তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিল পিডিএস |
সিপিএমের দেখানো পথে তৃণমূল চলতে থাকলে সামনে ‘কঠিন’ সময় আসছে বলে হুঁশিয়ারি দিল পিডিএস। তাদের মতে, সিপিএমের পক্ষে ফের তৃণমূলের বিকল্প হওয়া বেশ কিছু দিন সম্ভব নয়। সেখানেই ছোট দলগুলির সম্ভাবনা। ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে বুধবার ২২ দফা দাবি নিয়ে পিডিএসের জনসভায় রাজ্য সম্পাদক সমীর পূততুণ্ড বলেন, “পরিবর্তনে আমাদেরও ভূমিকা ছিল। বামফ্রন্ট-বিরোধিতার অর্থ তৃণমূলের সব কিছু সমর্থন করা নয়! সিপিএম যেখানে শেষ করেছে, সেই কাজই তৃণমূল করলে আরও কঠিন জিনিস অপেক্ষা করছে।” যে রাজ্য সরকার নানা বিষয়েই কেন্দ্রের কথা শোনে না, তারা কেন্দ্রের দোহাই দিয়ে কেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ফেল তুলে দিতে চাইছে, সে প্রশ্নও তোলেন সমীরবাবু। দলের রাজ্য সভাপতি, অসুস্থ সৈফুদ্দিন চৌধুরী দিল্লি থেকে মোবাইল-ভাষণে সার্বিক হিংসার বিরুদ্ধে ‘বার্তা’ দেন।
|
মিছিল নিয়ে জানুয়ারিতেই মত জানাতে বলল কোর্ট |
রাস্তা আটকে মিছিল-সমাবেশ করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত নির্দিষ্ট সময়ে না জানালে এক তরফা ভাবেই রায় জানিয়ে দেবে হাইকোর্ট। কাজের দিনে পথ জুড়ে মিছিল এবং সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। আদালত রায় জানানোর আগে নোটিস পাঠিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তাদের মতামত জানতে চায়। ইতিমধ্যে শুধু বিজেপি এবং পিডিএস-ই হলফনামা দিয়ে তাদের মতামত জানিয়েছে। বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, সভা, সমাবেশ বা মিছিল মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। ফলে সেখানে কোনও রকম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে তারা নয়। গত কয়েকটি শুনানিতে সিপিএমের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন যে, তাঁদের হলফনামার খসড়া প্রায় তৈরি। চূড়ান্ত হলফনামা কিছু দিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। বুধবার শুনানির সময় উপস্থিত সিপিএমের পক্ষের আইনজীবী জানান, বিকাশবাবু অসুস্থ। বিষয়টা তিনিই দেখছেন। তাই তাঁরা এ দিন হলফনামা দিতে পারছেন না।
|
মাওবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার ইঙ্গিত মমতার |
জনসাধারণের কমিটি বা নারী ইজ্জত বাঁচাও কমিটির বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে মাওবাদী দমন আইন প্রয়োগ করা হতে পারেএই মর্মে ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, জনসাধারণের কমিটি বা নারী ইজ্জত বাঁচাও কমিটির মতো মাওবাদীদের প্রকাশ্য সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করার কথা রাজ্য সরকার ভাবছে না কেন? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের আইনেই বলা আছে, মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলির ক্ষেত্রেও মাওবাদী দমন আইন প্রয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু আমরা সৌজন্য দেখিয়ে অপেক্ষা করছি। যদি এখনও শুভবুদ্ধির উদয় হয়!” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, ওই সংগঠনগুলির ‘শুভবুদ্ধি’র উদয় না-হলে রাজ্য সরকার আর ‘সৌজন্য’ দেখাবে না। রাজ্য সরকার কি মাওবাদীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা এখনও চালাবে? এই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “শান্তি প্রক্রিয়া এক তরফা চলতে পারে না। ওই প্রক্রিয়া তখনই চলবে, যখন ওরাও শান্তি চাইবে। আমি শান্তি চাইব আর ওরা খুন করবে, তা তো হতে পারে না!” |