এক পক্ষের ছিল কর্মিসভা। অন্য পক্ষের মিছিল। কিন্তু কান্দিতে তৃণমূলেরই এই দুই কর্মসূচি একই সময়ে হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত কর্মিসভার সময় সংক্ষেপ করতে হল।
এই দিন তৃণমূলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাতিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ২০০ দিনের উন্নয়নমুখী কাজকর্মের কথা তুলে ধরতে শহরে একটি মিছিলের আয়োজন করেন। অথচ এই দিনই জেলা প্রাথমিক সংসদের সভাপতি তৃণমূলের সাগির হোসেনের নেতৃত্বে ঠিক হয়েছিল কান্দি রাজ হাইস্কুলে একটি কর্মিসভারও আয়োজন করা হয়। এই কর্মিসভা হওয়ার কথা ছিল বেলা ১২টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত। কিন্তু বারোটার কিছু আগে আব্দুল মাতিনের অনুগামীদের মিছিল ওই স্কুলের সামনে পৌঁছয়। তাঁরা স্কুলের দু’টি ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করেন ‘সাগির হোসেন চলে যাও।’ অন্য দিকে তখন সাগির হোসেনের অনুগামীরা কর্মিসভায় পৌঁছে গিয়েছেন, কেউ কেউ বক্তৃতাও করতে শুরু করেছেন। কিন্তু আব্দুল মাতিনের অনুগামীদের বাধায় শেষ পর্যন্ত কর্মিসভা মাঝপথে বন্ধ করে দিতে হয়। চলে আসে পুলিশও। স্কুলের দু’টি দরজাই বন্ধ করে দেয় তারা। বেলা একটা নাগাদ দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পুলিশ তা থামাতে গেলে পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয়। বেলা দু’টো নাগাদ আব্দুল মাতিনের অনুগামীরা এলাকা ছেড়ে চলে যান। বিকেল চারটে নাগাদ সাগির হোসেনের অনুগামীরা বড় মিছিল করে ওই স্কুলের সামনে গিয়ে পৌঁছয়। কর্মিসভা শুরু হয় চারপরে।
আব্দুল মাতিন বলেন, “সাগির হোসেনের সভা বানচাল করাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। কারণ ওরা এই জেলায় কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংগঠন নষ্ট করে দিতে চাইছে। তাই আমরা মিছিল করে গিয়েছিলাম।” তাঁর বক্তব্য, “যদি কর্মিসভাই করতে হয়, তা হলে তা জেলা সভাপতি সুব্রত সাহাকে জানানো হয়নি কেন?” সাগির হোসেন অবশ্য বলেন, “আমরা তৃণমূলের বিশ্বস্ত সৈনিক। মানুষও তা জানে। এখানে গোষ্ঠীকোন্দলও নেই।” তা হলে কর্মিসভা শুরু হতে দেরি হল কেন? তিনি বলেন, “আমার প্রশাসনের সঙ্গে কিছু কাজ ছিল। তা মিটিয়ে আসতে আসতে দেরি হয়ে গিয়েছে।” |