টুকরো খবর |
অস্থি-বিভাগ বন্ধ মালদহে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
একজন জেল হাজতে। একজন ছুটিতে। একজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তিনজন অস্থি বিশেষজ্ঞ না-থাকায় মালদহ সদর হাসপাতালের অস্থি বিভাগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে হাসপাতালের সুপার অস্থি বিভাগ বন্ধ করে দেন। সদর হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রি আড়ি সাফ বলেছেন, “আমার কিছু করার নেই। হাসপাতালে তিনজন অস্থি বিশেষজ্ঞ। এক জন জেল হাজতে। এক জন সেমিনারের জন্য দিল্লিতে, এক জন কাজ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে বতর্মানে তিন জনই নেই। বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বাধ্য হয়েছি। অস্থি বিশেষজ্ঞ চেয়ে বহুবার স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত চিকিৎসক পাইনি। এ দিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে অস্থি বিশেষজ্ঞ শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও তাঁকে কেন সদর হাসপাতালের কাজে লাগানো হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস ভট্টার্চায বলেন, “মেডিক্যাল কলেজে একজনই অস্থি বিশেষজ্ঞ, যিনি আরএমও। ওই অস্থি বিশেষজ্ঞ কলেজে পড়ানোর পরে হাসপাতালে ডিউটি করা কখনই সম্ভব নয়। আশা করছি, শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” ৬০০ শয্যার মালদহ সদর হাসপাতালে তিন জন অস্থি বিশেষজ্ঞ। মাসখানেক আগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগে পুলিশ মালদহ সদর হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞ অশোকপ্রসাদ গুপ্তকে গ্রেফতার করে। বতর্মানে ওই চিকিৎসক জেল হাজতে। দ্বিতীয় অস্থি বিশেষজ্ঞ সন্দীপ চক্রবর্তী একটি সেমিনারে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছেন। তৃতীয় অস্থি বিশেষঙ্গ সঞ্জীব কমর্কার এক অপারেশন করতে করতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ফলে সদর হাসপাতালে অস্থি বিভাগ চিকিৎসকবিহীন হয়ে পড়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন ঝরিয়াত বলেন, “চিকিৎসক না থাকলে কীভাবে অস্থি বিভাগ চালাব। যে কোনও চিকিৎসককে দিয়ে তো ভাঙা হাত-পা জোড়া দেওয়ার কাজ করানো যায় না। আপাতত জেনারেল সার্জেনকে দিয়ে কাজ চালানোর জন্য সুপারকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরকে মালদহ সদর হাসপাতালের বতর্মান পরিস্থিতির কথা জানিয়ে দ্রুত অস্থি বিশেষজ্ঞ পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।”
|
চক্ষু অস্ত্রোপচার শিবির |
|
নিজস্ব চিত্র। |
কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে শ্রীরামকৃষ্ণের ১৭৫ তম জন্মবার্ষিকী উৎসব উপলক্ষে এক চক্ষু অস্ত্রোপচার শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। শিবিরে ১৭১ জনের চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। সাধারণ ভাবে প্রতি শনি ও রবিবার এ ধরনের শিবিরের আয়োজন হলেও ১৯৮২ সাল থেকে প্রতি বছর এই সময় বেশ বড় আকারেই শিবিরের আয়োজন করেন কামাপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ের দায়িত্বে থাকা স্বামী ভক্তিপ্রিয়ানন্দ জানান, দিন যাঁদের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, দেড় মাস পরে তাঁদের চক্ষু পরীক্ষা করে বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হবে। |
হাসপাতালের উদ্বোধন ২৬ জানুয়ারি
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
শ্রীরামপুরের বেলুমিল্কি গ্রামে শ্রমজীবী হাসপাতালের উদ্বোধন হবে আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি। রবিবার সেখানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, বেলুমিল্কি গ্রামে মোট ৭৫ বিঘা জমির উপরে একটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে থাকবে পাঁচশো শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে নার্সিং স্কুল, স্কুল-সহ নানা প্রকল্প। আপাতত, ১২০টি শয্যার হাসপাতাল চালু করা হবে। ইতিমধ্যেই চার-তলবিশিষ্ট একটি ভবন তৈরির কাজ প্রায় শেষ পথে। হাসপাতালের তরফে সম্পাদক অনিল সাহা বলেন, “মুনাফাবাজ স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। এর বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। নামমাত্র খরচে এখানে চিকিৎসার চেষ্টা করা হবে।” হাসপাতালের কার্যকরী সভাপতি ফণীগোপাল ভট্টাচার্য বলেন, “শুধু ওষুধ দিয়ে এক জনকে সুস্থ করা যায় না। আমরা শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ভাবেও মানুষকে সুস্থ করে তুলতে চাই। সাধারণ মানুষের অনুদানেই গোটা প্রকল্প গড়ে উঠছে এবং বাকিটাও সে ভাবেই করা হবে। কোনও সরকারি অনুদান বা বিদেশি সাহায্য আমরা নেব না।” উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্মীয়মাণ ভবনের কাজ আরম্ভ হয়েছিল।
|
পায়রাচালিতে অন্তর্বিভাগ চালু
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
পায়রাচালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ চালু হল। শনিবার অন্তর্বিভাগের উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডু। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ১০টি শয্যা চালু করা হয়েছে। বিধায়ক বলেন, “এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তর্বিভাগ চালু করার দাবি দীর্ঘদিনের। এত দিন পরে তা পূরণ হল। অনেক বাসিন্দা উপকৃত হবেন। পরিকাঠামোর আরও উন্নতি করা হবে।” মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালের অধীনে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মানবাজারের বিএমওএইচ সুরজিৎ সিংহ হাঁসদা জানান, পায়রাচালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহির্বিভাগে গড়ে দৈনিক ৩০০ জন রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। চাঁদড়া, পায়রাচালি, বারমেশিয়া, রামনগর এবং বাঁকুড়া জেলার মলিয়ান ও মশিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আপাতত দু’জন চিকিৎসক ও চার জন নার্স রয়েছেন। এ বার থেকে এখানে স্বাভাবিক প্রসব করা যাবে।
|
উন্নয়নের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • ছাতনা |
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জানাল বিজেপি। শনিবার ছাতনা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার দাবিতে বিজেপি স্মারকলিপি দেয়। সংগঠনের তরফে ব্লক মেডিক্যাল অফিসারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিজেপি’র বাঁকুড়া জেলা সহ সভাপতি জীবন চক্রবর্তী’র অভিযোগ, “এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জ্জনা পড়ে থাকে। চিকিৎসার মেশিনপত্র ব্যবহার হয় না। ওষুধ পত্র পাওয়া নিয়েও অভিযোগ রয়েছে।” তাঁর দাবি, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অবিলম্বে শিশু ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে। ছাতনার বিএমওএইচ শচীন রজক বলেন, “দাবিগুলি বিবেচনা করা হবে।”
|
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শিলান্যাস চাকলায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • দেগঙ্গা |
রবিবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাকলা পঞ্চায়েতের রায়পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবনের শিলান্যাস করেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেগঙ্গার বিধায়ক নুরুজ্জামান, জেলাশাসক সঞ্জয় বনসল প্রমুখ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উন্নয়নে ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা অনুমোদন করে। সেই টাকাতেই ১০ শয্যার জন্য ভবন তৈরি হবে। গড়া হবে বহির্বিভাগ এবং অন্তর্বিভাগ। চিকিৎসক এবং নার্সদের থাকার ব্যবস্থাও করা হবে।
|
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে কারামন্ত্রী |
|
ছবি: অমিত মোহান্ত। |
রবিবার বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। হাসপাতালে বেহাল অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত সুপার ব্রীজেশ সাহাকে মন্ত্রী বলেন, “দমকল বিভাগকে দিয়ে সমীক্ষা করে অগ্নিনির্বাপণে কী প্রয়োজন তা স্বাস্থ্য বিভাগে জানাতে হবে।” তিনতলা ভবন বিশিষ্ট বালুরঘাট হাসপাতালের বার্ন ইউনিট, কম্পিউটার রুম, শিশু ও প্রসূতি ওয়ার্ডের মত বাতানুকুল অপারেশন রুমে আগুন নেভানোর ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই বলে অভিযোগ। পুরসভার মাতৃসদনেও অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা নেই জেনে কারামন্ত্রী জানান, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|