কনকনে ঠান্ডা। তবু মাইকে ঘোষণা চলছে, আগুন জ্বালাবেন না। আগুন থেকে দূরে থাকুন ডায়মন্ড হারবার জেটি বা মেলা ময়দান, মিনিট খানেক অন্তর মাইকে ভেসে আসছে এই সাবধানবাণী। অন্যান্য বারও শোনা যায়। কিন্তু এ বার কানে একটু বেশি ঠেকছে না? উত্তর দিলেন এক দমকলকর্মী। বললেন, “ রাজ্যে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সকলকেই চিন্তায় রেখেছে। এখানে যাঁরা আসেন, অধিকাংশই দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ। তাই তাঁদের নিয়ে ভয়টা আরও বেশি।” কিন্তু ‘সাবধানবাণীতে’ যদি কাজ না হয়? কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলছে প্রশাসন।
|
পুণ্যভূমি গঙ্গাসাগর। দর্শনার্থীদের সকলেই প্রায় আসেন ধর্মের টানে। জীবনসন্ধানী কিছু মানুষও ভিড় জমান। পেশার টানে আসেন অনেকে। দেব-দেবীর ছবির বিক্রি ভালই। দুর্গা, লক্ষ্মী, ভোলানাথ আরও কত কে! কিন্তু ‘পরিবর্তন’-এর বাংলায় ফেরিওয়ালা এক যুবকের হাতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। মনোজ সাঁতরা নামে ওই যুবক এসেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বঙ্গনগর থেকে। বললেন, “দেবতাদের ছবি তো বিক্রি হয়ই। এ বার অন্য রকম পসার সাজিয়েছি।” বিক্রি কেমন হচ্ছে? এক গাল হেসে বললেন, “দিদির ছবি এ বার হিট।”
|
ডায়মন্ড হারবার লট ৮ জেটিঘাটের এক কিলোমিটার আগে থেকেই বাসের লম্বা লাইন। নানাবিধ নম্বর প্লেট। চিত্রবিচিত্র সে সব বাসের গায়ের লেখা পড়েও জানা যাচ্ছে, কোনওটি এসেছে উত্তরপ্রদেশ থেকে, কোনওটি ছত্তীসগঢ় আবার কোনওটি সুদূর দাক্ষিণাত্যের রাজ্য থেকে। পাশে হেঁটে চলা মানুষজনের চেহারা, বেশভূষাও বলে দিচ্ছে সে কথা। নানা ভাষায় টুকরো আলাপচারিতা ভেসে আসছে। সব মিলিয়ে এ যেন ভারত দর্শন! |