টুকরো খবর |
করলায় বরাদ্দ |
সঞ্জয় চক্রবর্তী • শিলিগুড়ি |
বিষ কাণ্ডে নষ্ট হওয়া জলপাইগুড়ির করলা নদীকে ফের আগের চেহারায় ফেরাতে উদ্যোগী মৎস্য দফতর। সেচ দফতর ও পুরসভার সাহায্য নিয়ে তিস্তা নদী থেকে করলায় জল ঢোকানো হয়েছে। তাতে ‘বিষাক্ত জল’ অনেকটাই বার করে দেওয়া হয়েছে। মৎস্য দফতরের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর তিমিরবরণ মণ্ডল বলেন, “কীভাবে, কারা করলার জল বিষাক্ত করে দেয় সেটা প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে। আর আমরা করলাকে ফের স্বাভাবিক চেহারায় ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছি। প্রাথমিক ভাবে যে ২০ হাজার টাকার মাছের চারা ছাড়া হবে বলে ঠিক হয়েছে তার অনুমতির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেই অনুমতি মিলবে বলে আশা করছি। পরে ফের অন্তত ৩-৫ লক্ষ টাকার মাছের চারা ছাড়া হবে।” দিনবাজার এলাকায় করলার জলে আবর্জনা ফেলা এ বার বন্ধ করতে পুরসভা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাইবেন ওই দফতরের কর্তারা। গত ২৮ নভেম্বর সকাল থেকে করলা নদীতে রাশি রাশি মরা মাছ ভেসে উঠতে থাকে। ওই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন প্রশাসনের কর্তারা। জেলা প্রশাসন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যা বিভাগ থেকে মাছ মরার কারণ অনুসন্ধানে পৃথক ভাবে তদন্ত শুরু হয়। জানা যায়, কেউ বা কারা করলা নদীর কয়েকটি এলাকায় প্রচুর এন্ডোসালফান জাতীয় বিষ মিশিয়েছে। মৎস্য দফতের এই তিন জেলার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর জানান, মাছ ছাড়ার আগে তাঁরা ফের নদীর জল একবার পরীক্ষা করে নেবেন। নদী থেকে কিছু জল তুলে মাছের চারা ছেড়ে দেখা হবে সেগুলি বাঁচতে পারছে কি না। তার পরেই মাছের চারা সরাসরি নদীতে ছাড়া হবে।
|
হাঁস-মুরগির মৃত্যু খামারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
অজানা রোগে মৃত্যু হচ্ছে পুরুলিয়ার সরকারি খামারের হাঁস-মুরগির। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্তারা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি, ঠিক কী রোগে মারা যাচ্ছে হাঁস-মুরগি। পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে বেলগুমায় প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের একটি খামার আছে। সেখানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দেশীয় হাঁস-মুরগি ছাড়া, অস্ট্রেলীয় খাঁকি ক্যাম্পবেল ও জাপানি কোয়েল চাষ করা হয়। সপ্তাহখানেক আগে খামারের কর্মীরা লক্ষ করেন, কিছু দেশীয় হাঁস-মুরগি মারা যাচ্ছে। পরের কয়েক দিন একই ঘটনা ঘটে। সোমবার অনেক চেষ্টা করেও সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ ঘটনাটি জানেন। তিনি বলেছেন, “মৃত হাঁস-মুরগির দেহরসের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” জেলার অন্য কোথাও হাঁস-মুরগির মারা যাওয়ার খবর নেই বলেও জেলাশাসক জানান।
|
চলছে হাতির তাণ্ডব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিষ্ণুপুর বনাঞ্চল লাগোয়া গ্রামগুলি থেকে নড়ার নাম নেই দলমার ৫০টি হাতির পালের। হাতিদের তাণ্ডবে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলায় ক্ষোভে কার্যত ফুঁসছেন বন দফতরের বাঁকাদহ রেঞ্জ এলাকার চাঁচর, আধকাটি, বামুনভাঙা, বনগেলিয়া, আমডহরা, মাগুরা প্রভৃতি গ্রামের কৃষিজীবীরা। রবিবার রাতেও আধকাটা গ্রামে ঢুকে সাত্তার মল্লিক নামে এক আলু চাষির জমি তছনছ করেছে হাতিরা। এর আগে শনিবার রাতে চাঁচর গ্রামে গৌর নন্দীর ধানের গোলা এবং সন্ন্যাসী ফৌজদার ও জয়দেব সর্দারের বেশ কয়েক বিঘা জমির আলু নষ্ট করেছে হাতির পাল। বাঁকাদহ রেঞ্জ কার্যালয়ে চাষিরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ বলেন, “এই দলটি এলাকায় নতুন। ফলে একই জায়গায় বৃত্তাকারে ঘুরছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতিও বাড়ছে। বনকর্মীদের নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।
|
প্রকৃতি-পাঠ শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
আলিপুরদুয়ার রোভার্স এন্ড মাউন্টেনিয়ার্স ক্লাবের উদ্যোগে প্রকৃতি পাঠের শিবির শুরু হল। সোমবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) নিউল্যান্ডস জঙ্গলে এই ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন প্রবীন পর্বতারোহী বিদ্যুৎ সরকার। ক্লাবের সম্পাদক সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ডুয়ার্সের ৮-১৪ বছরের ১০০ জন ছেলেমেয়ে এ দিন শিবিরে যোগ দেয়। |
|