ইতিহাসের পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণগুলি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে স্কুলগুলির সঙ্গে সমন্বয় গড়া দরকার। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-কে আজ এই পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দেড়শো বছরে পা দিল এএসআই। সেই উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের বিস্মৃত ইতিহাসকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে এএসআই-এর বড় ভূমিকা রয়েছে। তারা না থাকলে হরপ্পা সভ্যতা হয়ত অগোচরেই থেকে যেত। কিন্তু বর্তমানে নগরায়ন ও জনসংখ্যার চাপে দেশের পুরাকীর্তিগুলি বিপদের মুখোমুখি।” তাঁর কথায়, এই সম্পদগুলি রক্ষার ক্ষেত্রে মনোভাব না বদলালে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। |
পুরাতত্ত্বগুলি নিয়ে শিশু বয়স থেকে সচেতনতা বাড়াতে এএসআই-এর উচিত বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা। দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন রাজ্যের পুরাতাত্ত্বিক দফতর, খনন ও সংরক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় অনুদান চেয়ে আসছিল। আজ কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী শৈলজা বলেন, “যোজনা কমিশন এই দাবি মেনে নিয়েছে। সঙ্গে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের যে সব তরুণ গবেষক ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে কাজ করছেন, তাঁদেরও ফেলোশিপ দেওয়া হবে।” এএসআই-এর ডিজি গৌতম সেনগুপ্তের উদ্যোগে প্রায় পঞ্চাশ বছর পরে আজ ফের প্রকাশিত হল ‘এনসেন্ট ইন্ডিয়া’ জার্নালটি। দু’টি ডাকটিকিটও প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী কপিল সিব্বল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব জহর সরকারও। |