মল্লারপুরের মণ্টু। বাবা, মা, দাদু, দিদার সঙ্গে এসেছিল মেলায়। তার উদ্দেশ্য ছিল, মেলায় রবিঠাকুরকে দেখবে। মা মহিমা চৌধুরী নানা ভাবে বোঝাচ্ছেন ছোট মণ্টুকে। কিন্তু সে নাছোড় বান্দা। তার কথায়, “দিন দু’য়েক আগে দাদু বলেছিল শান্তিনিকেতন মেলায় রবিঠাকুর থাকবে।” তাই মণ্টু হন্যে হয়ে খুঁজছে রবিঠাকুরকে! শেষ পর্যন্ত না দেখতে পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
|
দশমীর মতো ১০ পৌষ বিদায়ের সুর বাজল মেলায়। বাউল, ফকির মঞ্চে নেই শিল্পীরা। স্টল গোছাতে ব্যস্ত বিক্রেতারা। যাবার বেলায় চৈত্রসেলের মতো বিক্রেতারা হরেক জিনিসের মূল্যে বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছেন। একটা কিনলে একটা ‘ফ্রি’-এই চিৎকারে ক্রেতাদের মন কাড়ছে বিক্রেতারা।
|
বিশ্বজুড়ে সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রে কোথাও চাকরি খালি আছে কি না তা সহজে জানতে পারবেন বেকার যুবক-যুবতীরা। সেই জন্য ‘আই কোড জব’ নামে ৩০০ টাকার বিনিময়ে একটি কার্ড দিয়েছে ভারতীয় ডাকবিভাগ। ডাকবিভাগের জেলা সুপার আশিস মজুমদার বলেন, “বিশ্বজুড়ে সরকারি, বেসরকারির ক্ষেত্রে খোঁজ পাবেন বেকার যুবক-যুবতীরা। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণের জন্য বিনা মূল্যে একটি কার্ড (আধার) দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, ডাকঘর থেকে ১০ টাকার বিনিময়ে ভারতের যে কোনও প্রান্তে যে কেউ এক পাতার বার্তা পাঠাতে পারবেন।’’
|
পৌষমেলার শেষ দিনে কেনার হিড়িক। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
|
প্রায় আধঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে রবিবার পৌষমেলায় আসা শিল্পী থেকে পর্যটক সকলের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। শান্তিনিকেতন গ্রুপ বিদ্যুৎ সাপ্লাই কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, ১০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। দুর্গাপুরে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য এই বিভ্রাট বলে দাবি।
|
একদিনে কম করে দশ বার হারিয়ে কার্যত রেকর্ড গড়লেন রামপুরহাটের চাকলা মাঠের বাসিন্দা মাম্পির মা তাহাসিনা বেগম। রবিবার তিনি মেলায় এসেছিলেন। সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে কমকরে দশবার মাইকে ঘোষণা হয়েছে, মাম্পির মা হারিয়ে গিয়েছে। মাম্পির বাবা আব্দুল মতিন বলেন, “কী আর বলবেন! বারে বারে হারিয়ে যাচ্ছে। এ বার একটা মোবাইল কিনে দেব।”
|
মেলা চত্বরে দেখা গেল রণ-পা নৃত্যের দাপাদাপি। কোথাও মোবাইল সংযোগের প্রচার, কোথাও স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রচার গায়ে সেঁটে মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে চলছে রণ-পা অভিযান। যা দর্শকদের নজর কেড়েছে। |