বাংলার বৃহৎ মেলাগুলোর মধ্যে কোচবিহারের রাসমেলা উল্লেখযোগ্য। এই মেলায় আলোর ব্যবস্থা করতে প্রতি বছর অনেক স্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। মন্দির সংলগ্ন রাস্তার পাশে পাম গাছগুলোর গায়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা পেরেক পুঁতে বিদ্যুতের তার বয়ে নিয়ে যায়।
সাঙ্গ হয় মেলা। বিদ্যুতের তার খুলে ফেলা হয়। গাছের বুকে বিঁধে থাকে পেরেক, ফি-বছর কাজে লাগে তাই। গাছগুলো বিকৃত আকার নেয়। কোনওটা আবার মরেও যায়।
গাছের ক্ষতি না করে এর বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা কি সম্ভব নয়?
আশুতোষ চক্রবর্তী। কোচবিহার
|
জলপাইগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে তরুণ রোমিওরা যে ভাবে চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে, হেলমেট-বিহীন অবস্থায় মোটরবাইক নিয়ে জনবহুল রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তা দেখে মনে হয়, এই শহরে পুলিশ প্রশাসন নিছক নামেই রয়েছে। তাঁদের ট্রাফিক বিভাগটি যেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী প্রতিটি বাইকচালক এবং তার আরোহীদের হেলমেট পরা এবং বাইকের বৈধ কাগজপত্র থাকা যেখানে আবশ্যক, তখন সেখানে পুলিশের এই নীরব ভূমিকা নিয়ে মনে অনেক প্রশ্ন জাগে। প্রতিদিনকার পথ দুর্ঘটনা এড়াতে এই বিষয়ে কি সত্যিই পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই? স্থানীয় প্রশাসনই বা কেন এ ব্যাপারে এত উদাসীন? পরিকাঠামোর দোহাই দিয়ে কি পথ দুর্ঘটনার দায়িত্ব তাঁরা এড়াতে পারবেন? আসলে আমরা আজ যেটি লক্ষ করছি, এই প্রজন্মের তরুণরা অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে এসে তাঁদের শাসনও যেমন মানতে চাইছে না, তেমনই তারা যখন রাস্তায় তাদের বাইকগুলো নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তখন তারা যেন দেশের কোনও ট্রাফিক আইনও মেনে চলতে চায় না। যার ফলে পথচারীদের অনেক সময় প্রাণ-সংশয় হয়েও দাঁড়াচ্ছে। এ বিষয়ে শহরের অনেক বিশিষ্ট মানুষ থেকে শুরু করে সংবাদপত্রও এদের বিরুদ্ধে অনেকটা সরব হয়ে প্রশাসনকে কঠোর হতে অনুরোধ করছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, বেপরোয়া বাইকবাহিনী ঠেকেও শিখতে চাইছে না, সতর্ক হওয়ার চেষ্টাও করছে না।
তাই এক বর্ষীয়ান নাগরিক হিসেবে শহরের সর্ব স্তরের মানুষ ও প্রশাসনের কাছে আবেদন, জনবহুল রাস্তায় চলতে গিয়ে যে-যার ভূমিকা যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করুন। দুর্ঘটনায় প্রতিটি মৃত্যুই যে আমাদের কাছে অতি মর্মান্তিক!
অরবিন্দকুমার সেন। মহামায়াপাড়া, জলপাইগুড়ি
|
কোচবিহার জেলার দু’প্রান্তে দু’টি প্রতিবন্ধী স্কুল হয় ১১ বছর আগে। ফেব্রুয়ারি ২০০৯-এ ‘আকরাহাট দিশারী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়’ ও অক্টোবরে ‘জ্ঞানদীপ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও ট্রেনিং সেন্টার’ (পাতলাখাওয়া অঞ্চল) সরকার পোষিত হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ পর্যন্ত এই দুই স্কুলের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীদের যে-ক’টি পদের জন্য নিয়োগপত্র আসা উচিত ছিল, তা আসেনি। তাঁরা আজ পর্যন্ত এই আবাসিক স্কুল দু’টি চালিয়ে যাচ্ছেন বিনা পারিশ্রমিকে। কিন্তু নিজেদের পরিবার চালিয়ে স্কুল দু’টিকে আর বাঁচাতে পারবেন কি না, এই প্রশ্ন তাঁদের কুরে-কুরে খাচ্ছে। দুই স্কুলের সরকারি ম্যানেজিং কমিটিও কিছু করে উঠতে পারছে না। ২০০৯-এর শিক্ষার অধিকার আইনে প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের সমান গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও, তারা যে আজও বঞ্চনার শিকার, তা এ থেকেই প্রমাণিত। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, তিনি যেন এই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেন।
দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীগণ। কোচবিহার
|