কাঠগড়ায় পূর্ত দফতর
নিত্য ঝুঁকির যাত্রা হলদিয়া-মেচেদা সড়কে
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বেহাল হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটে নিত্য। বিশেষ করে সুতাহাটা বাজার থেকে চৈতন্যপুর পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। অভিযোগ, বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও রাস্তা মেরামতে উদ্যোগী হয়নি পূর্ত দফতর। ছোট-বড় গর্তের পাশাপাশি রাস্তার ধারে পড়ে থাকা মোরাম, বালির স্তূপ দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে। সম্প্রতি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের। নিত্যযাত্রী শেখ বুলবুলের অভিযোগ, “প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। রাস্তায় কোনও কাজ হয়নি। সকলে রাজনীতি করতেই ব্যস্ত। প্রতি দিনই দুর্ঘটনা হচ্ছে চোখের সামনে। মাস চারেক আগে মহকুমা হাসপাতালের এক শিশু বিশেষজ্ঞের মৃত্যু হয়েছিল। বরযাত্রী বোঝাই বাস উল্টে জখম হয়েছেন বহু।” এলাকার বাসিন্দা অংশুমান মাইতি বলেন, “বেহাল এই রাস্তায় বাস চালকদের দৌরাত্ম্য আরও সমস্যা বাড়িয়েছে। বাসে-বাসে রেষারেষি চলছে। অভিযোগ জানিয়েও লাভ হচ্ছে না।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে এই রাস্তার মেচেদা থেকে হলদিয়ার সুবর্ণজয়ন্তী ভবন পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার অংশ সংস্কারের জন্য বরাত ডাকা হয়। অনুমোদন হয় ৪৬ কোটি টাকা। প্রথম পর্যায়ে মেচেদা থেকে তমলুকের মানিকতলা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তায় ৯ কোটি টাকার কাজও হয় দ্রুত গতিতেই। কিন্তু তার পর আর কাজ হয়নি। বছর গড়িয়ে গেলেও তমলুকের নিমতলা থেকে হলদিয়ার সুবর্ণজয়ন্তী ভবন পর্যন্ত কাজ এগোয়নি আর। জেলা পরিষদের সদস্য আনন্দময় অধিকারীর অভিযোগ, “ঠিকাদার কাজে গড়িমসি করছেন। আমি আমার এলাকার সংকীর্ণ রাস্তা চওড়া করার জন্য জেলা পরিষদে দাবি জানিয়েছি। চৈতন্যপুরের কাছে রাস্তার অবস্থা একেবারে খারাপ। অবিলম্বে ওই ঠিকাদার বদল করার দাবিও জানিয়েছি।”
কাজ না হওয়ায় অসন্তুষ্ট জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শেখ সুফিয়ান বলেন, “ঠিকাদারি সংস্থাকে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। আর্থিক সমস্যার অজুহাত দিচ্ছে ওরা। তবে, পূর্ত দফতর দ্রুত কাজ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।” পূর্ত দফতরের বিভাগীয় এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র শঙ্করনারায়ণ সাহা ইতিমধ্যে বেশ কিছুটা কাজ হয়েছে বলে দাবি করলেও এলাকাবাসী তা মানতে নারাজ। স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ হুসেনের বক্তব্য, “এত দিন ধরে রাস্তা খারাপ। কিন্তু পূর্ত দফতরের কোনও হেলদোল দেখতে পাচ্ছি না। আসলে রাজ্যে একটা পালাবদল হয়েছে ঠিকই। তবে কর্মীদের মধ্যে কাজ করার মানসিকতা এখনও তৈরি হয়নি।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.