গবেষণা এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতকে ছাপিয়ে গিয়েছে চিন। অন্তত এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। আজ ওড়িশায় ৯৯তম জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত কয়েক দশকে গবেষণায় আশানুরূপ ফল করতে পারেনি ভারত। সেই তুলনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনেক উন্নতি করে ফেলেছে চিন। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে পড়ছে ভারত। দেশে মহিলা বিজ্ঞানীদের অবস্থা নিয়েও উদ্বিগ্ন মনমোহন। সম্প্রতি গবেষণার কাজ শেষ করেছে এমন ২০০০ জন মহিলা বিজ্ঞানীকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশই বর্তমানে বেকার এবং উপযুক্ত গবেষণার সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ। গবেষণামূলক কাজের ক্ষেত্রে দেশের লিঙ্গবৈষম্যও প্রভাব ফেলেছে বলে মন্তব্য করেন মনমোহন। |
তবে অবস্থা খুব ধীরে হলেও পাল্টাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বারের জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে দেশের বিজ্ঞান গবেষণায় মহিলাদের অবদান তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানান মনমোহন। অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে মহিলা বিজ্ঞানী টেসি টমাসের কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁকে দেখে আরও অনেক মহিলা বিজ্ঞানী এগিয়ে আসবেন বলে আশা তাঁর। প্রসঙ্গত এ বারে জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি এক মহিলা। নাম গীতা বালি। তিনি কর্নাটক ‘স্টেট উইমেন বিশ্ববিদ্যালয়’-এর উপাচার্য। উপস্থিত দেড় হাজার অতিথির মধ্যে ৫০০ জন বিদেশি এবং কয়েক জন নোবেলজয়ীও ছিলেন।
পরিস্থিতির উন্নতিতে দেশের শিল্পপতিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন মনমোহন। ২০১৭ সালে দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সরকারি অনুদানের পরিমাণ দ্বিগুণ করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
সেই সঙ্গে দেশে বিজ্ঞানের উন্নতিতে কয়েক গুচ্ছ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছেন মনমোহন। এর মধ্যে বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স’-এ পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং তামিলনাড়ুর টেনিতে নিউট্রিনো গবেষণায় ১৩৫০ কোটি টাকার অনুদানের কথাও রয়েছে। |