কোথাও জঙ্গল, কোথাও খাড়াই পাহাড় আর শ্বাসরোধকারী ঝর্ণা। ছবির মতো সুন্দর গ্রাম। অজানা মিজোরাম যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছিল। পূর্ব পরিকল্পিত সফরসূচি অনুযায়ী হইহই করে আমরা বেরিয়ে পড়লাম ষষ্ঠীর দিন।
দমদম বিমান বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করলাম সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ। গন্তব্যস্থল সেই মিজোরামের রাজধানী আইজল। পরিচয় পত্র তৈরি করে রাখা ছিল আগেই। বাংলাদেশ অতিক্রম করার সময় নাম না জানা কত বড় বড় নদী-শহর পেরিয়ে মিজোরামে প্রবেশ করলাম। উপর থেকে শৈলশহর দেখার মত। চার দিকে তখন শরতের মেঘ। আকাশ স্বচ্ছ-পরিষ্কার। |
১১২ বছরের পুরনো এই শহর আইজল সমুদ্রতল থেকে ১১৩২ মিটার উঁচুতে। ঝকঝকে রঙবাহারি পোশাক পরে স্থানীয়দের লোকনৃত্য এখনও আমাদের সবার মন ছুঁয়ে রয়েছে। ছন্দে ছন্দে বাঁশের ফাঁকে পা ফেলে নাচ, সে এক অসাধারণ দৃশ্য। এই সফরের চিহ্ন হিসেবে, বাঁশ ও বেতের তৈরি বেশ কিছু ছোট ছোট জিনিস আমরা আমাদের সঙ্গে এনেছিলাম।
মিজোরাম পুরোটাই পার্বত্য। রয়েছে গভীর জঙ্গল-ও। আবহাওয়া একেবারে দূষণমুক্ত। সবুজ-সতেজ। সারা বছরই না ঠান্ডা না গরম। মনোরম পরিবেশ ঘুরে বেড়ানো যায় বছরের যে কোনও সময়। এখানকার ৮০ শতাংশ মানুষই খ্রীষ্টান। বাসিন্দারা খুবই নম্র, ভদ্র ও শান্তিপ্রিয়। এখানে মহিলাদের প্রাধান্য বেশি। দোকান-পাট, ব্যবসা বাণিজ্য সব মহিলাদের হাতে। আইজলের বড় বাজার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র। এখানে বিদেশি প্রসাধন বেশ সস্তায় পাওয়া যায়।
রাতের আইজল দেখার মত। মনে হয়, পাহাড়ে পাহাড়ে কারা যেন প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়েছে। শহর থেকে দূরে ভাংতং জলপ্রপাত, হ্রদ, জঙ্গল দেখে এলাম দল বেঁধে।
পূর্ব মিজোরামের একটি বড় শহর চম্পাই। মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত এই শহর আইজল থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। প্রাকৃতিক দৃশ্য ভোলার নয়। শুনলাম বসন্তকালে পাহাড়ের চার পাশ নাকি ফুলে-ফুলে ভরে থাকে।
দেখতে দেখতে সময় শেষ। ফেরার সময় ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্সের বিমান ছিল। ইম্ফলে স্টপেজ দেয়। এটা ছিল আমাদের সফরে ছোট্ট একটা উপরি পাওনা।
|
লিখুন অনধিক ৫০০ শব্দে। খামে ‘পুজো এক্সপ্রেস’ লিখে পাঠিয়ে দিন:
আনন্দবাজার পত্রিকা, এ ১০, ডক্টরস কলোনি,
সিটি সেন্টার, দুর্গাপুর - ৭১৩২১৬।
অবশ্যই দেবেন ছবি (নিজেদের বাদে)
ছবি মেল করতে চাইলে
durgapuredit@abp.in
(লেখা নির্বাচনে সম্পাদকীয়
বিভাগের বিবেচনাই চূড়ান্ত) |
|