বাঁকুড়া, বর্ধমান, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে চলতি আর্থিক বছরে ৭৩টি নলবাহিত জল সরবরাহ প্রকল্প গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি চালু প্রকল্পের আধুনিকীকরণের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বলে বুধবার বিধানসভায় জানান জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
জেলা স্তরে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্সেনিক দূরীকরণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এ দিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে তা জানতে চান তৃণমূলের বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্র। সুব্রতবাবু সেই প্রশ্নের উত্তরেই এ কথা জানান। তিনি বলেন, ২০০৫-’০৬ সালের ‘মহাপরিকল্পনা’র অধীন আটটি আর্সেনিক আক্রান্ত জেলায় ভূপৃষ্ঠের জল সরবরাহের ১২টি এবং ভূগর্ভস্থ জল সরবরাহের ৩৩৮টি প্রকল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ভূপৃষ্ঠের জল সরবরাহের চারটি প্রকল্প চালু হয়ে গিয়েছে। অন্য ছ’টি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার মুখে।
এ ছাড়াও ভূগর্ভস্থ জল সরবরাহের ২১টি প্রকল্পে বাসিন্দারা পাইপের মাধ্যমে পানীয় জল পাচ্ছেন। বিদ্যুৎ-সংযোগ পেয়ে গেলে অন্য ১৭০টি প্রকল্প খুব শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে বলে জানান সুব্রতবাবু। তাঁর দাবি, ২০১২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ মহাপরিকল্পনার আওতায় প্রতিটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকার বাসিন্দারা দূষণমুক্ত পানীয় জল পাবেন।
পানীয় জলের জোগান বাড়াতে নদীর নোনা জলকে মিষ্টি জলে রূপান্তরিত করার ব্যাপারেও বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। এ বিষয়ে রাজ্যের পরিকল্পনা কী, বিধানসভায় তা জানতে চান ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। অনেক উদ্যোগের মধ্যে সুন্দরবনের একটি প্রকল্পের উদাহরণ দিয়েছেন সুব্রতবাবু। তিনি জানান, সুন্দরবনের কামাখ্যাপুর অঞ্চলে নোনা জলকে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে মিষ্টি পানীয় জলে রূপান্তরিত করে সরবরাহ করার একটি প্রকল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ চলছে। এই খাতে ৩৮ কোটির কিছু বেশি টাকা খরচ হবে। ২১টি নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভের নোনা জলে তুলে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে পরিস্রুত করে আশেপাশের ১০টি গ্রামে সরবরাহ করা হবে বলে জানান সুব্রতবাবু। |