দুই বাংলার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের লক্ষ্যে বনগাঁয় হয়ে গেল দু’দিনের ‘নাট্য উৎসব’। বনগাঁ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে বনগাঁ হাইস্কুলের অনুবর্তন মঞ্চে আয়োজিত এই উৎসবে এ বার বাংলাদেশের দু’টি নাট্যদল যোগ দেয়। প্রথম দিন উদ্যোক্তা সংস্থার প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হয় রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’ এবং ঢাকার নাট্যসংস্থা তিরন্দাজের ‘অনৈতিহাসিক’। হুমায়ুন আজাদের দু’টি গ্রন্থ অবলম্বনে নাটকটি রচনা করেন শাহিন রেজা রাসেল। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হয় দত্তপুকুরের দৃষ্টি নাট্যসংস্থার নাটক ‘মৎস্যমুখ’ এবং ময়মনসিংহের ঝিলিক নাট্যসংস্থার ‘চোর’। |
এ পার বাংলার এক মফস্সল শহরে নাটক করতে এসে আপ্লুত বাংলাদেশের শিল্পীরা। তিরন্দাজের সদস্য কাজি রকির বলেন, “এখানে নাটক করতে আসা অসাধারণ অভিজ্ঞতা। নাটক শেষ না হওয়া পর্যন্ত দর্শকেরা আগ্রহ নিয়ে বসেছিলেন।” ‘চোর’-এর নির্দেশক সাইফুল ইসলাম বলেন, “এ ধরনের নাট্য উৎসবের মাধ্যমে দুই বাংলার সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটতে পারে।” উৎসবে প্রয়াত নাট্য ব্যক্তিত্ব বাদল সরকারের উপরে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরিচালনা করেন তাপস বিশ্বাস। এ ছাড়া, ‘হারাই যদি’ নামে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রও দেখানো হয়। পরিচালনায় অজিত দাস এবং রতন বিশ্বাস। উদ্যোক্তাদের তরফে বিভাস রায়চৌধুরী বলেন, “দুই বাংলার নাট্য ভাবনার আদান-প্রদানের জন্য বাংলাদেশের দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।” |