মেমোগেট কেলেঙ্কারির শুনানিতে হাজির হলেন না প্রধান সাক্ষী মনসুর ইজাজ। তবে কমিশনের তলব পেয়ে এলেন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক।
ইজাজ আগেই জানিয়েছিলেন, পাক সরকার তাঁর নিরাপত্তার ‘নিশ্চয়তা’ না দেওয়ায় তিনি সাক্ষ্য দিতে আসবেন না। এ দিন পাক সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তিন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কমিশনে পাক বংশোদ্ভূত এই মার্কিন ব্যবসায়ীর আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলকে পাকিস্তানে না আসার ব্যাপারে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের অফিসারেরা নিয়মিত হুমকি দিচ্ছেন। এমনকী সাক্ষ্য দিতে এলে তাঁর নাম ‘নিয়ন্ত্রিত বহিরাগত’দের তালিকায় তোলা হতে পারে বলেও ভয় দেখানো হয়েছে, যার ফলে তাঁর পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। এর পরেই কমিশন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিককে তাদের সামনে এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানাতে নির্দেশ দেয়।
পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে কমিশনের দফতরে হাজির হয়ে রেহমান মালিক জানান, ইজাজের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। তাঁর মন্ত্রকের তরফে কোনও রকম হুমকি দেওয়া হয়নি ইজাজকে। তিনিও ইজাজকে নিয়ে কিছু বলেননি। তাঁর মুখে সংবাদমাধ্যম কথা বসিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি কমিশনকে আশ্বস্তও করেন, সাক্ষ্য দিতে এলে ইজাজকে সব রকম নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ইজাজের নাম যে ‘নিয়ন্ত্রিত বহিরাগত’দের তালিকায় তোলা হবে না সে বিষয়েও কমিশনকে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এ দিকে, দুবাইয়ে প্রাক্তন পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই প্রধান সুজা পাশার গোপন বৈঠক হয়েছে বলে দাবি করেছে একটি পাক দৈনিক। যদিও বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
|
বিষাক্ত গ্যাসে মৃত ৪ ভারতীয়
সংবাদসংস্থা • দুবাই |
সচেতনতার অভাবে প্রাণ হারালেন হামাদ শহরের চার ভারতীয় শ্রমিক। রাতে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে বন্ধ ঘরে ড্রামের মধ্যে কাঠ জ্বালিয়ে শুয়েছিলেন ৫ ভারতীয়। সেই ধোঁয়ার বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসই কেড়ে নিল তাঁদের মধ্যে চার জনের প্রাণ। পঞ্চম ব্যক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর নাম সুনীল শশীধরন। এঁরা প্রত্যেকেই কেরলের বাসিন্দা। শ্রমিক ইউনিয়নগুলির প্রধান আহমেদ-আল হাইকি বলেন, “সচেতন হলে কেউ বন্ধ ঘরে কাঠ জ্বালিয়ে ঘুমোতেন না। শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে চার জন প্রাণ হারালেন।” |