পোলিও-মুক্ত বছর, ভারতের প্রশংসা বিশ্বে
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
এ বছরটা পোলিওর চিকিৎসায় ভারতের জন্য উল্লেখযোগ্য হয়ে রইল। গত এক বছরে নতুন করে একটি শিশুও আক্রান্ত হয়নি পোলিওতে। ডাক্তারদের কাছে কিছু নমুনা রয়েছে, যেগুলো এখনও পরীক্ষা করা হয়নি। ওই সব নমুনায় ভাইরাস না পাওয়া গেলে ভারতকেই প্রথম পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। দেশে শেষ বারের মতো পোলিওতে আক্রান্ত হয় হাওড়ার মেয়ে দু’বছরের রুখসার।এ খবরে উচ্ছ্বসিত রাষ্ট্রপুঞ্জ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সংস্থার ডিরেক্টর মার্গারেট চ্যানের কথায়, “পোলিও প্রতিরোধে বড়সড় সাফল্যের মুখ দেখল ভারত এবং বিল গেটস ও তাঁর স্ত্রী মিরান্ডা গেটসের প্রতিষ্ঠান।” এ দিন বিল গেটস বলেন, ‘‘ভারতের শিশুরা এখন অনেকটা সুরক্ষিত।’’ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ এবং উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গের মতো পোলিও আক্রান্ত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদেরও অভিনন্দন জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব অনুরাধা গুপ্তর কথায়, “এক সময় আমাদের দেশে প্রতি বছর ২ লক্ষেরও বেশি শিশু পোলিওতে আক্রান্ত হত।” সরকার, ইউনিসেফ ও হু-র যৌথ উদ্যোগ এবং কয়েক লক্ষ কর্মীর চেষ্টাতেই এত বড় সাফল্যের মুখ দেখল ভারত বলে মনে করছেন তিনি।
|
পুরসভার উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মশার উপদ্রব কমাতে শহরের বেশ কয়েকটি থানার পরিত্যক্ত জিনিস, গাড়ি সরাতে উদ্যোগী হল পুরসভা। পুর-স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই সব থানা ও অন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নোটিস পাঠাবে তারা। শুক্রবার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, “এতে কাজ না হলে মামলা করা হবে।” ২০১১ সালে শহরের কোথায় কত ম্যালেরিয়া হয়েছে, তার তালিকা এ দিন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য দফতর। তাদের দাবি, গত বছরের তুলনায় এ বার ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক কমেছে। কমেছে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার প্রভাব।
|
জন্ম থেকেই হৃৎপিণ্ডের দু’টি মহাধমনীর সমস্যা ছিল পাঁচ বছরের সোমা মাহাতোর। একটি মহাধমনী খুব সরু, অন্যটি থেকে রক্ত বেরিয়ে অপর ধমনীতে ঢুকে যায়। দুই জটিল সমস্যার জেরে প্রাণ সংশয় হয়েছিল ঝাড়গ্রামের শিশুটির। পিজির চিকিৎসকেরা বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচার করে তাকে নতুন জীবন দিলেন। পিজির কার্ডিওলজিস্ট অচ্যুত সরকার জানান, সোমার মহাধমনীতে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। সাধারণত এত ছোট বয়সে স্টেন্ট বসানো হয় না। তবে এ ক্ষেত্রে সাধারণ স্টেন্টের বদলে ঢাকা দেওয়া স্টেন্ট বসানো হয়েছে। ফলে একটি মহাধমনী প্রশস্ত হয়েছে এবং অন্যটি থেকে আর রক্ত বেরোতে পারছে না। সোমার বাবা রঞ্জন মাহাতো জানান, এমন ব্যয়সাধ্য অস্ত্রোপচার করানোর সামর্থ্য তাঁদের ছিল না। চিকিৎসকেরাই অর্থ সাহায্য করে তাঁর মেয়ের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। |