|
|
|
|
আমাদের স্কুল
|
রাজহাটি জ্ঞানদা বালিকা বিদ্যালয় |
|
|
স্থাপিত: ১৯৬২ সাল।
ছাত্রীসংখ্যা: ৬৭০ জন।
শিক্ষিকা: ১২ জন।
পার্শ্বশিক্ষিকা: ৩ জন।
শিক্ষাকর্মী: ২ জন।
২০১১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৯৩ জন।
উত্তীর্ণ ৮৬ জন। সর্বোচ্চ নম্বর ৭১৫। |
|
|
লাইব্রেরি নেই, কম্পিউটার প্রশিক্ষণও চালু করা যায়নি |
|
কল্পনা পাল
(প্রধান শিক্ষিকা) |
বহু বাধাবিপত্তিকে অতিক্রম করে ২০১২ সালে পঞ্চাশ বছরে পা রাখছে স্কুল। এলাকার মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা আর ছাত্রীদের শৃঙ্খলাপরায়ণতা ও পঠন-পাঠনের একাগ্রতায় বিবিধ গুরুত্বপূর্ণ অভাবগুলির আঁচ পড়েনি স্কুলে। অভাবের তালিকা বিরাট শ্রেণিকক্ষের অভাব, লাইব্রেরি করা যায়নি, কম্পিউটার শিক্ষণের ব্যবস্থা নেই, মেয়েদের কমনরুম নেই। অভাব আছে শিক্ষিকারও। সর্বশিক্ষা মিশন, বিধায়ক তহবিল, সাংসদ তহবিল থেকে প্রাপ্ত টাকায় একদফা ৭টি শ্রেণিকক্ষ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। আরও শ্রেণিকক্ষ-সহ অন্যান্য অভাব মেটাতে বিভিন্ন স্তরে দরবার করেছি আমরা। বিদ্যালয়টিকে নবরূপে সজ্জিত করার সাফল্য বা অসাফল্য নিয়ে আমাদের যতটা না মাথাব্যথা, তার চেয়ে বেশি ধ্যান পঠন-পাঠনের মান এবং পরিবেশ বজায় রাখা নিয়ে। পড়াশোনার পাশাপাশি ভাল মানুষ তৈরি করাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। এ বছর স্কুলের দুই কৃতী ছাত্রী ‘ন্যাশনাল ইন্সপায়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়ে আমাদের গর্বিত করেছে।
বিদ্যালয়টি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন প্রয়াত সতীশ চন্দ্র কুণ্ডু। সেই পরিবারের বঙ্কুবিহারী কুণ্ডু ছিলেন বিদ্যালয়ের রূপকার। গুটিকয়েক ছাত্রী নিয়ে পথ চলা শুরু করে এখন খানাকুল ২ নম্বর ব্লকেই শুধু নয়, আরামবাগ মহকুমার প্রথম সারির বিদ্যালয়গুলির একটি বলে পরিচিত। বিদ্যালয়টি রাজহাটি গ্রামের খোলা মাঠের নিরিবিলি পরিবেশে বিরাজমান। নিয়মিত অভিভাবক মিটিং করায় স্কুলটির সঙ্গে স্থানীয় মানুষের আত্মিক সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব হয়েছে। বাধা-বিপত্তি কাটাতে সকলকে পাশে পাওয়া যাচ্ছে।
|
আমার চোখে |
|
কুহেলী ঢ্যাং
(দশম শ্রেণির
প্রথম স্থানাধিকারী) |
আমি পঞ্চম শ্রেণি থেকে এই স্কুলে পড়ার সুবাদে বুঝেছি, অনেক সমস্যার মধ্যেও স্কুলটির আকর্ষণ দিদিমণিদের সব ছাত্রীর প্রতি যত্নবান হওয়া। সমস্ত রকম মেধার ছাত্রীদেরই পড়াশোনা, খেলাধূলা-সহ নানা বিষয়ে অনুপ্রেরণা দেন তাঁরা। পড়াশোনায় কেউ পিছিয়ে পড়লে তাকে আলাদা করে ডেকে অসুবিধার কথা শুনতে চান। পারিবারিক অসুবিধা থাকলে বাড়িতেও চলে যান। পড়াশোনায় ঘাটতি বা ফাঁকিবাজি যদি বা মাফ হয়, কিন্তু কোনও অসামাজিকতা প্রকাশ পেলে রক্ষা নেই। খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক। আলাদা কমনরুম নেই ঠিকই, কিন্তু অভাবও বোধ করি না। কারণ এমনই সুন্দর পরিবেশ আমাদের স্কুলের। কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থা, লাইব্রেরি এবং একটি সাইকেল শেডের অভাব মেটানো খুব জরুরি বলে মনে হচ্ছে। |
|
|
|
|
|
|