শিলিগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তাবিত প্রকল্পের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা শুরু করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগ। বুধবার শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করেন ওই বিভাগের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার রাতেই তারা কলকাতা থেকে এসেছেন। ৩ সদস্যের সমীক্ষক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি মেম্বার অরুণকান্তি বিশ্বাস। সঙ্গে দুই ছাত্র অতনু চট্টোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ দাস। তারা এ দিন ১৫ নম্বর ওয়ার্ড, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করেন। প্রতিনিধি দল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্জ্যের ক্যালরি মূল্যের উপর নির্ভর করবে নির্দিষ্ট পরিমাণ বর্জ্য থেকে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে পারে। সে কারণে এই সমীক্ষা জরুরি। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “সমীক্ষার রিপোর্ট পেলে সেই মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পের কাজের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।” আজ, বৃহস্পতিবারও শহরের বিশেষ কিছু এলাকা থেকে বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অরুণবাবু বলেন, “বর্জ্যের নমুনা বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করে দেখা হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ বর্জ্যে কাগজ, প্লাস্টিক, কাঠবোর্ড, সিরামিক, কাপড়, কাঁচ, নারকেলের মালা জাতীয় বিভিন্ন পদার্থ, জৈব বর্জ্য কতটা রয়েছে তা পৃথক করে দেখা হচ্ছে। পরে সব মিশিয়ে তা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ল্যাবরেটরিতে তা পরীক্ষা করে ওই বর্জ্যের ক্যালরি মূল্য, নাইট্রজেন, ফসফেট, পটাশিয়াম কী পরিমাণ রয়েছে তা দেখা হবে। ১৫ দিনের মধ্যেই পুর কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত রিপোর্ট জানানো হবে।” পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রকল্পের ব্যাপারে একাধিক বার আলোচনা হয়েছে। জার্মানির যে সংস্থা ওই কাজ করতে উৎসাহী তাদের প্রকল্প ঘুরে দেখে এসেছেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। প্রকল্পের সবদিক খতিয়ে দেখতে সমীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা জানানো হয়। সেই রিপোর্ট দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন পুর কর্তৃপক্ষ। |