রাজ্যের ছোট ও মাঝারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার জন্য আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়াতে চায় সরকার। আপাতত একটি তহবিল আছে। প্রস্তাবিত নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতিতে তহবিলে ৫০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে, দাবি রাজ্যের।
বৃহস্পতিবার ন্যাসকমের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে শিল্প তথা তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অধিকাংশ বড় সংস্থা ছোট সংস্থা হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করে। তাদের উন্নয়নে ৫০ কোটির তহবিল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছি।” রাজ্য ছোট সংস্থার জন্য জেলা শহরে পরিকাঠামোও গড়ছে। বিগত রাজ্য সরকারও মেধা, ব্যবসা পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় পুঁজির মেলবন্ধন ঘটাতে গড়েছিল ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংস্থা। ৫ কোটি টাকার সেই তহবিল এখন ২৫ কোটিতে। ন্যাসকমের পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা সুপর্ণ মৈত্রের দাবি, টাকার অঙ্কে ছোট সংস্থার ব্যবসা বড় না হলেও, গুণমানের নিরিখে আন্তর্জাতিক স্তরের কাজ করে তারা। রাজ্যে ন্যাসকম নথিভুক্ত ছোট-মাঝারি সংস্থা ৫৪টি। ন্যাসকমের অনুষ্ঠানের আগে এ দিন মন্ত্রী মিলন মেলায় বেঙ্গল লিড্সের অনুষ্ঠানে গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি-র চেয়ারম্যান ওয়াই কে মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন। মোদী জানান, রানিগঞ্জে তাঁদের কয়লা থেকে মিথেন গ্যাস তৈরির প্রকল্প সম্প্রসারণের কাজ মার্চের মধ্যেই শুরু হবে। লগ্নি হবে আরও ২৫০০ কোটি। শিল্পমন্ত্রী পরে জানান, আরও মিথেন উত্তোলনে সংস্থাটি ওএনজিসি-র সঙ্গে কথা বলছে। তা সফল হলে রাজ্যের ঘরে আরও ৪০০০-৪৫০০ কোটি আসবে।
|
বিশ্ব জুড়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে ব্রিটেনের রয়্যাল ব্যাঙ্ক অফ স্কটল্যান্ড (আরবিএস)। যার প্রভাব পড়তে চলেছে মূলত ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং-এর ক্ষেত্রে। ঘুরে দাঁড়াতে ব্যাঙ্কটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল বিটিশ সরকার। তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে তারা। মন্দার সময়ে দেউলিয়া ঘোষণার পর প্রায় ৪,৬০০ পাউন্ডে ব্যাঙ্কটির ৮৩% অংশীদারি হাতে নেয় বিটিশ সরকার। সংস্থা ঢেলে সাজতে নিয়ে আসা হয় সিইও স্টিফেন হেস্টারকে। তার পর থেকে গত তিন বছরে বিশ্ব জুড়ে ব্যবসার সঙ্কোচন ঘটিয়েছে ব্যাঙ্কটি। ছাঁটাই করা হয়েছে ৩৪,০০০ জনেরও বেশি কর্মী। সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, যার মধ্যে ব্রিটেনেই ছাঁটাই হন ২২,০০০ জন। এ বার এর সঙ্গে যুক্ত হল আরও ৪,৪৫০ জন। উল্লেখ্য, এর আগেই গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে ২,০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছিল ব্যাঙ্কটি। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে ব্যাঙ্কটি এখন থেকে আর কোনও ধরনের শেয়ার লেনদেন করবে না বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি, অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে পরামর্শ দেওয়ার কাজেও যুক্ত থাকবে না ব্যাঙ্কটি। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে এই দুই ক্ষেত্রেই লোকসান করেছে তারা। এ দিকে, এই কর্মী ছাঁটাই নিয়ে ব্যাঙ্কের শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ, সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তারা যখন মোটা বোনাস পাচ্ছেন, তখনই নিচু তলার কর্মী ছাঁটাই করে ব্যবসা চালানোর এই পদক্ষেপ মেনে নেওয়া যায় না। |