|
|
|
|
|
|
|
জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে নতুন আইন |
মনমোহন সিংহের সরকার জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করতে উদ্যোগী হয়েছে। দীর্ঘ আলোচনা ও বিতর্কের পরে এই বিষয়ে বিলটি চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বিলটিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষকে সারা বছর নির্ধারিত পরিমাণে খাদ্য সস্তায় জোগাতে বাধ্য থাকবে সরকার। আইন লঙ্ঘিত হলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তার শাস্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে বিলটিতে। এই বিল এ বার সংসদের অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের মূল কয়েকটি বিষয়বস্তু:
• ভারতের ৬৩.৫ শতাংশ মানুষ গ্রামের ৭৫ শতাংশ এবং শহরের ৫০ শতাংশ এই বিলের আওতায় আসবেন।
• অতি-দরিদ্ররা (যাঁদের ব্যয়ক্ষমতা দারিদ্র রেখার নীচে) মাসে মাথাপিছু ৭ কিলোগ্রাম এবং পরিবার-পিছু ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য পাবেন, তুলনায় ভাল অবস্থায় থাকা দরিদ্ররা পাবেন মাসে মাথাপিছু ৩ কেজি।
• অতি-দরিদ্রদের জন্য খাদ্যশস্যের দাম বিশেষ ভাবে কম রাখা হবে, অন্য দরিদ্রদের জন্য দাম হবে সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম সহায়ক-মূল্যের অর্ধেক।
• এখনকার হিসেবে এই প্রকল্পের জন্য সরকারের বাড়তি খরচ হবে বছরে ২৭,৯৭৩ কোটি টাকা।
• সরকারি ভাণ্ডারে বার্ষিক খাদ্যশসে মজুতের লক্ষ্য এখনকার ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টন থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৬ কোটি কুড়ি লক্ষ টন।
এ ছাড়াও দরিদ্রদের জন্য কয়েকটি ব্যবস্থা করা হয়েছে এই বিলে:
• সন্তান জন্মের পর ছ’মাস জননীকে মাসে এক হাজার টাকা।
• পরিবারের প্রবীণতম নারীকে একটি বিশেষ রেশন কার্ড।
• স্তন্যদানরত মায়েদের এবং ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুদের পুষ্টির জন্য বিশেষ সাহায্য।
• সম্পূর্ণ নিঃসহায় হতদরিদ্রদের দিনে এক বার বিনামূল্যে খাবার।
• গৃহহীন মানুষদের জন্য ‘কমিউনিটি কিচেন’ অর্থাৎ সরকারি লঙ্গরখানা।
• প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্তদের তিন মাস প্রতি দিন দু’বার খাবার।
|
|
• একশো বছর পূর্ণ হল। তারিখটা ছিল ১২ ডিসেম্বর, ১৯১১। ভারতে এসেছেন ব্রিটেনের রাজা পঞ্চম জর্জ এবং রানি মেরি। দরবার বসেছে সে দিনের দিল্লির উত্তর-পশ্চিমে। ৮৫ একর জায়গা জুড়ে বিশাল প্যাভিলিয়ন। সেই দরবারে বসে রাজা ঘোষণা করলেন, নতুন রাজধানী হবে দিল্লি। এত দিন ব্রিটিশ ভারতের এক নম্বর শহর ছিল কলকাতা। বলা হত, গোটা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কলকাতা হল দ্বিতীয় শহর, লন্ডনের পরেই তার স্থান। কলকাতার সেই গৌরবের অবসান হল এ বার। ঘোষণার আগে অবধি খুব কম লোকই জানতেন, তবে সিদ্ধান্তটা বেশ কিছু দিন আগেই নিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। নতুন রাজধানীর জন্য চাই নতুন শহর। পুরনো দিল্লির দক্ষিণে বিস্তর ফাঁকা জায়গা, সেখানেই শুরু হল কর্মযজ্ঞ। ব্রিটিশ স্থপতি এডউইন লাটিয়েন্স-এর নেতৃত্বে গড়ে উঠতে লাগল রাজধানী দিল্লি, ত্রিশের দশক থেকে যার নাম দাঁড়াল নয়াদিল্লি। কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরের একাধিক কারণ ছিল, তবে একটা কারণ নিশ্চয়ই এই যে, স্বদেশি আন্দোলনের সূত্রে কলকাতা তখন ব্রিটিশদের পক্ষে ‘বিপজ্জনক’ এলাকা হিসেবে গণ্য হচ্ছে। সেই তুলনায় দিল্লি অনেক নিরাপদ।
• ঠিক একশো বছর আগের কথা। ২৭ ডিসেম্বর, ২০১১। আগের দিন কলকাতায় শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অধিবেশন। দ্বিতীয় দিনের প্রথমেই অনেকে মিলে গাইলেন একটি নতুন গান। জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারত ভাগ্যবিধাতা। লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তখনও নোবেল প্রাইজ পাননি, কিন্তু তত দিনেই তিনি রীতিমত স্বনামধন্য। এর অনেক দিন পরে, ১৯৩৭ সালে, প্রশ্ন উঠল: দেশ যখন স্বাধীন হবে, আজ না হোক কাল, তখন কোন গানটি হবে ভারতের জাতীয় সংগীত? এমনিতে ‘বন্দে মাতরম্’ স্বাধীনতা সংগ্রামে একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিল বটে, কিন্তু সেই গান নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল, অনেক আপত্তি, কারণ সমস্ত ভারতবাসীর কাছে সেটি যথেষ্ট গ্রহণীয় ছিল না। এই পরিপ্রেক্ষিতেই উঠে এল ‘জনগণমন’। ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি, অর্থাৎ স্বাধীন ভারতের সংবিধান বলবৎ হওয়ার দু’দিন আগে গণপরিষদে এই গান আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃত হল। স্বভাবতই গানটি গাইবার একটি নির্দিষ্ট রীতি নির্ধারিত হয়েছে, সেই রীতি অনুসারে এ গান সম্পূর্ণ করতে সময় লাগে মোটামুটি ৫২ সেকেন্ড। |
|
অনুদান ছাঁটাই |
• আর্থিক সঙ্কট থেকে কিছুটা রেহাই পেতে ভারত, চিন, ব্রাজিলের মতো ১৯টি রাষ্ট্রে অনুদান ছাঁটাই করল ইয়োরোপীয় ইউনিয়ন। মূলত দুটো কারণেই তাদের এই সিদ্ধান্ত:
১) দীর্ঘ মেয়াদে এই ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে খরচে রাশ টান
আর
২) দরিদ্রতম রাষ্ট্রকেই এই তালিকায় রাখা হবে। ২০১৪ সাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
|
পরিবেশ সম্মেলন |
• দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান শহরে অনুষ্ঠিত হল দু’সপ্তাহ ব্যাপী আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলন। ১৯৪টি দেশ অংশগ্রহণ করে এই অনুষ্ঠানে। অন্যান্য চুক্তি ছাড়াও সভায় কিয়োটো চুক্তির মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হল। অন্য দিকে, সম্মেলনের পরে কানাডা জানিয়ে দিল যে তারা কিয়োটো চুক্তি মানবে না।
|
সহবাগের রেকর্ড |
• ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এক দিনের ম্যাচে ইতিহাস গড়লেন বীরেন্দ্র সহবাগ। করলেন ২১৯ রান, যা এখনও পর্যন্ত একদিনের ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বাধিক রান।
|
কিম জং ইল প্রয়াত |
• ১৭ ডিসেম্বর প্রয়াত হলেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং ইল। তাঁর ছেলে কিম জং আন’কে তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করা হল।
|
নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত |
• ভারতে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন প্রবীণ কূটনীতিক ন্যান্সি জে পাওয়েল। |
|
|
|
|
|