সন্ধ্যায় বাহারি আলোয়
রমণীয় মার্বেল রকস
র্মদার তীরে জব্বলপুর বেশ প্রাচীন শহর। এর খ্যাতির বিশেষ কারণ মার্বেল রকস। লক্ষ্মী পুজোর পরের দিন শিক্ষামূলক একটি ভ্রমণ কর্মসূচির আওতায় চললাম সেখানে।
বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ২৫ অক্টোবর পৌঁছলাম পাঁচমারির নিকটবর্তী রেল স্টেশন পিপারিয়ায়। সেখান থেকে সকাল সাড়ে আটটার ইন্টারসিটি ধরলাম। জব্বলপুর স্টেশনে নামলাম সকাল সাড়ে ১১টায়। তবে যাঁরা সরাসরি হাওড়া থেকে আসতে চান, তাঁরা মুম্বই মেল, ভায়া এলাহাবাদ অথবা শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেসে চেপে সরাসরি জব্বলপুরে চলে আসতে পারেন।
কিছু খাওয়া দাওয়া সেরে দুপুর ১টার মধ্যে তিনশো টাকার চুক্তিতে আমরা ৫ জন অটোয় চড়লাম। গন্তব্য সেই বিখ্যাত মার্বেল রকস।
ছবি: বিষ্ণুপদ কোলে।
দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। ভেড়া ঘাটে পৌঁছলাম। এর পরে মাথা পিছু ৩০ টাকা দিয়ে আমরা গেলাম নৌকা ভ্রমণে। নর্মদার নদীখাতে ম্যাগনেসিয়াম, চুনা পাথরের পাহাড়। নদীর দুই পাশে পাহাড়ের সারি। তার মধ্যে দিয়ে নৌকা চলল তরতরিয়ে। নদীর গভীরতা চারশো থেকে সাতশো ফুট। সূর্যালোক বিভিন্ন পাহাড়ের গায়ে যেন রং বেরঙের খেলা দেখাচ্ছে। দীর্ঘদিন নদীর জলের স্রোতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে পাহাড়ের গা বিভিন্ন জীবজন্তুর আকার ধারণ করেছে। প্রায় এক ঘণ্টার নৌকা ভ্রমণ। দেখলাম, দত্তাত্রেয় মুনি ও মহর্ষি ভৃগুর গুহা। অন্তত আমাদের গাইড তেমনই বললেন। পাহাড়ের উপর থেকে এলাকার শিশুদের জলে ঝাঁপ দেওয়ার দৃশ্য রোমাঞ্চকর। আর ধুয়াঁধার জলপ্রপাত তো এককথায় অসাধারণ। প্রকৃতির অনন্য সৃষ্টি। নামেই লুকিয়ে পরিচিতি। পাহাড়ের উপর থেকে প্রবল গতিতে নেমে আসছে নদী। সন্ধ্যায় পাহাড়ের মাথায় জ্বলে ওঠে ফ্লাড লাইট। সেই আলোয় বাহারি রঙের মার্বেল রকস্ আরও রমণীয় হয়ে ওঠে। এই অসাধারণ দৃশ্য মনে থাকবে সারা জীবন।


durgapuredit@abp.in
(লেখা নির্বাচনে সম্পাদকীয়
বিভাগের বিবেচনাই চূড়ান্ত)



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.