‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের’ জেরে পদত্যাগী তৃণমূলের প্রধান
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন গুপ্তিপাড়া ২ পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ মোট ৭ সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, আন্দোলনের ‘অছিলায়’ পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধানকে হেনস্থা করেন কিছু লোক। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের ইন্ধন দেয় দলেরই একটি গোষ্ঠী। মহকুমাশাসক (সদর) জলি চৌধুরী বলেন, “পদত্যাগপত্র গৃহিত হওয়ার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। সেই প্রক্রিয়া চলছে।”
ওই পঞ্চায়েতের ১২টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১০টি আসন। প্রধান তৃণমূলের চায়না বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের কাজকর্মের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। সেই ক্ষোভকে কাজে লাগায় দলের নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীম রায় এবং ব্লক নেতা শ্যামাপ্রসাদ রায়বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠীর লোকেরা। এঁদের বক্তব্য, প্রধান নির্দিষ্ট কয়েক জন সদস্যকে নিয়ে পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে ‘অনিয়ম’ চলছে। অভিযোগ, এই গোষ্ঠীর মদতে গত ১৬ ডিসেম্বর একদল গ্রামবাসী ওই পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখান ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে। চায়নাদেবীকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন চায়নাদেবী। এই বিষয়ে মহকুমাশাসক বলেন, “যাবতীয় অভিযোগ বিডিও-কে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।”
গত শুক্রবার চায়নাদেবী, উপপ্রধান-সহ সাত জন পঞ্চায়েতের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে চিঠি দেন বিডিও-কে। সোমবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়ের সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা। দলের অঞ্চল সভাপতি বাদল সরকারের বক্তব্য, “শ্যামাপ্রসাদবাবু এবং অসীমবাবুর অনুগামীরাই ওই কাজ করছেন বলে ওই সদস্যেরা আমাকে লিখিত জানিয়েছেন। অত্যন্ত কদর্য ভাষায় দলের মহিলা প্রধানকে গালিগালাজ করা হয়েছে। এটা ঠিক কাজ হয়নি।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীম রায় অবশ্য বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার সারবত্তা নেই। এর জবাব দেওয়াও আমার রুচির বাইরে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.