শুনছি, আংশিক সময়ের শিক্ষকদের স্থায়ী করার লক্ষ্যে প্রথমে কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে। সেখানে না-পারলে স্কুল সার্ভিস কমিশন মারফত পরীক্ষা নিয়ে চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে। কেউ যদি সেখানেও না-পারেন, তা হলে কলেজের তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে স্থায়ী করার কথা ভাবা হচ্ছে। এতে আমরা অপমানিত।” বেতন দিতে দেরি কেন? বিকাশ ভবনের এক আধিকারিক জানান, অনেক কলেজই আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বেতন বাবদ অর্থ চেয়ে আবেদনপত্র পাঠাতে দেরি করেছে। তার জেরেই শিক্ষকদের বেতন দিতে দেরি হচ্ছে। তিনি বলেন, “শুধু আংশিক সময়ের শিক্ষক নয়, পূর্ণ সময়ের শিক্ষকেরাও কাজে যোগ দেওয়ার পরে বেতন পেতে দেরি হয়। তবে আংশিক সময়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে যে এতটা দেরি হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। কিছু কলেজের জন্যই এই গোলমাল। আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বেতনের টাকা ছাড়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।”
|
মনোজের ইস্তফার চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে |
দলীয় নেতৃত্বের সম্মতি মিলেছিল আগেই। অবশেষে মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠালেন মনোজ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার বেলা ২টো নাগাদ তাঁর আপ্ত-সহায়কের মাধ্যমে ওই পদত্যাগপত্র মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়ে দেন মনোজবাবু। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়ে কয়েক দিন আগে দলীয় হাইকম্যান্ডের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার ওই সদস্য। নেতৃত্বের তরফে সবুজ সঙ্কেত পেয়েই এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে ইস্তফার চিঠি মহাকরণে পাঠান তিনি। মনোজবাবুর ছেড়ে যাওয়া দফতরে এখনও কাউকে মন্ত্রী করেনি কংগ্রেস। |