বিষে সিপিএম কর্মী মৃত, অভিযুক্ত তৃণমূল
বিষক্রিয়ায় এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে সিপিএম-তৃণমূল চাপানউতোর শুরু হয়েছে কাঁথির কুলঞ্জরায়। শনিবার মারা যান ননীগোপাল ভুঁইয়া (৪৮)। তাঁর ভাই ফণিভূষণ ৪২ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে দায়ী করে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ফণিভূষণ নিজেও কুলঞ্জরার পরিচিত সিপিএম কর্মী। তবে ইদানীং গ্রাম ছাড়া। দাদা ননীগোপাল গ্রামেই ছিলেন। ফণিভূষণের অভিযোগ, “দাদাকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সিপিএম নিয়ে মিথ্যে বলিয়ে নিতে মারধরও করে ওরা। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে দাদা বিষ খান।” ফণিভূষণের দাবি, “বেগতিক দেখে শুক্রবার দাদাকে তৃণমূলেরই কয়েক জন কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার সকালে দাদা মারা যেতেই ওরা পালায়।” সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রশান্ত পাত্রেরও অভিযোগ, “তৃণমূলের অত্যাচারেই মরতে হয়েছে ননীগোপালকে।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনের পাল্টা দাবি, “ফণিভূষণ সিপিএমের সশস্ত্র-বাহিনীর নেতা। খুন-ধর্ষণ-লুঠপাটে জড়িত। ভাইয়ের অপকর্মের জেরে লজ্জায় বিষ খেয়েছিলেন ওর দাদা।” তৃণমূলের তরফে ফণিভূষণের নামে পাল্টা অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সব অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত কয়েক দিন ধরেই কাঁথির উমাপতিবাড়, কুলঞ্জরা, শুনিয়ায় নতুন করে তৃণমূল-সিপিএম আকচাআকচি শুরু হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের পরেও এই সব এলাকায় তাদের কিছুটা প্রভাব ছিল। তা খর্ব করতেই তৃণমূলের লোকজন একের পর এক গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। মিথ্যে মামলায় জড়াচ্ছে সিপিএম কর্মীদের। দশ বছর আগে ভাজাচাউলির তৃণমূল কর্মী শচীন ধাড়ার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় শনিবারই শুনিয়া-কাঁথির দুই সিপিএম কর্মী---দিলীপ হাজরা, সুভাষচন্দ্র সাঁতরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শচীনকে খুন করে খেজুরির কণ্ঠিবাড়িতে রসুলপুর নদীর চরে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল এবং সেই ঘটনায় দিলীপ-সুভাষরা জড়িত বলে তৃণমূলের অভিযোগ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.