অ্যাডমিশন টেস্ট নিতে এলেন শান্তিদেব
আমার জন্ম লুধিয়ানার লাতলা গ্রামে। গান-বাজনার রেওয়াজ ছিল। আমাদের ওখানে ২৫০ বছরের পুরনো এক গায়ক ওয়ারজ শা-র হীরা-রাঞ্ঝার গান বিখ্যাত। বাবা অমর সিংহ ছিলেন আর্মি অফিসার। তাঁরও গানে খুব উৎসাহ। তাই ছেলেবেলায় উস্তাদ কালে খান সাহেবের কাছে আমার নাড়া বাধা। মাত্র সাত বছর বয়েসে আমাকে গ্রাস করল পোলিও। অস্ত্রোপচার করেও দু’পায়ে সাড় ফিরল না। এক দিন শুনলাম, বাবা বড়দাকে বলছেন, ‘ওকে তো সারাজীবনই বইতে হবে তোমাদের!’ ছোট ছেলেটা এই কথা শুনে প্রতিজ্ঞা করল, কোনও দিনই কারও বোঝা হব না! হইওনি।
পঞ্জাবের তখনকার মুখ্যমন্ত্রী প্রতাপ সিংহ কায়রোঁ পারিবারিক বন্ধু। এক দিন বাড়িতে এসে বড়দা গুর্মেল সিংহকে বললেন, আমার স্ত্রী পাঁচকুলার কাছে একটা স্কুল খুলেছে। ওখানে মোহনকে ভর্তি করে দিন। ওখানে ভাইসরয়ের পুরনো কুঠিতে চলত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। প্রায় প্রতি রবিবার স্কুলে কেউ না কেউ বিখ্যাত মানুষ আসতেন। এক রবিবার এলেন খোদ মুকেশ। আমি তাঁকে শোনালাম, ‘আঁসু ভরি হ্যায় জীবন কী রাহে...’। মুকেশ এতটাই মুগ্ধ হলেন, বলে গেলেন, ‘তুমি গায়ক হবেই। বড় হয়ে চলে এসো বোম্বেতে। আমার সঙ্গেই থাকবে। প্লেব্যাক গাইবে।’ এক বার আশা সিংহ মাস্তানা নামের আর এক বিখ্যাত গায়ক এসেছিলেন। তাঁকেও গান শুনিয়ে মুগ্ধ করেছি। পণ্ডিত নেহরু এক রবিবার স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন। তাঁর অবশ্য গান শোনার সময় ছিল না। অল ইন্ডিয়া স্কুল কম্পিটিশনে গানে প্রথম হয়েছিলাম এই স্কুল থেকেই।
১৯৬৪ সালে প্রতাপ সিংহ কায়রোঁ খুন হলেন। অশান্তিতে স্কুল প্রায় উঠে যাবার অবস্থা। আমার মেজদা যশমেল সিংহ আমাকে ফিরিয়ে এনে ভর্তি করে দিলেন গ্রামেরই হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ক্লাস সেভেনে। তখন থেকেই নিয়মিত নানা আসরে গাই। সমানে চলতে থাকে তালিম। এমনি করে স্কুল পার করে লুধিয়ানা কলেজে ভর্তি হলাম। কয়েক মাস মন দিয়ে কলেজ গেলাম। তার পরে এক দিন বাড়িতে ফিরে বিদ্রোহ করলাম। বললাম, কাল থেকে আর কলেজ যাব না। আমি তো গায়ক হব। লেখাপড়া শিখে করবটা কী! বাড়ির লোকেরা তো মহা চিন্তায় পড়ে গেলেন। সে যুগে গান শিখতে গেলে ওস্তাদের বাড়িতে থেকে তালিম নিতে হত। গুরুগৃহের সব কাজ করানো হত শিক্ষার্থীকে দিয়ে। আমার তো পা দুটো ল্যাকপ্যাক করে ঝুলছে। আমি ওই কঠোর শ্রম দেব কী করে?
তত দিনে ‘দো বিঘা জমিন’ রিলিজ করেছে। কিন্তু বলরাজ সাহনী তখনও শান্তিনিকেতন ছাড়েননি। উনি পিসতুতো দাদার সহপাঠী। আমার সমস্যা শুনে উনি ছোড়দা নির্মল সিংহকে বললেন, ‘মোহনের পক্ষে শান্তিনিকেতনই হল বেস্ট প্লেস। ওকে এখানে পাঠিয়ে দাও।’ তখনও বাংলা ভাষাটা কানেও শুনিনি। রবীন্দ্রসঙ্গীতের নাম পর্যন্ত জানি না। সেই আমি শান্তিনিকেতনে যাব? তবে জানা গেল ওখানে পণ্ডিত ধ্রুবতারা যোশী, নিমাইচাঁদ বড়াল, ওয়াঝেলওয়ার, অশেষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো গুণীরা রয়েছেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতটা ভাল করেই শেখা যাবে। আমি শান্তিনিকেতনের অধ্যক্ষ শান্তিদেব ঘোষকে চিঠি লিখলাম। লিখলাম, আমি এত দূর থেকে যাব। ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসত হবে না তো? উনি জবাব দিলেন, এখানে ভর্তি হতে গেলে অ্যাডমিশন টেস্ট দিতে হয়। তবে তুমি যখন প্রতিবন্ধী, তখন কিছু সুযোগ পাবে এখানে ভর্তি হওয়ার। আমার অ্যাডমিশন টেস্ট নিতে আবাসিক হস্টেলে এলেন শান্তিদেব। আমিও যা শিখেছিলাম, ঠুমরি গজল পাঞ্জাবি গান, সব শুনিয়ে দিলাম। গান শুনে উনি উঠে গেলেন। তা হলে কি ভর্তি হওয়া হল না? দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়ার মতোই অবস্থা, তখন উনি ফিরলেন মোহরদিকে সঙ্গে নিয়ে। বললেন, মোহর, গানগুলো শুনে রাখ। এ সব তো বেশি দিন শুনতে পাবি না ওর গলায়।
ভর্তি তো হয়ে গেলাম। বাংলা বলতে না পারার জন্য মনে বড় দুঃখ। সেই দুঃখের কথা জানতে পেরে আমাকে বাংলা শেখাতে এগিয়ে এলেন এক বান্ধবী। তাঁর নাম শুচিস্মিতা। নীলিমা সেনের এই ছাত্রী আমাকে সহজপাঠ কিনে দেন। ওঁর সঙ্গেই মেলামেশা হতে লাগল ঘনঘন। তার পরে প্রেম। শেষে পাঁচ বছর পরে বিয়ে। শুচিস্মিতা ভুবনমোহন সেনের নাতনি। তাঁর সঙ্গে কোথাকার এক মোহন সিংহের বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল হইচই শুরু হল। পাশে দাঁড়ালেন মোহরদি, মোহনলাল বাজপেয়ীরা। এক বুধবারে শর্বরী সেনের বাড়িতে আমাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়ে গেল। বাংলা শিখলাম, লিখতে পারলাম, রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে পারলাম। এখন আমার রবীন্দ্রসঙ্গীতের ন’টা অ্যালবাম। সারা পৃথিবীর মানুষকে ওই গান শোনাই, কী আশ্চর্য! কী জাদু শান্তিনিকেতনের! ১৯৭৫ সালে জাতীয় স্কলারশিপ পেলাম। ১৯৭৬ সালে অল ইন্ডিয়া মিউজিক কন্ফারেন্সে গান গাইলাম। ১৯৭৮ সালে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর গানের শিক্ষক নিযুক্ত হই।
আমার প্রিয়
রং: সাদা/ধূসর
রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়ক/গায়িকা: রবীন্দ্রনাথ, দীনেন্দ্রনাথ,
শান্তিদেব ঘোষ, কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুবিনয় রায়।
শখ: নিজে গাড়ি চালিয়ে কাছে-দূরে ভ্রমণ। পুরনো রেকর্ড সংগ্রহ করা।
খাবার: মকাইকা রোটি, সরসোঁকা সাগ, আলুর পরোটা,
ইলিশ মাছের পাতলা ঝোল আর ভাত।
বিয়ের পরে বেশ কয়েক মাস আমরা নীলিমা সেনের পূর্বপল্লির বাড়িতেই ছিলাম। পরে স্থানীয় রতনপল্লিতে বাসা ভাড়া নিই। সেখানেই আমার দুই ছেলে বিক্রম আর আবির জন্ম নেয়। এই বাড়িতেই পেয়েছি বিলায়েত খান, ইমরত খান, ইউনুস হুসেন, আমির খান, এ টি কাননের মতো প্রতিভাদের দর্শন।
মাঝে অনেক শোক সইতে হয়েছে। শুচিস্মিতা চলে গিয়েছেন চার বছর আগে। দু’বছর আগে আচমকা হৃদ্রোগে মারা গিয়েছে বিক্রম। এমন একটা সময়ে, যখন ওর নামডাক গায়ক হিসেবে ছড়িয়ে পড়ছিল।
আনন্দও পেয়েছি। আবিরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে দুর্বা-র। এখন আমার একটা দেড় বছরের নাতনিও রয়েছে। নাম অনুমেহা। ওর সঙ্গেই আমি সব সময় থাকতে চাই। স্পষ্ট কথা বলতে পারে না। কিন্তু নির্ভুল সারেগামা করে। ও সঙ্গে থাকলে অন্য কথা। না হলে আমি নিজে গাড়ি চালিয়ে এ দিকে ও দিকে চলে যাই। পুরনো কোনও মন্দিরের ইতিহাস খোঁজার চেষ্টা করি। বন্যপ্রাণী, পাখির ছবি তুলি। এই শখটাও আমার প্রায় ৫০ বছরের পুরনো। সারা ভারত নিয়ে ঘুরেছি নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে। নিজের সব কাজ নিজে করি।
পা নেই তো কী হয়েছে? মনের জোর তো হারাইনি।

সাক্ষাৎকার ও ছবি রানা সেনগুপ্ত
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
পার্ক স্ট্রিটের মতো একটা অভিজাত জায়গায় কেন যে বার বার আগুন লাগছে বোঝা দায়। তবে লাগছেই যখন, তখন রাস্তাটার নাম ‘অগ্নিপথ’ রাখলে বেশ হয়; অমিতাভজিও খুশি হবেন, সঙ্গে ক্যাটরিনাও!
সুশান্ত। কালনা

রাজ্যে এখন একটা বেশ সঙ্গীতময় পরিবেশ। সিগন্যালে বাজছে রবীন্দ্রসঙ্গীত, শোনা যাচ্ছে গ্রামেগঞ্জেও এ বার নাকি সরকারি প্রচারে বাজবে ঢাক! এরই মধ্যে আবার দিদির কবিতায় জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুরে গান শোনা যাবে। এখন দেখার, পপুলারিটিতে কে এগিয়ে থাকে মমতাদি না কোলাভেরি ডি!
বাপী ঘোষাল। ব্যান্ডেল

পরিবর্তনের হাওয়া! ফ্যান চালিয়ে বর্ষবরণ! দিদি কি কলকাতাকে লন্ডন বানাতে গিয়ে ভুল করে অস্ট্রেলিয়া বানিয়ে দিলেন? যা-ই হোক, নাই মামার চেয়ে কানা মামাই ভাল!
সোমশুভ্র আইচ ভৌমিক। যাদবপুর

তৃণমূলের নিজের দলের মধ্যে এত বিভেদ, তাই দিদির কাছে অনুরোধ: দিদি, আপনি প্লিজ পশ্চিমবঙ্গের উন্নতির কথা ভেবে দল চেঞ্জ করে সিপিএমে যোগ দিন!
সবজান্তা। ডানকুনি

ভাইয়েরা, দয়া করে নিজের নাম বাঁচাতে চাইলে দিদির সামনে যাবেন না!
জ্যোতি হাজরা।

‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ এখন বেশ হিট। কিন্তু রয়েল বেঙ্গল বাঘের সংখ্যা রহস্যজনক ভাবে কমার রহস্য সমাধান তাড়াতাড়ি হলেই বেঙ্গলের মঙ্গল!
রাজা। হৃদয়পুর

লোকপালে হাওয়া নেই!
বাঁশরী বসু। রাজারহাট

নির্বাক যুগ পেরিয়ে, সবাক যুগে চলতে চলতে এত দিনে বাংলা সিনেমা ‘ছত্রাক’ লেগে ‘বেডরুম’-এ ঢুকে ‘গান্ডু’ হয়ে সাবালক হল!
গৌতম মুখোপাধ্যায়। খড়দহ

অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য রক্ষী দ্বার না খোলায় টিম ইন্ডিয়ার গান: খোলো খোলো দ্বার রাখিয়ো না আর বাহিরে আমায় (আমাদের) দাঁড়ায়ে!
উজ্জ্বল গুপ্ত।

ক: বল দেখি, স্টিভ জোবস বাঙালি বিয়েয় কোন অনুষ্ঠানটা জুড়ে দিয়ে গেছেন?
খ: জানি না তো। স্টিভ জোবস?
ক: আরে ‘i-বুড়ো ভাত’!
শীর্ষাদিত্য। সল্টলেক
এ ভাবে কেউ বেলুন করে ফুটো?
বুঝিয়ে দেয় হিরে মালটা একেবারেই ঝুটো।
দেশের মাঠে বিশাল যারা বাঘ,
বিদেশ গিয়েই দাঁতে কাটছে ক্রিকেট মাঠের কুটো।
অবলীলায় ট্রিপল পেরোও,
উইকেটটি কামড়ে যেন জলার্ক।
ঘুঁটের মালা নাও মাইকেল ক্লার্ক
রুমা চক্রবর্তী
মোটাসোটা ছিলাম ঠিকই, কিন্তু ফর্সা রং এবং সুকণ্ঠের অধিকারী ছিলাম বলে কিছুটা নিশ্চিন্ত। উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য সবে কলেজে ভর্তি হয়েছি। আমার মা তখন কিছু কিছু লোককে ভাল পাত্রের সন্ধান দিতে বলতেন এবং বাবা যে দস্তুরমতো মনে মনে তৈরি হয়ে গেছেন আমাকে পাত্রস্থ করার জন্য, সেটা হঠাৎ এক রবিবার টের পেলাম। বাড়িতে আমাকে বলা হয়েছিল, ওই দিন বিকেলে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবেন।
ছেলেটি কেমন দেখতে, কী করে, ইত্যাদি ইত্যাদি সব কিছুই ছিল অজানা। এখন অবশ্য বলতে দ্বিধা নেই যে, আমি ওর একটি ছবি পর্যন্ত দেখিনি। নানা রকম প্রশ্ন মনে ভিড় করছিল। কারও থেকে জানবার কোনও উপায় ছিল না। শুধু এটুকুই বাবার ওপর বিশ্বাস ছিল যে তিনি নিশ্চয়ই তাঁর আদরের ছোট মেয়েকে কোনও খারাপ ছেলের সঙ্গে পাত্রস্থ করবেন না। বন্ধুকে পর দিন সব জানালাম ঠিকই, কিন্তু কৌতূহল থেকেই গেল। অবশেষে পাত্রপক্ষের সম্মতিতে নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের চার হাত এক হয়ে গেল।
আমি খুব ধীর এবং শান্ত। চিন্তায় ছিলাম যে, আমার চলার সঙ্গী কী রকম হবে। বিয়ের দিন রাতেই তার পরিচয়টা পেয়ে গেলাম। আমি উত্তরের মেয়ে। প্রচণ্ড মশা, বিশেষ করে শীতকালে। বিয়ে হয়েছিল ফাল্গুনে। ওরা ছিল দক্ষিণের। বিয়ের রাতে ও হঠাৎ বাসর ঘর থেকে বেরিয়ে দেখে বাবা প্রচণ্ড ঠান্ডায় আর মশার উপদ্রবে গুটিশুটি মেরে চেয়ারে বসে আছেন। দেখেই আমাদের গায়ের কম্বলখানা নিয়ে বাবার গায়ে ঢাকা দিয়ে শুয়ে পড়তে বলে। বাসর ঘরে আমি যে কখন নিজের অজান্তে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম, জানি না। তবে আচ্ছন্নটা কাটতেই দেখলাম, আমারও গায়ে একখানা চাদর ঢাকা। হেসে বলল, আমিই দিয়েছি।
আমার সব চিন্তার অবসান হল তো বটেই, তা ছাড়া এটা ভেবে গর্ব বোধ হল যে, বাবা ঠিক পাত্রই নির্বাচন করেছেন। সেই যে উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে এলাম, তার পর আজ দীর্ঘ একত্রিশ বছর পেরিয়ে চলল বত্রিশে।

জয়ন্ত মণ্ডল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
ক্ষমা চাইছি
শীতের দুপুর। জমে যাওয়া নারকেল তেলের বড় একটা কাচের শিশি মা বারান্দায় রোদে দিয়েছিল গলানোর জন্য। বাড়ির পোষা কুকুর জিম্বোর সঙ্গে খেলতে খেলতে আমার পা লেগে শিশিটা পড়ে গিয়ে ভেঙে চুরমার হয়ে সব তেল পড়ে গিয়েছিল। নীচ থেকে আমার পিসি ‘কী ভাঙলি’ বলে ছুটে এসে নতুন তেলের শিশির ওই হাল দেখে আমায় মারতে উদ্যত হলে নিজেকে বাঁচানোর জন্য পাশে বসে থাকা জিম্বোর নামে দোষটা দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। সে-দিন বিনা দোষে কয়েক ঘা মারও সহ্য করতে হয়েছিল ওকে। আজ প্রায় ছ’বছর হয়ে গেল জিম্বো আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে। তবু সে-দিন পিসির কাছে মার খাওয়ার পর তার চোখের সেই অদ্ভুত করুণ চাহনি মনে পড়লে আজও আমার অনুশোচনায় প্রাণটা কেঁদে ওঠে। সে দিন পিসির হাত থেকে বাঁচার জন্য অবুঝের মতো যে কাজ আমি করেছি, তার জন্য কোনও দিন নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না।
মৌলি বসু
কলকাতা-১৪

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১

নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন
থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ভালবাসার বাস্তব
কাহিনি আমাদের পাঠান, যে কাহিনি এই
কঠিন সময়েও ভরসা জোগাতে পারে।

২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.