সারদাপল্লি কন্যা বিদ্যাপীঠ |
প্রতিষ্ঠা ১৯৫৭।
ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৮০০।
শিক্ষিকা ২৮ জন। পার্শ্বশিক্ষিকা ৩ জন।
অশিক্ষক ৩ জন। করণিক ১ জন।
২০১২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থিনী ৮৮ জন।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থিনী ৪০ জন
|
|
|
রুমা দাস
(ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা) |
|
গ্রন্থাগার ও গবেষণাগারের সমস্যায় ভুগছে স্কুলের ছাত্রীরা |
১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় ‘সারদাপল্লী কন্যা বিদ্যাপীঠ’। বৃহত্তর গ্রামীণ ভদ্রেশ্বরের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় নারীশিক্ষার মহামন্ত্র। বর্তমানে এই সীমারেখা প্রসারিত। ভদ্রেশ্বর রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম দিকে সারদাপল্লি গ্রামের প্রকৃত নির্মাতা ও রূপকার ছিলেন স্বামী ত্যাগীশ্বরানন্দ মহারাজ। পল্লির মধ্যে কিছু জমি রেখেছিলেন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য। প্রতিষ্ঠাতা ও সংগঠকদের মহতী প্রচেষ্টায় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে অক্লান্ত ও অকুণ্ঠ পরিশ্রমে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পঠন-পাঠনের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের শুভারম্ভ হয়। পুনর্বাসন দফতরের অর্থসাহায্য নিয়ে ২.৯ একর জমিতে শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক ভঙ্গিতে এই বিদ্যালয়। |
বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ক্রীড়া জগতে বিভিন্ন ক্রীড়াকলাপে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে চলেছে। তা ছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি সঙ্গীত, আবৃত্তি, ক্যুইজ, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা ইত্যাদিতে ছাত্রীরা খুবই সফল। বিদ্যালয়ের প্রকট অভাবের মধ্যে আছে উন্নতমানের পয়ঃপ্রণালী এবং পানীয় জলের সুব্যবস্থা, উপযুক্ত লাইব্রেরি ও বিজ্ঞানের ছাত্রীদের গবেষণাগার, দৈনন্দিন সমস্যাও নানাবিধ। যেমন, গ্যারেজ, পাহারার জন্য আলোর সুবন্দোবস্ত, বিদ্যালয়ের ভিতরের চলাচলের রাস্তা ও উন্নত মানের শ্রেণিকক্ষ, উপযুক্ত অফিস রুম দরকার। বেশির ভাগ ছাত্রীরা আর্থ-সামাজিক দিক থেকে অনগ্রসর। বিদ্যালয়ের শ্রেণি শিক্ষিকারা দুঃস্থ ছাত্রীদের সমস্যাগুলি সহমর্মিতার সঙ্গে বিবেচনা করেন। বহু ছাত্রীকে বিনা বেতনে পড়াশোনা করার সুযোগ দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের স্বপ্ন প্রাঙ্গণে মা সারদাময়ীর মর্মরমূর্তি স্থাপন। আগামী দিনে হুগলি জেলার চন্দননগর মহকুমায় অন্তর্গত এই বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হোক এই প্রত্যাশা।
|
আমার চোখে |
|
রঞ্জিতা পাল
(ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট গার্ল) |
|
স্কুলের অনেক শিক্ষিকা আমাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশেন। যার ফলে আমরা তাঁদের কাছে আমাদের পড়াশোনা বিষয়ে যে কোনও রকম অসুবিধার সমাধান খুব সহজেই জেনে নিতে পারি। শুধু পড়াশোনাই নয়, আমাদের বিদ্যালয় খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র সব দিকেই এগিয়ে আছে। বিভিন্ন সময়ে পুরস্কৃতও হয়ে এই স্কুল। গত বছরে আমাদের স্কুল খো খো খেলায় ডিস্ট্রিক্ট লেভেলে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ২০১১-১২ সালে স্টুডেন্ট হেলথ হোমসের রাজ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সারদাপল্লী কন্যা বিদ্যাপীঠ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই সব মিলে এই বিদ্যালয় আমার মন্দিরের মতো। যেখানে আদর্শ মানুষ তৈরির যজ্ঞ চলছে এবং সেই যজ্ঞের পুরোহিত হলেন এই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাগণ। |