নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। ইউনিট পিছু গ্রাহকদের ব্যয়ও বাড়ছে। তা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভও। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহক পরিষেবার মান বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের বণ্টন বিভাগ। কেবল কিংবা ট্রান্সফরমার ফল্টের কারণে কোনও এলাকায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়লে যাতে দ্রুত তা মেরামত করানো যায় সেই জন্য বণ্টন বিভাগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই পরিকাঠামো উন্নতির কাজ শুরু হয়েছে। টোল ফ্রি নম্বরে গ্রাহকেরা ফোন করে অভিযোগ জানালে কর্মীরা মেরামতির কাজ শুরু করলেও তাতে অনেক সময় চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। সমস্যা মেটাতে পরিকাঠামোগত উন্নতির পরিকল্পনা হয়েছে। ‘এন্টারপ্রেনার রিসোর্স প্ল্যানিং’ বা ইআরপি নামে এই পরিকল্পনায় পরিষেবা বিঘ্ন ঘটলেই যাতে পর্ষদের কর্মীদের নজরে চলে আসে সেই ব্যাপারে পরিকাঠামোগত উন্নতির কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, গ্রাহকদের বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়ার জন্য যাতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে না হয় সে জন্য আরও বেশ কিছু কিয়স্ক বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে। পর্ষদের বণ্টন বিভাগের জোনাল ম্যানেজার অশোক কুমার সিংহ বলেন, “গ্রাহক পরিষেবা বাড়ানোর জন্য সমস্ত ধরনের পরিকল্পনাই নেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রতিটি সাপ্লাই অফিসে কিয়স্ক বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাতে বিদ্যুতের বিল দিতে গ্রাহকদের সমস্যা অনেকটাই কম হবে।” উত্তরবঙ্গে পর্ষদের বণ্টন বিভাগের দুই দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জোনে ৭৩টি সাপ্লাই অফিস রয়েছে। তার মধ্যে কিয়স্ক বসানো হয়েছে ৩৩টি। শিলিগুড়িতে ৯টি সাপ্লাই অফিসের মধ্যে দুই মাইল, হিলকার্ট রোড, মিলনপল্লি, সুভাষপল্লি ও গেট বাজারে কিয়স্ক রয়েছে। বাকিগুলিতে বিল জমা দিতে গ্রাহকদের লাইনেই দাঁড়াতে হচ্ছে। তার মধ্যে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা হাকিমপাড়া এবং প্রধাননগর সাপ্লাই অফিসে। বিল জমা দেওয়ার লাইন অফিস পার হয়ে রাস্তায় পৌঁছে যাচ্ছে। বিল জমা দেওয়া নিয়ে এই অভিযোগ মহকুমার বাগডোগরা থেকে খড়িবাড়ি পর্যন্ত। কিয়স্ক থাকলে গ্রাহক লাইনে না-দাঁড়িয়ে নিজেই বিল জমা দিতে পারবেন। তাতে যেমন সময় বাঁচবে তেমনই ভিড়ও কমবে বলে মনে করছেন পষর্দের আধিকারিকেরা। অশোকবাবু বলেন, “হাকিমপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে সাপ্লাই অফিস চলছে বলে আধুনিকীকরণে সমস্যা হচ্ছে। কী ভাবে সমস্যা দূর করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে। অন্যত্র কিয়স্ক বসানো হবে যাতে গ্রাহকেরা নিজেরাই বিল জমা দিতে পারেন।” |