বৃহৎ নদীবাঁধ বিরোধী আন্দোলনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এনএইচপিসির নামনি সুবনসিরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। ধেমাজি ও লখিমপুর জেলা জুড়ে অবরোধের জেরে অরুণাচলের পূর্ব, পশ্চিম ও আপার সিয়াং জেলায় পণ্য ও জ্বালানীর আকাল দেখা দেয়। অবরোধকারীদের হঠাতে গত রাতে পুলিশ ও আধাসেনা নামানো হয়। লাঠিতে জখম হন অনেকে। গ্রেফতার হন তিন কৃষক নেতা। প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে ধেমাজি-লখিমপুর ৪৮ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
নামনি সুবনসিরিতে ২০০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার প্রতিবাদ জানিয়ে, ১৬ ডিসেম্বর থেকে আসু, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, আটাসু ও টিএমপিকে-সহ বহু সংগঠন ৫২ নম্বর জাতীয় সড়কে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছে। সমিতির নেতা অখিল গগৈ বলেন, “অরুণাচল ও অসম সরকার অবিলম্বে বাঁধ নির্মাণ বন্ধ না করলে অর্থনৈতিক অবরোধ শুরু হবে।” প্রকল্পের জন্য আনা ট্রান্সফর্মার, টারবাইনগুলিও গেরুকামুখে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। নাগাড়ে চলতে থাকা অবরোধের জেরে ডিজেল না আসায় গত দু’দিন ধরে গেরুকামুখের সব কাজ বন্ধ। জ্বালানীবাহী ট্যাঙ্কার, ভারী যন্ত্রাংশ, সিমেন্ট, রড নিয়ে আসা ট্রাকও লখিমপুরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি সামলাতে কাল গেরুকামুখে এনএইচপিসি কর্তৃপক্ষ, কর্মী সংগঠন, পুলিশ ও প্রশাসনের এক জরুরি বৈঠক হয়। রাজ্যের তরফে, বিধানসভার শীত-অধিবেশনে জানানো হয়েছিল, সমস্যা মেটাতে মন্ত্রীস্তরের একটি কমিটি গড়া হয়েছে। তাঁরা বাঁধের প্রভাব, নির্মাণ প্রণালী, বিশেষজ্ঞদের মতামত ও বাঁধ বিরোধীদের বক্তব্যসব খতিয়ে দেখবেন। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বাঁধ গড়ার ক্ষেত্রে কোনও আপস করা হবে না বলে সাফ জানানোয় আন্দোলনকারীরা আলোচনায় বসতে রাজি হননি। এই অবস্থায়, গত রাতে পুলিশ ও আধাসেনা অবরোধ হঠাতে নামে। লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা হয়। শূন্যে গুলিও চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে রাজু বোরা, বেদান্ত নস্কর ও কুমুদ গগৈকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০০ জন অবরোধকারীকে আটক করা হয়। |