|
|
|
|
সঙ্গতি বিচার নিয়ে ধন্দ |
সামর্থ্য না-থাকলে অষ্টম পর্যন্ত ফি মকুব রাজ্যেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কেন্দ্রের শিক্ষার অধিকার আইনে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের অবৈতনিক শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অভিভাবকদের আর্থিক ক্ষমতা না-থাকলে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে কোনও টাকা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকারও। স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিব বিক্রম সেন সোমবার এ কথা জানিয়েছেন।
শিক্ষার অধিকার নিয়ে কেন্দ্রের আইন চালু হয় ২০০৯ সালে। সেই আইন অনুযায়ী প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে কোনও ফি নিতে পারবে না স্কুল। তবে যে-সব অভিভাবকের ‘সঙ্গতি’ আছে, তাঁদের কাছ থেকে উন্নয়ন ফি বাবদ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বছরে সর্বাধিক ২৪০ টাকা নেওয়া যাবে। কোনও পড়ুয়ার অভিভাবক যদি তা-ও দিতে না-পারেন, তা হলে সেই পড়ুয়ার ফি সম্পূর্ণ মকুব করতে হবে বলে জানান সচিব। এ দিন তিনি বলেন, “কোনও অভিভাবক যদি আংশিক ফি দিতে রাজি হন, তা হলে তাঁর কাছ থেকে সেই পরিমাণ অর্থই নিতে হবে।”
প্রধান শিক্ষকদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, কোন অভিভাবকের ফি দেওয়ার সঙ্গতি নেই এবং কার আছে, সেটা তাঁরা বুঝবেন কী ভাবে? এক প্রধান শিক্ষক বলেন, “সরকার যদি সকলকেই ছাড় দেয়, তা হলে সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কাকে ছাড় দেওয়া হবে আর কাকে দেওয়া হবে না, সেই ব্যাপারে নির্দিষ্ট সরকারি নির্দেশিকা থাকা দরকার।” তা না-থাকলে ফি ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রেও ধোঁয়াশা তৈরি হবে।
এই বিষয়ে কোনও সরকারি নির্দেশিকা দেওয়া হবে কি না, স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তারা সেই বিষয়ে এ দিন কিছু জানাননি। তবে সচিব বলেন, “যদি কোনও বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের কেউই উন্নয়ন ফি দিতে না-পারেন, তা হলে বিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে দৈনন্দিন খরচের জন্য সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্প থেকে টাকা মঞ্জুর করার কথা ভাবা হবে।” এক প্রবীণ প্রধান শিক্ষক জানান, ছাত্র-সংখ্যার বিচারে স্কুল চালাতে বছরে তিন লক্ষ থেকে সাত লক্ষ টাকা খরচ হয়।
রাজ্যের সব জেলার ব্লক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা আধিকারিকদের সঙ্গে এ দিন কলকাতা থেকে ভিডিও-সম্মেলন করেন স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তারা। বিভিন্ন জেলার স্কুল পরিদর্শক থেকে শুরু করে ব্লক স্তরের আঞ্চলিক পরিদর্শকেরা এ দিনের সম্মেলনে সামিল হন। ছিলেন বেশ কিছু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও। পরে সচিব বলেন, “বৈঠকে স্কুলে ভর্তির সমস্যা থেকে শুরু করে উন্নয়ন ফি, শিক্ষকের অভাব, পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে মত বিনিময় হয়েছে।” সেই সঙ্গে তিনি জানান, জেলার যে-সব বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভাব রয়েছে, সেখানে শিক্ষক বদলি করতে হবে। তবে সেই বদলি করতে হবে এমন বিদ্যালয় থেকে, যেখানে শিক্ষকের অভাব নেই। এই পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত জেলা স্তরেই নিতে হবে বলে এ দিনের বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
|
সল্টলেক ও ব্যারাকপুরে হচ্ছে নতুন কমিশনারেট
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হাওড়া এবং দুর্গাপুর-আসানসোলের পরে আরও দু’টি পুলিশ কমিশনারেট তৈরির আইনি অনুমতি পেল রাজ্য। সোমবার মহাকরণে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন, একটি কমিশনারেট হচ্ছে সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাট এবং নবদিগন্তকে নিয়ে। অন্যটি হবে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থেকে কামারহাটি, ব্যারাকপুর-বীজপুর অবধি শিল্পাঞ্চলকে নিয়ে। এগুলি গঠনের জন্য হাইকোর্টের প্রয়োজনীয় অনুমতি এ দিনই মিলেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেছেন, “মানুষের কাছে আরও দ্রুত প্রশাসনিক পরিষেবা পৌঁছে দিতে কমিশনারেট গঠনের কথা আগেই বলেছিলাম। হাওড়া ও আসানসোল-দুর্গাপুরে দু’টি কমিশনারেট ভালই কাজ করছে। এখন আরও দু’টি তৈরি হচ্ছে। বাকি রয়েছে শিলিগুড়ি। মাত্র সাত মাসের মধ্যে আমরা এতগুলি কমিশনারেট প্রশাসন মানুষকে দিতে পারলাম।” |
|
|
|
|
|