চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালালেন মৃতার পরিবারের লোকেরা। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে। মৃতার নাম বুধি বেগম (৩৫)। তাঁর বাড়ি রায়গঞ্জের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারডাঙি এলাকায়। গত ১৪ ডিসেম্বর অগ্নিদগ্ধ হয়ে ওই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছিলেন বুধি। ওয়ার্ডে রুম হিটারের বন্দোবস্ত করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তাঁরা। রুম হিটারের ব্যবস্থা না-হওয়ায় এ দিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। সকালে হাসপাতালে গিয়ে সে কথা জানার পরে রুম হিটারের বন্দোবস্ত কেন করা হয় তা জানতে চাওয়া হলে এক আয়া পরিবারের এক জনকে লক্ষ করে জুতো ছুড়ে মারেন বলে তাঁদের দাবি। তার পরেই মৃতার পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা উত্তেজিত হয়ে ওয়ার্ডে ভাঙচুর চালান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। আয়াকে আটক করা হয়। ভারপ্রাপ্ত সুপার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
কয়েক দফায় পরীক্ষা করে আগেও আশ্বস্ত করা হয়েছিল। এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের পরমাণু শক্তি বিভাগের অন্তর্গত ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রোন সেন্টার বা ভিইসিসি-ও জানিয়ে দিল, ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালের রেডিওথেরাপি যন্ত্র থেকে কোনও তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায়নি। গত ৮ ডিসেম্বর রাতে ওই হাসপাতালের যে-ভবনে আগুন লাগে, তার একতলাতেই ছিল রেডিওথেরাপির যন্ত্র। আগুন লেগে ওই যন্ত্র থেকে রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ১০ ডিসেম্বর ভাবা পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ভিইসিসি, অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি বোর্ডের সদস্যেরা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখেন। ২৫০ কিলোগ্রামের যন্ত্রটি সেই সময় প্রায় চার ফুট জলের তলায় ছিল। সেখান থেকে সেটি তুলে ভিইসিসি-র গুদামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতেও তা থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর আশঙ্কা নেই বলে জানান পরমাণু বিশেষজ্ঞেরা। |