ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা মাঠে খেলছে। অথচ অনেকেরই প্রয়োজনীয় জামাকাপড় ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী নেই। বর্ধমান জেলা নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক, মাদ্রাসা ও শিশুশিক্ষা সমূহের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে এসে এমন অবস্থা দেখে রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী মদন মিত্র তাদের জন্য এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। এ ছাড়া যে মাঠে প্রতিযোগিতা হল, তা সংস্কারের জন্যও আলাদা করে এক লক্ষ টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলস্তরে প্রায় ১৬ হাজার পড়ুয়া বার্ষিক ক্রীড়ায় যোগ দিয়েছিল। তার পরে চক্র ও মহকুমা স্তর পেরিয়ে জেলা স্তরে যোগ সুযোগ পায় ৩৩৮ জন। মঙ্গলবার তাদের নিয়ে বুদবুদের রনডিহায় শুরু হল জেলাস্তরের প্রতিযোগিতা। বুধবার ছিল চূড়ান্ত পর্ব। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মদনবাবু। মোট ২৮টি ইভেন্টে যোগ দেন প্রতিযোগীরা। দেখা যায়, পড়ুয়াদের অনেকেরই খেলার উপযুক্ত পোশাক নেই। নেই আনুষঙ্গিক নানা সামগ্রী। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ থেকে মদনবাবু ঘোষণা করেন, এই পড়ুয়াদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। যে মাঠে প্রতিযোগিতা হয়েছে, সেই রনডিহা সেচ পল্লি ময়দান নিয়মিত সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল। অথচ এলাকায় খেলাধুলোর জন্য একমাত্র ভরসা এই মাঠটি। এ দিনও প্রতিযোগিতা চলাকালীন এক পড়ুয়া পা হড়কে পড়ে গিয়ে জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতে মাঠ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন একাধিক বার। এ দিন পঞ্চায়েত প্রধান আভা ভট্টাচার্য মন্ত্রীর কাছে মাঠ সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দের আর্জি জানান। মন্ত্রী এ জন্যও অর্থ বরাদ্দের কথা জানান। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধানকে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাতে বলেছি।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি স্বপন ঘোষ বলেন, “মন্ত্রীর এই উদ্যোগে সকলেই খুশি।”
|
কালনা পুরসভার উদ্যোগে শুরু হল পঞ্চায়েত যুব ক্রীড়া খেল অভিযানের (পাইকা) জেলা পর্যায়ের ফুটবল ও খোখো প্রতিযোগিতা। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয় কালনা শহরের অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। ব্লক পর্যায়ে জয়ী ২৬টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৪টি দলের খেলা হয় অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। বাকি ১২টি দল খেলে শহরের মহিষমর্দিনী মাঠে। অন্য দিকে, কালনা-অম্বিকা মহিষমর্দিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে খোখো প্রতিযোগিতা হয়। সেখানে মেয়েদের বিভাগে ১৫টি ও ছেলেদের বিভাগে ১৮টি দল যোগ দেয়। দু’টি বিভাগের ফাইনাল হবে বৃহস্পতিবার। পাইকা-র জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলি হবে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।
|
মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল লিগে বুধবার অআকখ মাঠের ম্যাচে সিটি এসি ৩-০ গোলে পলাশডিহা তরুণ সঙ্ঘকে হারায়। গোল করে রাহুল সোরেন, অভিজিৎ জয়ধর ও অজয় বাউরি। অন্য দিকে, এএসপি মাঠের খেলাটি অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়। এ দিন মুখোমুখি হয়েছিল ভারতী ভলিবল ক্লাব ও বিধাননগর সেক্টর ২ সি। দু’টি দলই একটি করে গোল করে। ভলিবল ক্লাবের হয়ে দেবজ্যোতি বাউরি এবং বিধাননগরের হয়ে মহম্মদ ইসরাফিল একটি গোল করে। ম্যাচটি পরিচালনা করেন পার্থসারথি বন্দ্যোপাধ্যায়, জিতেন রুইদাস ও ওমপ্রকাশ সিংহ।
|
মদনডিহি যুব সমিতি আয়োজিত ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বুধবারের খেলায় জিতল হিরাপুর মোড় সিসি। মদনডিহি মাঠের খেলায় তারা শিরপুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৩৫ রানে হারায়। প্রথমে ব্যাট করে হিরাপুর ৫ উইকেটে ১২৫ রান করে। জবাবে শিরপুর ৯০ রানে সব উইকেট যায়। এ দিন চারটি উইকেট নেন বিজয়ী দলের বিবেক ধীবর।
|
এফআরসি আয়োজিত আন্তঃস্কুল ফুটবলে বুধবারের খেলায় জয়ী হয় দেশবন্ধু হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়। এফআরসি মাঠে তারা কস্তুরবা গাঁধী উচ্চ বিদ্যালয়কে ১-০ গোলে হারায়। ম্যাচের সেরা সুভাষ সিংহ।
|
বর্ধমান জেলা পুলিশ আয়োজিত ফুটবলের বুধবারের খেলায় জয়ী হল কালনা থানা। এ দিন আটঘোড়িয়া ফুটবল মাঠের খেলায় কালনা ৩-০ গোলে হারায় মন্তেশ্বর থানাকে। |