স্কুল পড়ুয়া ও বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্যদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার ছাপ পড়ল পুরুলিয়া বিজ্ঞানমেলায়। পুরুলিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের আয়োজিত এই মেলা সম্প্রতি শেষ হয়েছে। বিজ্ঞান কেন্দ্রের শিক্ষা আধিকারিক কণিষ্ক চক্রবর্তী বলেন, “এই মেলায় পড়ুয়ারা বিজ্ঞানের ব্যবহারিক দিককে তুলে ধরে নানা মডেল তৈরি করেছিল। অনেকের কাজ প্রশংসিত হয়েছে।” সবার নজর কাড়ে দলগত বিভাগে সেরা পুরুলিয়া জেলা স্কুলের একাদশ শ্রেণির দুই পড়ুয়া শিলাদিত্য সিংহ ও প্রশান্ত মাহাতো’র ‘হারানো বস্তুর পুনরুদ্ধার’-এর মডেল। তাদের কথায়, “একটা ছোট্ট সার্কিটে মোবাইল ফোনের একটা সিমকার্ড লাগানো রয়েছে। চুরি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন কোনও জিনিসের সঙ্গে গোপনে এটি রেখে দিতে হবে। হারিয়ে যাওয়ার পরে অন্য মোবাইল ফোন থেকে ওই সিমকার্ডের নম্বরে ফোন করলে সার্কিটটি নিঃশব্দে চালু হয়ে যাবে। সার্কিটের কাছাকাছি যারা থাকবে তাদের কথোপকথনও শোনা যাবে। সিমকার্ডের ‘সার্ভিস প্রোভাইডারের’ কাছ থেকে সিমকার্ডের অবস্থান জানা যাবে। এর ফলে চোর ধরা ও চুরি যাওয়া জিনিস উদ্ধার করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।” এই মডেল দেখে উচ্ছ্বসিত অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) হৃষিকেশ মুদি। তিনি বলেন, “ওই মডেলটি খুবই কাজের। গাড়ির মধ্যে রাখা থাকলে চুরির পরে উদ্ধার করা সহজ হবে। আশাকরি এই উদ্ভাবনী শক্তি ভবিষ্যতে তাদের আরও সফল করবে।” |
পাসওয়ার্ড-এর সাহায্যে দরজা খোলা-বন্ধ করার মডেল তৈরি করে মেলায় ব্যক্তিগত বিভাগে প্রথম হয়েছে অ্যাসেম্বলি অব গড চার্চের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সিদ্ধার্থ মাহাতো। বিজ্ঞান ক্লাব সদস্য বিভাগে প্রথম হয়েছে বিএসএফ সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শিবম লহরিওয়ালা। তার তৈরি যন্ত্রের সাহায্যে সহজে বাড়িতে বসেই হৃদস্পন্দন মাপা যায়। কলকাতার বিড়লা কারিগরী সংগ্রহশালায় শুরু হওয়া রাজ্যস্তরের বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় এই চার পড়ুয়া জেলার প্রতিনিধিত্ব করছে। |