শান্তিনিকেতনে বৃদ্ধা খুন, আটক কেয়ারটেকার
ক প্রাক্তন স্কুল শিক্ষিকা খুন হয়েছেন। শনিবার সকালে শান্তিনিকেতনের বাগানপাড়ায় বিনয় ভবনের কাছে বাড়ির ভিতরে তাঁর দেহ মেলে। মৃতার নাম রেণুকা সরকার (৭৮)। তিনি কলকাতার ভবানীপুরের টাউনসেন্ড রোডের বাসিন্দা। ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) বাসবকুমার তালুকদার ও বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা ঘটনার তদন্তে যান। ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞেরা ছাপ সংগ্রহ করেন। তদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় পুলিশ কুকুরও। পুলিশ সুপার বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে খুনের কারণ স্পষ্ট নয়।” ডিআইজি বলেন, “সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পরে পুলিশ ওই বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্বল তপাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
ঘটনাস্থলে তদন্তে পুলিশের কুকুর। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেণুকাদেবী মহাদেবী বিড়লা গার্লস স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা। তাঁর স্বামী প্রতাপ সরকার স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন। মাস ছয়েক আগে তাঁর মৃত্যু হয়। অনেক বছর আগে তাঁরা শান্তিনিকেতনে এই বাড়ি তৈরি করেন। মাঝে মধ্যে তাঁরা আসতেন। বাড়ির একাংশে কয়েকজন ভাড়াটে রয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে রেণুকাদেবী শান্তিনিকেতনে আসেন। বাড়ির একপ্রান্তে কেয়ারটেকার থাকেন। তাঁর স্ত্রী শমিতা তপাদার বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় মাসিমার কাছে রাতে খাবার দেব কি না, জানতে গিয়েছিলাম। তিনি জানান, সঙ্গে খাবার রয়েছে। তার পর রাতে আর যাইনি। তাঁর কাছে কেউ গিয়েছিল কি না, তা-ও জানি না।” কেয়ারটেকার বলেন, “শনিবার সকালে দেখি বাড়ির সদরের কোলাপসিবল দরজার তালা ভাঙা। সন্দেহ হওয়ায় দোতলায় গিয়ে দেখি, সব দরজা ভেজানো। বিছানার উপরে মাসিমা কাত হয়ে পড়ে ছিলেন। দেহে সাড় ছিল না। তাঁর চোখ, মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়ে এসেছিল।” এর পর তিনি পড়শি, পুলিশ ও রেণুকাদেবীর কলকাতার বাড়িতে খবর দেন। বিকেলে পুলিশ কুকুর নিয়ে আসা হয়। কুকুরটি বৃদ্ধার ঘর থেকে বেরিয়ে কেয়ারটেকারের ঘর পর্যন্ত যায়। তার আগেই পুলিশ কেয়ারটেকারকে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার ঘর থেকে একটা আধপোড়া বিড়ি ও চুল বাঁধার একটি কাঁটা পাওয়া গিয়েছে।
দুপুরে রেণুকাদেবীর ছেলে প্রবাল সরকার ও মেয়ে অদিতি সরকার সেখানে পৌঁছন। অদিতি বলেন, “মা মাঝে-মধ্যেই এখানে আসত। তাঁকে খুন করার কারণ পরিষ্কার নয়। বাড়িতে তেমন দামি জিনিসপত্রও ছিল না। কোনও কিছু চুরিও যায়নি বলে মনে হচ্ছে। রাতে ঘরের দরজা কেন বন্ধ করা ছিল না বুঝতে পারছি না।” পেশায় ব্যবসায়ী প্রবালবাবু বলেন, “বাবাকে হারানোর পর এত তাড়াতাড়ি মা’কেও হারাব, ভাবতে পারিনি। পুলিশের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছি।”

কিশোর খুন
বাড়ির পাশ থেকে এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার সকালে মুরারই থানার রঘুনাথপুরে দেহটি পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বাপন শেখ (১৪)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাঁর এক বন্ধুকে আটক করেছে। পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ওই কিশোরের গলায় দাগ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, গলা টিপে তাকে খুন করা হয়েছে।” মৃতের বাবা আনারুল শেখ বলেন, “শুক্রবার রাতে ছেলে গ্রামের এক জায়গায় ভিডিও দেখতে গিয়েছিল। কারা তাকে খুন করল বুঝতে পারছি না।” পুলিশের দাবি, আটক করা কিশোর জানিয়েছে ভিডিও দেখে দু’জন বাড়ির পথ ধরেছিল। তারপর কী হয়েছে ওই কিশোর জানাতে পারেনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.