|
|
|
|
জেলায় সবে উদ্যোগী প্রশাসন |
নলকূপ বসানোর টাকা খরচেও ব্যর্থ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
খরা পরিস্থিতিতে পানীয় জলের সঙ্কট মোকাবিলায় নলকূপ বসানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিল সরকার। প্রায় দু’বছর হতে চলল এখনও সেই অর্থ খরচই করতে পারেনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সবে সেই টাকা খরচে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। জেলায় এ সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পার্থ চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, “বরাদ্দ টাকার অর্ধেক আগেই খরচ হয়ে গিয়েছে। বাকি টাকায় দ্রুত কাজ করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” ২০১০ সালে খরার কবলে পড়েছিল এই জেলা। চাষের ক্ষতি হয়েছিল ব্যাপক। টান পড়েছিল পানীয় জলের ভাঁড়ারেও। তখনই সেচের সমস্যা মেটানোর পাশাপাশি পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে উদ্যোগী হয় সরকার। বেশ কিছু পরিকল্পনাও নেওয়া হয়। তারই মধ্যে একটি পরিকল্পনা ছিল ব্লকে-ব্লকে পানীয় জলের জন্য নলকূপ বসানো। এর জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে ৩ কোটি টাকাও দিয়েছিল সরকার। ২০১০-এর মার্চে ওই টাকা পেয়ে যায় জেলা প্রশাসন। ২৯টি ব্লকের প্রতিটিকে ৫ লক্ষ টাকা করে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় সে সময়ে। ওই পর্যন্তই। কাজ এগোয়নি। টাকাও পড়ে রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের ব্যাখ্যা, ব্লক-স্তর থেকে পানীয় জল-প্রকল্পের জন্য তেমন প্রস্তাবই আসেনি। ফলে টাকা খরচও হয়নি। সম্প্রতি কয়েকটি ব্লক কিছু প্রকল্প জমা দিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ওই ব্লকগুলিকে আরও ৫৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তার পরেও অবশ্য আরও প্রায় এক কোটি টাকা পড়ে থাকবে। তার কী হবে? প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, এ ব্যাপারে বিডিও-রা যাতে আরও নতুন নতুন প্রকল্প তৈরি করেন, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বহু এলাকাতেই পানীয় জলের সঙ্কট। বিশেষত, জঙ্গলমহলের ব্লকগুলিতে গরমে অবস্থা খুবই খারাপ হয়। গভীর নলকূপ থাকলে এই সমস্যা কমত। তা সত্ত্বেও পানীয় জল-প্রকল্পের টাকা খরচ করতে না পেরে ফেলে রাখা হয়েছে জেনে প্রশাসনের একাংশও বিস্মিত।
|
|
|
|
|
|