|
|
|
|
|
খেয়াল রাখুন
তথ্য সংকলন: কৌলিক ঘোষ |
|
|
সংখ্যালঘুদের জন্য প্রশিক্ষণ |
কর্মহীন সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদের জন্য ‘স্মল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’-এ চার মাসের একটি সার্টিফিকেট পাঠ্যক্রম আনল বণিকসভা বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির অধীন এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (ইডিআই)। পাঠ্যক্রমটির ফি-এর দুই তৃতীয়াংশ অনুদান দেবে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও আর্থিক নিগম (ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটিজ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কর্পোরেশন বা ডব্লিউবিএমডিএফসি)। মুসলিম, খ্রিষ্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি ছেলেমেয়েরা আবেদন করতে পারেন। বয়স হতে হবে ১৮-৩৫ বছর। নূন্যতম দ্বাদশ পাশ বা সমতুল শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। পরিবারের সর্বোচ্চ আয় শহরে বসবাসকারীদের জন্য বছরে ৫৫,০০০ টাকা ও গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য বছরে ৪০,০০০ টাকা হলে, তবেই আবেদন করা যাবে। মোট কোর্স ফি ৬,০০০ টাকা। নির্বাচিত প্রার্থীদের দিতে হবে ২,০০০ টাকা। বাকিটা অনুদান দেবে ডব্লিউবিএমডিএফসি। এ ছাড়া, সফল প্রার্থীদের হাজিরা ৯০% বা বেশি হলে মাথাপিছু মাসে ৫০০ টাকা বৃত্তিও দেবে তারা। ২৭ জানুয়ারির আগে ইডিআই-এর অফিসে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। ঠিকানা: এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট, ওয়ানবি-১৯৪, সল্ট লেক, সেক্টর-থ্রি, কলকাতা- ৭০০১০৬। ফোন: ২৩৩৫-৭২৫৮/২৩৩৫-৭৬৮১। দেখুন www.edikolkata.org ওয়েবসাইট।
|
আইন পড়তে চান যাঁরা |
|
রাহুল ফাউন্ডেশনের ল’কলেজ দুর্গাপুরে আইনের পাঠ্যক্রমে ভর্তির নয়া মরসুম চালু হচ্ছে। ১০+২ উত্তীর্ণদের জন্য যেমন রয়েছে পাঁচ বছরের বি এ-এল এল বি (অনার্স) কোর্স, তেমন মোট তিন বছর মেয়াদের এলএলবি আছে স্নাতকদের জন্য। রয়েছে মাস্টার ইন সোশ্যাল ওয়ার্ক ও সাইবার ল’-এর উপর আলাদা পাঠ্যক্রমও। ভর্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দুর্গাপুর রাজবাঁধের এই ল’কলেজে ফোন করে নিন ০৩৪৩-২৫২০৮৮১ নম্বরে। দেখুন www.lcd.rahul.ac.in ওয়েবসাইট।
|
বেসিক ভিডিওগ্রাফির পাঠ |
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট-এ ‘বেসিক ভিডিওগ্রাফি’ পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিক পাশ বা স্নাতকরা আবেদন করতে পারেন। ভিডিওগ্রাফি বিষয়টিতে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকলে অগ্রাধিকার মিলবে। আসন ১২টি। পাঠ্যক্রমটি করতে খরচ পড়বে ২০ হাজার টাকা। আবেদনপত্র ডাউনলোড করতে www.ftiindia.com ওয়েবসাইটটি দেখে নিন। জমার শেষ দিন ২৮ জানুয়ারি।
|
স্কুল সার্ভিসের পরীক্ষা |
এ বছর থেকেই বদলে যাচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন আয়োজিত সহ-শিক্ষক হওয়ার পরীক্ষার ধাঁচ। প্রধানত পরিবর্তিত বিষয়গুলিতে জোর দিয়েই এ বার এই পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এগুলির মধ্যে রয়েছে, ফ্রন্টলাইন ইনস্টিটিউট (৯৮৩৬৪-৩৬৩৬৪), এজ ইনস্টিটিউট (৯৮৩০১-৩২৪৬৩), জর্জ কম্পিটিটিভ ইনস্টিটিউট (৯৮৩০২-৭৭১০০)।
|
কর পরামর্শদানের পাঠ্যক্রম |
বেঙ্গল ট্যাক্স কাউন্সিলে এক বছরের প্রফেশনাল সার্টিফিকেট ইন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন (পিসিএটি) পাঠ্যক্রমে ভর্তির নতুন মরসুম চালু হচ্ছে চলতি মাসেই। বাণিজ্য অথবা আইনে স্নাতক উত্তীর্ণ হলে যোগ দিতে পারেন। ভর্তির জন্য যোগাযোগ করুন ৯৮৩৬২ ৬২৭৩৩ নম্বরে।
|
হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে |
|
আগামী এপ্রিলে যে সর্বভারতীয় হোটেল ম্যানেজমেন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষাটি হবে, সেটির জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনিক্যাল স্টাডিজ। যাঁরা এই বছর কলা, বাণিজ্য বা বিজ্ঞান শাখায় ১০+২ দিচ্ছেন বা ইতিমধ্যেই ১০+২ পাশ করেছেন, তাঁরা যোগ দিতে পারবেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, এখান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরও কোনও পরীক্ষার্থী যদি কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কেটারিং টেকনোলজি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ না পান, তা হলে টিউশন ফি ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। ফোন নম্বর: ৯৬৭৪৪৮৮০১৪। ভর্তির শেষ দিন ৩১ জানুয়ারি।
|
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর |
|
|
প্রশ্ন: উচ্চ মাধ্যমিকের পর হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়তে আগ্রহী। এর জন্য সর্বভারতীয় হোটেল ম্যানেজমেন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং জেহোম পরীক্ষায় বসতে চাই। কলকাতায় কোথায় এই দুটি পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়?
স্বপন সাহা, হাওড়া
প্রশ্ন: উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ার জন্য যে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়, তার প্রশিক্ষণ দেয় এমন প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ফোন নম্বর জানালে উপকৃত হব।
অমিত রায়, বর্ধমান
উত্তর: প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, সর্বভারতীয় স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, আইন পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে এ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা যতটা উৎসাহী, হোটেল ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ততটা আগ্রহ চোখে পড়ে না। সম্ভবত তাই কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কেটারিং টেকনোলজি আয়োজিত ৩৩টি সরকারি ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্টে এবং ১৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রবেশিকার জন্য প্রস্তুতি দেওয়ার প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম। একই ভাবে রাজ্যে সরকারি এবং বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড আয়োজিত প্রবেশিকায় লক্ষাধিক পড়ুয়া অংশ নেয়। কিন্তু বিভিন্ন বেসরকারি হোটেল ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানে পড়তে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড-এরই আয়োজিত ‘জেহোম’ (জয়েন্ট এন্ট্রান্স ফর হোটেল ম্যানেজমেন্ট) পরীক্ষায় বসার কোনও চাহিদা-ই নেই। ফলে এ ক্ষেত্রেও প্রস্তুতি প্রশিক্ষণের চল খুব কম।
যাই হোক, সর্বভারতীয় হোটেল ম্যানেজমেন্ট প্রবেশিকা এবং জেহোম পরীক্ষার ধরন মোটামুটি একই। প্রশিক্ষণ দেয় এমন দু’একটি প্রতিষ্ঠান হল, কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনিক্যাল স্টাডিজ। ফোন নম্বর: ৯৬৭৪৪-৮৮০১৪। ‘ক্যারি অন’। ফোন নম্বর ৬৪১৪-৮৬৮১। |
|
প্রশ্ন: আমার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী। আঁকতে খুব ভালবাসে। আমারও ইচ্ছে যে ও আঁকাঝোকা নিয়েই পড়াশোনা করুক। এই ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষায় কী ধরনের সুযোগ রয়েছে জানালে ভাল হয়।
প্রীতি, অন্ডাল
উত্তর: এই বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনার জন্য রাজ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দু’একটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হচ্ছে—
(১) গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফ্ট— এই সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির মরসুম শুরু হয় প্রত্যেক বছর জুনে। দ্বাদশ পেরিয়ে বিএফএ অর্থাৎ ব্যাচেলর ইন ফাইন আর্টস পড়া যায়। তবে ভর্তির পরীক্ষায় বসতে হলে ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ১০+২ স্তরে বাংলা থাকতে হয় ও ইংরেজিতে ৪০% নম্বর পেতে হয়। বয়স হতে হবে ২৩ বছরের কম। প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রধানত অঙ্কন শিল্পে প্রার্থীর দক্ষতা যাচাই করে নেওয়া হয় অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট-এর মাধ্যমে। সেই সঙ্গে নেওয়া হয় একটি মৌখিক পরীক্ষাও। সব কিছু মিলিয়ে চার ঘণ্টার পরীক্ষাটি পেরিয়েই চার বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রমে যোগ দেওয়া যায়। জুলাই-অগস্টে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর্ব চলে। প্রবেশিকা পরীক্ষাও হয় ওই সময়টা দিয়েই। প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখে নিন www.gcac.edu.in ওয়েবসাইটটি।
(২) ইন্ডিয়ান কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড ড্রাফ্টসম্যানশিপ গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফ্ট প্রতিষ্ঠানটি যেমন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত, তেমনই দমদমের ইন্ডিয়ান কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড ড্রাফ্টসম্যানশিপ প্রতিষ্ঠানটি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃত। ১০+২ উত্তীর্ণ হওয়ার পর এই প্রতিষ্ঠানটিতেও চার বছরে বিএফএ অর্থাৎ ব্যাচেলর ইন ফাইন আর্টস পড়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়স হতে হয় ২৩ বছরের নিচে। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং এতে পাশ করে দিতে হয় মৌখিক পরীক্ষা। প্রতিষ্ঠান এবং সেখানে ভর্তির খুঁটিনাটি তথ্য পেতে দেখে নিতে পারেন www.indianartcollege.com ওয়েবসাইট।
এ ছাড়া রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীতেও ১০+২ পাশ করার পর চার বছরের ব্যাচেলর ইন ফাইন আর্টস পড়া সম্ভব। এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা ভাল, যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে বিএফএ পড়ানো হয়, সেগুলিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাস্টার ইন ফাইন আর্টস বা মাস্টার ইন ভিস্যুয়াল আর্টসও পড়ানো হয়।
অন্য দিকে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ১০+২ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ফাইন আর্টস নিয়ে পড়ার জন্য যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল মুম্বই-এ অবস্থিত স্যার জে জে ইনস্টিটিউট অফ অ্যাপ্লায়েড আর্ট। এখানেও ১০+২-এর পর ভর্তি হওয়া যায়। তবে তার আগে এখানেও দিতে হয় একটি প্রবেশিকা পরীক্ষা।
|
উত্তর পেতে |
পেশার দুনিয়ার যাবতীয় খোঁজখবর, পেশাদার তৈরির জন্য প্রশিক্ষণের হাল-হদিস,
পাঠ্যক্রমের খুঁটিনাটি জানতে এবং বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে আপনার যে কোনও
প্রশ্নের উত্তর পেতে চিঠি লিখতে পারেন এই ঠিকানায়-
আপনার প্রশ্ন বিশেষজ্ঞের উত্তর,
কাজের বাজার,
ব্যবসা বিভাগ,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা- ৭০০০০১।
নিম্নোক্ত ই-মেল-এও আপনার প্রশ্ন পাঠাতে পারেন:
kajerbazar@abp.in |
|
|
|
|
|
|