টুকরো খবর
হাতির দল বেলিয়াতোড়ে
হাতি খেদানো অভিযানের মাধ্যমে ১০০ হাতির দলকে বড়জোড়া থেকে বেলিয়াতোড়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া (উত্তর) বনবিভাগের ডিএফও এস কুলন ডেইভাল। তিনি বলেন, “দলটি বড়জোড়া থেকে বেলিয়াতোড়ের বৃন্দাবনপুর বিটের কাঁটাবেশিয়ার জঙ্গলে পৌঁছেছে। আশা করছি মঙ্গলবার রাতেই বিষ্ণুপুর বনবিভাগের দিকে দলটিকে এগিয়ে দিতে পারব।” তবে যাওয়ার পথে দেজুড়ি, মনোহর, সংগ্রামপুর, গদারডি, কোটগ্রামে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ভেঙেছে কিছু মাটির বাড়িও। আবার বিষ্ণুপুর বনবিভাগের বাঁকাদহের রেঞ্জে থাকা ৫০টি হাতির অন্য দলটি বুধবারও হামলা চালিয়েছে কলাবাগান, ভালকি, শালদহ, পিয়ারডোবা ইত্যাদি গ্রামে। বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ বলেন, “প্রতিদিনই ক্ষতিগ্রস্তরা রেঞ্জ অফিসে ভিড় জমাচ্ছেন। দ্রুত হাতি খেদানো অভিযানে নামব।”

চিতাবাঘকে লাঠি-পেটা
লাঠি মেরে চিতাবাঘ তাড়ালেন এক ব্যক্তি। সোমবার রাতে নাগরাকাটা এলাকার কেরন চা বাগানে ঘটনাটি ঘটে। ওই চা বাগানের শ্রমিক ডাহারু ওঁরাও চিতাবাঘের আক্রমনের মুখে পড়েন। বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি হাতের লাঠি দিয়ে চিতাবাঘটিকে পাল্টা আঘাত করেন। ভয়ে চিতাবাঘ পালিয়ে যায়। ডাহারুর বুকে ও পিঠে চিতাবাঘের আঁচড়ও লাগে। তাঁকে চালসা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক শুশ্রুষা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। ডাহারু জানান, গরু খুঁজতে রাতে তিনি কেরন চা বাগানের ৩৬ নং সেকশনে গেছিলেন। তখনই তিনি চিতাবাঘের হামলার মুখে পড়ে যান। হাতে গরু চড়াবার লাঠি ছিল বলেই তিনি চিতাবাঘের সাথে লড়াই করতে পেরেছেন বলে জানান। এ দিকে চিতাবাঘের আক্রমণের ঘটনাটি জানার পরে কেরন চা বাগানের শ্রমিক মহলে আতঙ্ক ছড়ায়। চলতি মাসের ১৩ তারিখে মালবাজার মহকুমাতেই রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বারোঘরিয়া এলাকাতে একটি চিতাবাঘ হামলা চালায়। ওই ঘটনায় ৪ জন জখম হয়। অন্যদিকে, চিতাবাঘটিও স্থানীয়দের আঘাতে মারা যায়। কেরন চা বাগানে ফের যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্যে বনকর্মীদের নজরদারি বাড়ানো হবে বলে জানান জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণ-২ বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডিএফও কল্যান দাস। তিনি বলেন ফের কেরন চা বাগানে চিতাবাঘটিকে দেখা গেলে ফাঁদ পাতা হবে।

মাকনা মৃত্যুর তদন্তে দফতর
মহানন্দার জঙ্গলে বিষক্রিয়ায় বুনো মাকনার মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামল বন দফতর। সোমবার পশু চিকিৎসক মলয় মাইতি এবং উমাশঙ্কর সেন হাতিটির দেহ ময়না তদন্তের সময়ে মুখে রক্তের দাগ ছাড়াও অন্ত্রের ভিতরে যে খাবারের অবশেষ উদ্ধার করেন সেগুলি পুরোপুরি কালো হয়ে গিয়েছিল। চা বাগানের কীটনাশক থেকে বিষক্রিয়া ঘটে তাকতে পারে বলে বনকর্মীদের একাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করলেও প্রাথমিক তদন্তেই বনকর্তারা সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। দার্জিলিঙের বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও সিদ্ধার্থ রায় বলেন, “এখন চা বাগানে পাতা তোলার সময় নয়। এই সময়ে কীটনাশক ছড়ানো হয় না। তবে স্পষ্ট করে আমরা কিছু বলছি না। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।” পশু চিকিৎসকদেরও ধারণা, এমন কিছু হাতিটি খেয়েছিল যাতে শরীরে বিষক্রিয়া ঘটে যায়। তবে সেটা কীটনাশক নয় বলে তাঁদেরও ধারণা। পশু চিকিৎসকরাও ফরেনসিক তদন্তের রিপোর্টের উপরেই জোর দিয়েছেন। সোমবার সকালে মহানন্দা অভয়ারণ্যে গোলাঘাট ওয়াচ টাওয়ার লাগোয়া কারগিল রোডের পাশে ৬১ নম্বর প্ল্যানটেশনের পাশে কয়েকজন বনবস্তির বাসিন্দা দেখতে পান। সুকনার জঙ্গলেই এটি সারা বছর ঘুরে বেড়ায় বলে বনকর্মীদের কাছেও অচেনা ছিল না। লোকালয়ের খাবারেও এটি অভ্যস্ত ছিল। সেই কারণেই হাতিটির শরীরে কী ভাবে বিষক্রিয়া ঘটল তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। হাতিটির দেহ উদ্ধারের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান দার্জিলিঙের বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও। দুপুরেই ময়না তদন্ত হয়। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয় দেহাংশ।

রাতে হাতির হামলা
দোকান ভেঙে ঢুকে চাল, ডাল খেয়ে নিল তিনটি বুনো হাতি। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েতের মৌরীজোত এলাকায়। এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকেও হাতির পাল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ওই এলাকায় যান নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বন কর্মাধ্যক্ষ সুনীল ঘোষ।

সম্বরের মৃত্যু
লোকালয়ে বার হয়ে মানুষের তাড়া খেয়ে একটি সম্বরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে ধূপগুড়ি ব্লকের নাথুয়া গ্রাম সংলগ্ন এলাকায়। নাথুয়া রেঞ্জের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে সম্বরটি হরিণখাওয়া ও ডাউকিমারি গ্রামে ঢুকলে লোকজন তাড়া করে। ছোটাছুটির পরে সেটি জলঢাকা চরে গিয়ে মারা যায়। বন দফতর অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছে।

ভস্মীভূত পোলট্রি
আগুনে ভস্মীভূত হল একটি পোলট্রি। মারা গিয়েছে প্রায় চার হাজার মুরগি। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার উত্তর কোদালিয়া গ্রামে। গ্রামবাসী ও দমকলের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.