টুকরো খবর
৫০% সংখ্যালঘু পড়ুয়া থাকলেই জুটবে ‘সংখ্যালঘু’ স্কুলের মর্যাদা
সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য নতুন মাপকাঠি তৈরি করছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যে-সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য তৈরি, সেই সম্প্রদায়ের অন্তত ৫০ শতাংশ পড়ুয়া থাকলে তবেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ‘সংখ্যালঘু’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া হবে। আজ, শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব আনা হচ্ছে অনুমোদনের জন্য। বাম জমানায় এই সংক্রান্ত নির্দেশিকায় সংশ্লিষ্ট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়া ‘পর্যাপ্ত’ পরিমাণে থাকলেই ওই প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হত। কিন্তু পড়ুয়ার সংখ্যা কত হলে তা ‘পর্যাপ্ত’ বলা হবে, তা নির্দেশিকায় নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছিল না। নতুন নির্দেশিকায় সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ‘নো অবজেকশন’ দেওয়ার জন্য শিক্ষার অধিকার আইন মোতাবেক কিছু শর্তও জারি করা হচ্ছে। তাতে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত, উপযুক্ত শ্রেণিকক্ষ প্রভৃতি মাপকাঠি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই সঙ্গেই কলকাতা পুর এলাকায় মিড-ডে মিল প্রকল্পের দায়িত্ব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাবও আসছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। স্কুলশিক্ষা দফতরের পেশ করা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গ্রামাঞ্চলে মিড-ডে মিল প্রকল্প ভাল চললেও কলকাতায় ওই প্রকল্পের সাফল্য আশানুরূপ নয়। এর কারণ হিসেবে কলকাতার স্কুলগুলিতে রান্নার জায়গায় অভাব এবং জ্বালানির সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কলকাতায় মিড-ডে মিল প্রকল্প রূপায়ণ করতে এর আগে আট থেকে ১০টি বিদ্যালয়ের জন্য একটি করে অভিন্ন রন্ধনশালা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও ভাল ফল মেলেনি। সেই জন্যই এ বার কলকাতার মিড-ডে মিলের পুরো দায়িত্ব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রিসভায় জমি বিল পেশ আজ
রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত জমি বিল (দ্য ওয়েস্টবেঙ্গল ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসেট্লমেন্ট বিল, ২০১১)-এ গত সপ্তাহেই সই করেছেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। অনুমোদনের জন্য বিলটি আজ, শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হচ্ছে। বিধানসভার সদস্যেরা অবশ্য বিলটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কারণ, গত সপ্তাহে বিলটি রাজ্যপালের সই ছাড়াই প্রথমে বিধায়কদের মধ্যে বিলি করা হয়েছিল। রাজ্যপালের সই ছাড়াই বিলটি বিলি করা নিয়ে সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন চলেছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত দেড় ডজন প্রস্তাবও আনা হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে উত্তর-দিনাজপুরের করণদিঘি ও মুর্শিদাবাদে বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন তৈরির জমি, উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে আর্সেনিকমুক্ত জল সরবরাহ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব। এ ছাড়াও রয়েছে সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ওই জেলারই খড়গ্রামে জমি নেওয়ার প্রস্তাব। বর্ধমানের হীরাপুরে সড়ক এবং খণ্ডঘোষে নতুন ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করার কথা। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর ব্রডগেজ লাইন প্রকল্পের জন্য জমি দরকার গোঘাটে। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেললাইন ও পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদলে রূপনারায়ণের বাঁধ মজবুত করার জন্যও জমি লাগবে। এই সব ক্ষেত্রেই জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব আসছে আজ।

হোমগার্ডের ফলপ্রকাশ
জঙ্গলমহলের যুবক-যুবতীদের হোমগার্ড হিসাবে নিয়োগের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হল বৃহস্পতিবার। গোয়ালতোড় থানা এলাকা বাদ দিয়ে বাকি থানার ফল প্রকাশিত হয়েছে এ দিন। তাতে ৬৭২ জনের নাম রয়েছে। প্রতিটি থানা এলাকাতেই ওই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশলাইন, জেলা পুলিশ অফিসেও তালিকা রয়েছে। যে কোনও প্রার্থী ওই তালিকা থেকেই জানতে পারবেন তিনি নির্বাচিত হয়েছেন কি না। এর বাইরেও প্রতিটি থানা এলাকার জন্যেই আরও ৩৩ জনের নাম ওয়েটিং-লিস্টে রাখা হবে। দু’এক দিনের মধ্যেই ওয়েটিং-লিস্টও প্রকাশ করা হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি জানান, যদি তালিকায় নাম বেরোনোর পরে কোনও আবেদনকারী চাকরি করতে রাজি না হন তখন ওয়েটিং-লিস্টে থাকা যুবক-যুবতীরা সুযোগ পাবেন। গোয়ালতোড় থানা এলাকাতেও ৬৭টি পদে নিয়োগ হবে। কিন্তু কিছু সমস্যা থাকায় ওই থানা এলাকার যুবক-যুবতীদের পরীক্ষা নিতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। তাই সেখানকার ফলপ্রকাশ হতেও একটু বিলম্ব হচ্ছে।

আন্দোলনে ফব-র যুবরা
জনস্বার্থ সম্পর্কিত একগুচ্ছ প্রশ্ন এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনকে ‘দেশপ্রেম দিবস’ ঘোষণার দাবিতে দলের যুব সংগঠনকে সামনে রেখে ময়দানে নামছে ফরওয়ার্ড ব্লক। রাজ্যে ‘দেশপ্রেম দিবস’ পালনের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছে যুব লিগ। চিঠি পাঠানো হচ্ছে এ রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দুই প্রতিনিধি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও দীনেশ ত্রিবেদীকেও। ১৪ দফা দাবি নিয়েও পদযাত্রায় নামছে তারা। যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী বৃহস্পতিবার বলেছেন, “রাজ্য এখনও দেশপ্রেম দিবসের দাবি খারিজ করেনি। আশা করি, তারা ওই দিবস পালন করবে। না-হলে ছোট সংগঠন হলেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাস্তায় বোঝাপড়া করব!”

ভিজিল্যান্সের সদস্য বেড়ে ৩
সরকারি কর্মীদের দুর্নীতি রোধে রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার প্রস্তাব আসছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। ওই কমিশনের সদস্য-সংখ্যা এক থেকে বাড়িয়ে তিন করা হচ্ছে। রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চাপ কমাতে পৃথক স্টাফ সিলেকশন কমিশন গড়ার প্রস্তাব আনা হচ্ছে ওই বৈঠকে। ওই কমিশন রাজ্য সরকারের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব পালন করবে। বিভাগীয় পরীক্ষাগুলিও নিয়ন্ত্রণ করবে তারা। মহাকরণ সূত্রের খবর, আজ, শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে দু’টি প্রস্তাবই পেশ করা হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.