দল লড়াকু মন হারিয়েছে, সূর্যকান্তের সতর্কবার্তা
ড়াকু মনোভাব হারিয়ে সিপিএম আর পাঁচটা রাজনৈতিক দলের মতো ‘সাধারণ’ হয়ে গিয়েছে বলে নেতা-কর্মীদের সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র।
শনিবার থেকে বাঁকুড়া ও বীরভূমে সিপিএমের জেলা সম্মেলন শুরু হয়েছে। দল সূত্রের খবর, বাঁকুড়ায় সম্মেলনের শুরুতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যবাবু বলেন, “আমাদের দল একটি সাধারণ দল হয়ে গিয়েছে। লড়াই করার মনোভাব হারিয়ে গিয়েছে।” দ্রুত নিজেদের ভুল শুধরে জনসংযোগ বাড়ানোর উপরে তিনি জোর দেন।
বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে গুটিয়ে যাওয়া কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে সিপিএমের রাজ্য নেতারা এখন বিভিন্ন সম্মেলনে ঘর গোছানোর কথা বলছেন। আক্রমণাত্মক কথা বলাও আবার শুরু হয়েছে। বীরভূমের সিউড়িতে প্রকাশ্য সমাবেশে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম যেমন ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হিটলারের নাতনি।” এর আগে হবিবপুরে দলের মালদহ জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সভাতেও তিনি একই মন্তব্য করেছিলেন।
বাঁকুড়ার সম্মেলনে বিভিন্ন জোনাল কমিটির নেতারা অভিযোগ তোলেন, তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পুলিশ তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। দলের কর্মীরা আতঙ্কে গুটিয়ে গিয়েছেন। দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু তাঁদের বক্তব্য শুনেছেন। বীরভূমের সভায় বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দশ বছর চুপচাপ থাকতে বলেছেন। আমরা বামপন্থীরা না হয় চুপ থাকলাম। মানুষ চুপ থাকবে তো?” তাঁর দাবি, “গত ৩৪ বছরে রাজ্যে কোনও কৃষক আত্মহত্যা করেনি। অথচ এই সরকারের ছ’মাসের মধ্যে রাজ্যে পাঁচ জন চাষি আত্মঘাতী হয়েছেন।” গত বছরই যে খরার সময়ে বর্ধমানের আউশগ্রামে তিন চাষি আত্মঘাতী হন, সে প্রসঙ্গ অবশ্য তিনি তোলেননি।

মুরারইয়ে গুলিবিদ্ধ ৩
ব্যাঙ্কে ডাকাতির চেষ্টা রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে জখম হলেন তিন বাসিন্দা। বীরভূম জেলার মুরারই থানার মিত্রপুর গ্রামে শুক্রবার রাতের ঘটনা। জখম তিনজনকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সেই রাতেই মিত্রপুর হাইস্কুলে দুষ্কৃতীরা ঢুকে কয়েকটি আলমারি ভেঙে প্রায় এক লক্ষ টাকা লুঠ করে বলে অভিযোগ। বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারহাত আব্বাস বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” মিত্রপুরের ওই গ্রামীণ ব্যাঙ্কের পাশেই অতুল প্রামাণিকের বাড়ি ও গয়নার দোকান রয়েছে। অতুলবাবু ও তাঁর ভাই দুলালবাবু এবং অতুলবাবুর ছেলে বিষ্ণুবাবুর গুলি লাগে। দুলালবাবুর কথায়, “রাতে টিনের দরজা ভাঙার শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। আমাদের গয়নার দোকান ভাঙা হচ্ছে ভেবে বাড়ির দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসি। দেখি কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা চার-পাঁচ জন সশস্ত্র লোক ব্যাঙ্কের শাটার ভাঙার চেষ্টা করছে। ওরা আমাদের বাড়ির ভিতরে এসে সবাইকে ঘরে ঢুকতে বলে। বাধা দিলে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে পালায়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.